পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*:8 জন্মিয়াছ। স্বৰ্গাদি পদ ত্ত সামান্ত কথা, আমার আরাধনায় লোকে মুক্তিপদ প্রাপ্ত হুইয়া থাকে। অতঃপর তুমি আমার প্রসাদে ত্রিলোক অপেক্ষ উচ্চতর স্থানে সমুদায় গ্ৰহ নক্ষত্রের আশ্রয় হইয়! থাকিবে । আমি প্রভৃতি জ্যোতিস্ক মণ্ডলের উপরিতন স্থান তোমাকে প্রদান করিলাম । দেবগণের মধ্যে কেহ চার যুগ, কেহ বা যুগান্তর অবস্থিতি করেন, কিন্তু তুমি কল্প-কাল স্থায়ী হইবে । তোমার জননীও ততদিন তোমারই সন্নিহিত থাকিবেন } টপ সংস্কার । বেদ, স্মৃতি ও দর্শন যে সকল গুঢ় তত্ত্ব আবিষ্কার করে পুরাণ অধিকতর বোধসুলভ স্কপ্লিনার জন্য গল্পচছলে তং সমৃদtয় করিয়া থাকে । এই উপাখ্যানে কএফট উৎকৃষ্ট তত্ত্ব গূঢ় ভাবে নিহিত আছে। মন্ত প্রভৃতি স্মৃতিকার ধৰ্ম্ম, নীতি ও জ্ঞানরক্ষার জ্ঞার ব্রাহ্মণদিগে য়ু হস্তে, এবং প্রজাপীলনের প্রার ক্ষত্রিয়দিসের হস্তে অর্পণ করেন। কি শক্তি কি সাধারণের ইচ্ছা যাস্থ দ্বারাই কেন জীব স্বাস্ত হউক না, মনুসা-সমাজের অ!fদম অবস্থায় উই! অবিশ্বকে হইয় উঠে প্রভূত্ব একটি ভয়ঙ্কর পদার্থ, সে ভল্পে স নয়, সে ক্রমশই অধিকার বিস্তারের চেষ্টা পায় । সে স্বার্থের প্ররোচনায় ধৰ্ম্ম ও নীতির বন্ধন কোন কোন সময় ছিন্ন ভিন্ন করিয়া ফেলে। স্মার্তের দেখিলেন, এই অনিয়ন্ত ত্ত ব্যবহারের পরিস্কার আবশ্যক। সুতরাং একটী স্বতন্ত্ৰ শ্রেণী নির্দিষ্ট হইল। ইহারই হস্তে ধৰ্ম্ম, নীতি ও জ্ঞান-রক্ষার ভার। এই শ্রেণীই ব্রাহ্মণ । ইহার রাজগণের প্রাড় ৰিবাক এবং প্রজাদিগের ধৰ্ম্মশিক্ষক আচাৰ্য্য। ইহঁরা অনন্যমন ও অনন্যকৰ্ম্ম হইয়। ধৰ্ম্ম ও নীতি প্রচার পরিবেন এই জন্য ব্যবস্থা আছে যে •r co d צר"י g st? তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা אוהשימו אש8 : ইহঁদের জীবিকা সাধারণের হস্তে। এখনও যে অধ্যাপক ব্রাহ্মণের দান-মামে পূজিত হইয়া থাকেন তাহাও সেই চিরন্তনী রীতি। যাহাই হউক, এক সময়ে এই ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণের সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধন করিয়া চন্দ্র সূর্য মঙ্গল বুধ বৃহস্পতি শুক্র ও শনি । ছিলেন । এক্ষণেও ইউরোপে সভ্যতার উজ্জ্বল দিবালোকে কোমতের স্যায় দর্শনকার রাজা ও প্রজার মধ্যবর্তী এইরূপ একটা স্বতন্ত্র শ্রেণীর আবশ্যকতা স্বীকার করিয়া থাকেন। কিন্তু ইহা ভারতবর্ষেরই চিন্তাপ্রসূত ফল। ধ্রুব যখন বিমাতার সগৰ্ব্ব বাক্যে রাজ-প্রাসদ পরিত্যাগ করিলেন তখন তিনি ত একটী সামান্ত প্রজা – একটী অত্যা চার-পীড়িত ক্ষুব্ধ প্রজা । সুতরাং তৎকালে প্রজাবৎসল ব্রাহ্মণের উপস্নেহ আকর্ষণ করা ভিন্ন তাহার আর কি করিবার অাছে। পার্থিব ! | | ও পারমার্থিক সকল তত্ত্বই ব্রাহ্মণদিগের আয়ন্ত । ইহার ধ্রুবের অকাল-বৈরাগা উপ স্থিত দেখিয়া অগ্রে গার্হস্থ্য ধৰ্ম্মের উপদেশ i | দেন । ধৰ্ম্মভাব মনুষ্য-সমাজের উন্নতি ও সুখবৃদ্ধির মূল । ইতিহাস তাছাই প্রমাণ কবিতেছে । সুতরাং যিনি মনুষ্যকে এই ভাব দিয়াছেন, তিনি যে পৃথিবীর উন্নতি ও সুখবৃদ্ধি চান তদ্বিষসে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । কিন্তু কোন অবস্থা মনুষের যোগ্য, কোন অবস্থা ঈশ্বরের এই সৰ্ব্ববিঞ্জী ইচ্ছার অনুস্কুল, অগ্রে তাহার বিচার আবশ্বক। ধৰ্ম্মদর্শী ভগবান মনুষ্কলুষ্যের চারিটি অবস্থা বা আশ্রম নির্দিষ্ট করিয়াছেন, -ব্রহ্মচৰ্য্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস। এই আশ্রম-চতুষ্টয়ের মধ্যে ব্ৰহ্মচর্য কেবল শিক্ষার জন্য, ইহা কার্য্যের অবস্থা নহে। তৃতীয় ও চতুর্থ এই আশ্রমে কেবল ঈশ্বরেরই সহিত সম্বন্ধ, ধৰ্ম্মামুশীলন ও ধৰ্ম্মসাধন ভিন্ন ইহাঙে জার কিছুই নাই । দ্বিতীয় জাপ্রশ্নটি সামাজিক ;