পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (নবম কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

of: 28% is ব্ৰহ্মচর্য্যে যাহা শিক্ষা হয় এই আশ্রমে কেবল তদনুযারী কাৰ্য্য। এই ত গেল চা আশ্রম। এক্ষণে ইহার মধ্যে কোন্ধটা উৎ" কৃষ্ট । এস্থলে মনু কহিয়াছেন, যথা বায়ুং সমাশ্রিতা বৰ্ত্তত্ত্বে সৰ্ব্ব জস্বৰঃ। তথা গৃহস্থমাশ্রিত বর্ভস্তে সৰ্ব্ব আশ্রমাঃ । যম্মাং ত্রয়োপ্যাভ্ৰমিণোজানেনায়েন চাস্বহং । গৃহস্তেনৈব ধার্যান্তে তন্মাজ্যেষ্ঠাশ্ৰমে গৃহী। যেমন জীবনের প্রতি বায়ু কারণ, সেইরূপ অন্যান্য আশ্রমীর জীবিকা-লাভের প্রতি গৃহী কারণ। গৃহী জ্ঞান ও অন্ন দ্বারা প্রতিনিয়ত তিন আশ্রমকে পোষণ করেন এই জন্যই গৃহস্থ শ্রম সর্বশ্রেষ্ঠ। সুতরাং মনুর অভিপ্রায় অনুসারে গৃহস্থাশ্রম সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । কেবল ধৰ্ম্মা ব উন্মত্ত থাকা অপেক্ষ এই বিশাল সপকে ঈশ্বর স্মরণ পূর্বক সেবা কর। মনুসের উৎকৃষ্ট অবস্থা, মনুর ণেইই অভিপ্রায় । তিনি সুক্ষস্তের পক্ষে যে সকল ব্যবস্থ কলিয়ছে, তন্মধ্যে ব্রহ্মযজ্ঞ, হোম ও বলিকৰ্ম্ম ভূতি ধৰ্ম্মাংশ অনেকট দেখা যায়, কিন্তু গৃহী কেবল ধৰ্ম্মাংশ টুকু পালন করেন বলিয়াই শ্রেষ্ঠ নন, তাহার শ্রেষ্ঠতা পরোপকরে,ঈশ্বরের প্রিয় সংসারের চরণ-সেবায় । মনু পরশ্লোকে কহিয়াছেন, স সন্ধাৰ্য্যঃ প্রযত্ত্বেন স্বর্গমক্ষয়মিচ্ছত । সুখং চেচেচ্ছত নিতাং সেহি ধাৰ্য্যোধুর্বলেন্দ্ৰিয়ৈঃ ॥ به جه যিনি পারত্রিক অক্ষয় স্বর্গ এবং ঐহিক সুখ ইচ্ছা করেন তিনি সৰ্ব্ব প্রযত্নে গৃহস্থাশ্রম পালন করিবেন; কিন্তু যিনি অজিতেন্দ্রিয় তাহার পক্ষে এ আশ্রম নির্দিষ্ট হয় নাই । উৎকৃষ্ট কার্যেরই উৎকৃষ্ট পুরস্কার, এই জন্য পরোপকারী গৃহস্থের স্বৰ্গসুখ নির্দিষ্ট হইয়াছে। এই শ্লোকে আর একটী গৃঢ় কথা আছে। ইন্দ্রিয়গণকে দমন না করিলে গৃহস্থ হওয়া যায় না,ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে,স্বাৰ্থ অপেক্ষা পরার্থকে উংকৃষ্ট না জানিলে তিনি সামা উপসংহার । 'పె(r জিক নন, অথবা তিনি সমাজের শুভভিপ্রায় সম্পাদনে সম্পূর্ণ অক্ষম । বর্তমান দার্শনিক কোমতেরও এই মত। তিনি বলেন,যে স্বাথকে খৰ্ব্ব করিয়া পরার্থকে অধিকতর শক্তি না দিলে মনুষ্য-সমাজের শ্ৰীবৃদ্ধি কখনই হইতে পারে না । তবে তিনি ঈশ্বর ও ধৰ্ম্মে উদাসীন, তাহার মতে কেবল সামাজিকতা বা পরোপকারই ধৰ্ম্ম ; কিন্তু মনু ধৰ্ম্মাংশের সহিত যোগ রাখিয়া সামাজিকতাকেই পরম ধৰ্ম্ম বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । যাহা হউক, যে আশ্রমে থাকিলে সামাজিকতা রক্ষ হয় তাহাই গার্হস্থ্য । ইহা সৰ্ব্বপ্রধান আশ্রম । ইহাতে বৃদ্ধ পিতা মাতাকে জীবন্ত দেবতা বোধে শ্রদ্ধ। ভক্তি করা যায় ; প্রেমময়ী ধৰ্ম্ম-পত্নীর মূচ্ছিত হৃদয়ের রসায়ন-স্বরূপ পবিত্র প্রীতি অনুভূত হয় ; বালকের মুগ্ধ মধুর বাক্য এবং রক্তোষ্ঠ-বিলীন অৰ্দ্ধস্ফট হাস্য মনে স্বৰ্গসুখ আনিয়া দেয় ; দীন হীন মিরশ্নের ! সহিত মুখের গ্রাস বিভাগ করিয়৷ অপূৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম সঞ্চিত হয়, ধৰ্ম্মীক্ত-কলেবর পথ শ্রী স্ত অতিথির-জন্য দ্বার উন্মুক্ত থাকে ; স্বজন বৎ সল্য ও মিত্রতা চরিতার্থ হয় এবং পশুচর্যার আনন্দ লব্ধ হইয় থাকে। ফলত ঈশ্বর মনুষাকে যে সমস্ত মনোবৃত্তি দিয়াছেন এই আশ্রম তাহার উপযুক্ত এবং মনুষ্যের ধৰ্ম্মনীতি এই আশ্রমেই সম্পূর্ণ চরিতার্থ হয় । এই জন্য জ্ঞান-শিক্ষার পরই গার্হস্থ্য-বিধান । অরণ্যবাসী ঋষিরা ধ্রুবকে সৰ্ব্বাগ্রে গার্হস্থ্য ধৰ্ম্মরক্ষায় অনুরোধ করেন ; কিন্তু ধ্রুব উহাদের বাক্যে অনুমোদন না করিয়া এই কথা কছিলেন, আমার পিতাও যে পদ প্রাপ্ত হন নাই আমি তাহারই অভিলাষী ( এস্থলে একটী উচ্চ ভাব প্রচ্ছন্ন আছে। পৃথিবীতে পিতাই সর্বাপেক্ষা প্রধান “থাৎ পিতোচ্চতরস্তথা” পিতা আকাশ হুই