পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

##x} >^ә4 I •త*Ri f لصد عصعقد l এস্থানে প্রশ্ন এই মে, যাঁহাদের কৰ্ম্মফল কামনা নাই এবং সর্বত্ৰে ব্ৰক্ষদর্শন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, তাহার। যদি ফলসঙ্গ-ত্যক্ত হইয়া, ८काम गएक्ष ब দেবাচৰ্চনায় জাম্বল্যমান রূপে ভগবানের আবির্ভাব অনুভব পূর্বক তাদৃশ o | | ক্রিয় সম্পন্ন করেন—সেরূপ ক্রিয়া ব্রহ্মজি- ; জ্ঞাসার হেতু কি না ? ইহার উত্তর এই যে, সেরূপ ভাবে উপনীত হওয়ার পূর্বে উহাদের নৈষ্কৰ্ম্মরূপ চিত্তশুদ্ধি হইয়াছে। তাদৃশ অনুষ্ঠানে ক্রিয় নাম মাত্র, তথা ব্ৰহ্মজ্ঞানই প্রতিষ্ঠিত এবং উক্ত চিত্তশুদ্ধিই সেই ব্ৰহ্মজ্ঞানের মূল । সুতরাং সে নামমাত্র ক্রিয়াতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসার হেতুত্ব নাই। তথাপি অনেক ক্রিয়ানিষ্ঠ ব্যক্তি মনে মনে আঘাত পাইয়া জিজ্ঞাসা করিতে পারেন যে, क्लिग्न দ্বারা যদি ব্রহ্মজিজ্ঞাসা ন জন্মে তবে মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য স্বীয় স্মৃতি-নিবন্ধে কেন কছিলেন, “ম্যায়োর্জিতধনস্তত্বজ্ঞাননিষ্ঠে ছতিথিপ্রিয়ঃ । শ্রাদ্ধকৃৎ সত্যবাদীচ গৃহস্থোপি বিমুচ্যতে ॥” যে ব্যক্তি ন্যায়ানুগত হইয় অর্থোপার্জন করেন, তত্ত্বজ্ঞাননিষ্ঠ হন, অতিথিপ্রিয় হন, শ্রাদ্ধ করেন এবং সত্যবাদী হন এমত গৃহস্থও মুক্তিলাভ করেন । ইহার উত্তর এই যে, ইহার একটি ধৰ্ম্মও কাম্যকৰ্ম্ম রূপে উদ্দিষ্ট হয় নাই! সমস্তই ঈশ্বরীর্থ। বিশেষতঃ তাদৃশ তত্ত্বজ্ঞাননিষ্ঠ পুরুষ যে প্রবৃত্তি ও বেদের দাস হইয়া ঐ সকল কৰ্ম্ম করেন না তাহ স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে । সুতরাং এ সকল কেবল নামে ক্রিয়ামাত্র —অভু্যদয়-ফল-প্রদ বেদ ও স্মৃতি-বিস্থিত ক্রিয় নহে। তৎসমূহ একমাত্র ব্রহ্মজিজ্ঞাসার অন্তরঙ্গ-সাধনমাত্র, ব্রহ্মজ্ঞানই তাছাতে প্রতিষ্ঠিত। তবে এরূপ ব্রহ্মজিজ্ঞাসার হেছু কি? উত্তর-চিত্তশুদ্ধি। কৰ্ম্মনিম্পাদিত ফলভোগ-বিরাগই সেইচিত্তশুদ্ধির নামান্তর। যদি ইহ জন্মে তাদৃশ ফলভোগ-বিরাগ ম৷ bペ) তৎত্যাগের প্রমাণ না দিতে পারেন তবে শাস্ত্রানুসারে বুঝিতে হইবে যে, সেরূপ বিধি পূর্বক ত্যাগ পূৰ্ব্বজন্মে হইয়াছে। পূজ্যপদ বিজ্ঞানেশ্বর উক্ত যাজ্ঞবল্ক্য-বচনের এইরূপ তাৎপর্ষ্য দিয়াছেন যে, “ভরান্তরমুভূতপারিব্রজস্য ইত্যবগন্তব্যং” যে গৃহস্থ পূৰ্ব্বজন্মে কৰ্ম্মসন্ন্যাস অবলম্বন করিয়াছেন অর্থাৎ কাম্য কৰ্ম্ম করিতে করিতে তাহার ফল অনিত্য বুৰিয়া, নিশ্রেয়স মোক্ষ নিকেতন শ্ৰীহরির পদারবিন্দ আশ্রয় করিয়াছেন তিনি পরজন্মে আর কাম কৰ্ম্মে ব্ৰতী হন না। র্তাহারই উদ্দেশে ঐরাপ বচন যুক্ত হয়। নতুবা বাসনাবদ্ধ গৃহস্থ ঐ সকল ধৰ্ম্মের যাজন করত কেবল নানাবিধ ভোগ সুখ, স্বর্গ ও বিদ্যানন্দ প্রভৃতি ফলই পাইতে পারেন—মুক্তি প্রাপ্ত হন না । অতএব বাসন-বিনিবৃত্ত শুদ্ধ চিন্তই ব্রহ্মজিজ্ঞাসার একমাত্ৰ হেতু। ঐ প্রকাপ চিত্তশুদ্ধিকে পূজ্যপাদ শঙ্করাচার্য্য চারি প্রকারে বিভক্ত করিয়া বুঝাইয়াছেন । ক্রমশঃ অকেতিল পেরে। প্রাচীন পারস্য ধর্মের সহিত আমাদিগের বৈদিক ধৰ্ম্মের অনেক সাদৃশ্য আছে। প্রা চীন পারসীকের মিত্র ধরুণ প্রভৃতি ভূতধিষ্ঠাতা দেবতাদিগের উপাসনা করিত । বিশেষতঃ অগ্নির অর্চনাতে সৰ্ব্বাপেক্ষ মনো যোগী ছিল । ভারতবর্ষের আর্য্যের যেমন গার্হপত্য আহবনীয় প্রভৃতি অগ্নির উপাসন করিতেন, প্রাচীন পারসীকেরাও সেইরূপ করিত। র্তাহার। যেমন গৃহস্থিত অগ্নিকে কখনই নিৰ্ব্বাণ হইতে দিতেন না, প্রাচীন পারসীকেরাও সেইরূপ দিত না। বেদ