পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ु ४१%ी ১১। ভক্তি ও প্রীতি-সংযুক্ত হৃদয়-মধ্যে যাহার জ্বলন্ত ভাব উপলব্ধি হয় এবং র্যাহার তাদৃশ তত্ত্বজ্ঞান জন্য যোগীদিগের হৃদয় কোটিকল্প স্বৰ্গ-সুখ-বিনিন্দিত আনন্দে প্লাबिङ श्ञ्ज डिबिहे खन्न । 'ब्रट्नाहेब ना' তিনিই রসস্বরূপ । ১২ । আর অজ্ঞান-বশে র্যাহাকে বুদ্ধি, যুক্তি, তক ও কল্পনা দ্বারা রচনা করা যায়— হৃদয় র্যাছার ভাবে উন্মত্ত হয় না, তিনি ব্রহ্ম নহেন । শাস্ত্র সেই মনঃকল্পিত ভাবটিকে অনুমিত ঈশ্বর কহেন। ১৩ । ফলতঃ এই জগতের কারণ-স্বরূপ এক ব্ৰহ্মাত্মা আছেন এই বোধ সামান্য ও পরোক্ষ ভাবে সকলেরই আত্মাতে নিস্থত খাকাতে সেই স্বাভাবিক অথচ পরোক্ষ ঘোধের ভাল লম্বনেই ভক্তি-যোগে অপরোক্ষ পক্ষান্তরে সেই পরোক্ষ বহ্মগু: }ম লাভ হয় } রোধেরই অবলম্বনে যুক্তি তর্ক প্রভৃতি মনেী ঃদ্ভিরা উহাকে অপ্রকৃত রূপে গঠন ও অল3:ন করিয়া থাকে { ১৯ । অতএব স্বাভাবিক অথচ পরোক্ষবোপ-গ্রাহ ব্ৰহ্মকে অবলম্বন করিয়াই ঐ অনুমিত ও কল্পিত ঈশ্বরকে লোকে রচনা করে, কিন্তু তাহদের অজ্ঞাতসারে তাছাদের উদ্দেশ্য প্রকৃত ব্রহ্মেতেই থাকে । সেই অজ্ঞাত উদ্দেশ্য তাহীদের পক্ষে ব্ৰহ্মজ্ঞান নহে, কিন্তু জ্ঞানীর পক্ষে তাহার স্মরণ ও ভাব গ্রহণ ব্রহ্মজ্ঞানের পোষকতা করে ১৫ । এতাবত ব্ৰহ্মরূপ মূল-ভূমির উপরেই অপরোক্ষ ব্ৰহ্মজ্ঞানের অভাবে লোকে অজ্ঞানত বশতঃ অর্থাৎ অবিদ্যাতে আচ্ছন্ন হইয়া ব্ৰহ্মকে অন্যরূপে অনুমান করে ১৬ । অপরঞ্চ, জীবের প্রাকৃতিক স্বরূপ ও বাহ জগতের যথার্থ তত্ত্বও লোকে লাভ করিতে পারে না, কিন্তু তদুভয়কে অীর এক H! | l | l \ o * , g J |

| ૧ প্রকারে দেখে । ইহাও অজ্ঞানের কার্য্য। মানসিক প্রকৃতি ও বহির্ব্যাপ্ত প্রকৃতির পরম্পর সম্বন্ধাধীন জীযেতে যে স্বাৰ্থ, অভিমান ও বাসনা জন্মে তাহারই বশতাপন্ন হইয়া লোকে দেহ প্রাণাদির সমষ্টিকে জীব বলিয়। মনে করে এবং ঈশ্বর-স্থষ্ট পবিত্র জগতে স্বীয় স্বীয় স্বত্বলভ্য দৃষ্টি করিয়া থাকে। সুতরাং প্রকৃত জীব ও প্রকৃত জগতের তত্ত্ব লাভে বঞ্চিত হয় । এরূপ ভ্ৰম অজ্ঞানেরই কার্ষ্য । ১৭ । যেমন মনুষ্যের নয়নীকরণকারী অল্পস্থানব্যাপী মেঘমণ্ডলকে অধিকতর বিস্তীর্ণ সূৰ্য্যমগুলের আচ্ছাদক বলা যায় তদ্রুপ অবিবেকী মন্তষ্যের স্বার্থ, অভিমান, যুক্তি, তর্ক প্রভৃতি অর্থাৎ ‘অজ্ঞান সৰ্ব্বব্যাপী পরব্রহ্মের এবং প্রাকৃতিক জীব ও জগতের আচ্ছাদক হয় ; ১৮ । উক্ত অজ্ঞান কেবল ব্ৰহ্ম ও চিংজড়াতুকে প্রকৃত সংসারকে মানবের দুগ্নি হইতে আবরণ কবিয ক্ষান্ত হয় না, কিন্তু উক্ত তত্ত্বত্রয়কে আর এক প্রকার করি: দেখায়। অর্থাৎ যেমন নীলবর্ণ চসম চক্ষুতে দিলে সমস্ত জগৎ নীলবর্ণ দেখায় অথবা ঈষৎ-অন্ধকার ও অস্পষ্ট দৃষ্ট্রিবশত রজ্জকে সপ বলিয়া মনে হয় সেইরূপ যথোক্ত-লক্ষণ অজ্ঞান ব্রহ্ম, জীব, ও জগৎকে অপ্রকৃতরূপে দর্শন করায় । ১৯। কিন্তু তাদৃশ নীল বর্ণও যেমন মিথ্যা, ও সপও যেমন মিথ্য, কিন্তু তাহীদের আশ্রয়ীভূত প্রকৃত বর্ণও যেমন সত্য, ও রজ্জ্বও যেমন সত্য, অর্থাৎ সত্য-পদার্থের আশ্রয়েই ব্যক্তির যেমন মিথ্যা বস্তুর ভ্রম জন্মে সেইরূপ ঐ বুদ্ধি, যুক্তি, তর্ক, স্বার্থ এবং অভিমানাত্মিক বিকৃত প্রকৃতি-স্বরূপিণী অবিদ্যাতে প্রতিফলিত ঐ ঈশ্বরও মিথ্যা, মনঃকল্পিত জীবও মিথ্যা, অভিমান