ব্রাহ্ম-সমাজের পুরাবৃত্ত। গত ২৪ পৌষ রবিবার কলকাতাতে ব্ৰাহ্ম-সমাজের কার্যালোচনা জন্য ব্রাহ্মদিগের ষে বার্ষিক সন্ত হইয়াছিল, তাহাতে সুধীবর ঐযুক্ত রাজনারায়ণ বস্ব মহাশয় ব্রাহ্মসমাজের পুরাবৃত্ত বিষয়ক যে প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন, তাহা নিয়ে প্রকাশিত হইল । | “একত্রিংশৎ বৎসর অতীত হইল,আমার- ; দের প্রিয় জন্ম-ভূমি এই বঙ্গ দেশে ব্রাহ্ম-ধর্মের প্রথম সুত্র-পাত হয়; সেই কালাবধি বৰ্ত্তমান সময় পর্যন্ত এই ধৰ্ম্মের কত উন্নতি হইয়াছে,তাহা অামারদিগির একবার সমালোচনা করা কৰ্ত্তব্য । এই সমালোচনাতে অনেক লাভ তাছে । ভবিষ্যতে কি প্রকারে আচরণ করা উচিত, তাহা পুর। কালের ঘটনা আলোচন দ্বার শিক্ষণ করা যায় । ব্ৰাহ্ম-ধৰ্ম্মের পুরাবৃত্ত লিখিবার ভার ব্রাহ্ম সমাজের অধ্যক্ষের সামার প্রতি আপণ করিয়াছেন । এই ভারটা আমার পক্ষে আতি মনোরম ভার। যে সজীব ধৰ্ম্মের বিষয় পূৰ্ব্বে আমার অল্প ক্ষমতনুসারে আমার ব্ৰহ্ম ভ্রাত দিগকে উপদেশ দিয়ছিলাম, সেই সজীব ধৰ্ম্ম অনেক ব্রাহ্মের মনে এক্ষণে সঞ্চারিত দেখিতেছি । এক্ষণে অনেক ব্রাহ্মেরই হৃদয়ঙ্গম হইয়াছে; ধৰ্ম্ম কেবল বলিবার বস্তু মহে, তাহা করিবার বস্তু । ঐ কথা কেবল র্তাহারদিগের হৃদয়জন্ম হইয়াছে, এমত নহে; তাহারদিগের মধ্যে সাধ্যানুসারে কেহ কেহ সেই হৃদগত প্রত্যয়ানুযায়ী কার্য্যও করিতেছেন । এক্ষণে অনেক ব্রাহ্মেরই এই গাঢ় প্রত্যয় জন্মিয়াছে, ধৰ্ম্মের জন্য ত্যাগ স্বীকার করিতেই হইবে —কট বহন করিতেই হইবে। দিন দিন অনেক মুক্তন লোক আমারদের ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেছেন। আমি আমার সঙ্কীর্ণ শক্তি অমুলারে ষে ধৰ্ম্মের উপদেশ দিয়াছিলাম, সেই ধর্মের উন্নতি দেখিয় তাহার পুরাবৃত্ত লিখন কার্য্যকে অতি মনোরম কাৰ্য্য জ্ঞান করিতেছি । প্রেস্তাবটী অতি মনোরম, অামাৱ ইচ্ছা যে তাছা অতি উৎকৃষ্ট করিয়া লিখি; কিন্তু মৰেৱ মতন ফুরিয়া লিখিতে অtয়ার
- * &....
} ○8N○ অক্ষমতা ৰোধ, করিয়া বিশেষ ক্ষোত পাইতেছি । । e যক্রপ অন্ধtণর রজনীতে সমস্ত নভোমণ্ডল মেঘাবৃক্ট হইলে একটা তারকও আকাশে স্বীয় রমণীয় জ্যোতি দ্বারা চক্ষুদ্ব য়কে আমোদিত করে না, এতদ্দেশে রামমোহন রায়ের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বে ধৰ্ম্মসম্বন্ধে তাহার তদ্রুপ অবস্থা ছিল । সকল লোকই পশু উদ্ভিদ ও অচেতন মৃণুয় বা প্রস্তর নিৰ্ম্মিত পদার্থকে হষ্টি-স্থিতি-প্রলয়কৰ্ত্তণ-ৰূপে উ গমন করিত এবং অলীক ক্রিয়া-কলাপই আপনারদিগের ঐহিক পারত্রিক মঙ্গল সাধনের এক মাত্র উপায় বলিয়ঃ জানিত । কেহই সেই নিরবয়ব অতীন্দ্ৰিয় সৰ্ব্ব মঙ্গ লীলয় পর েশ্বরকে আত্ম-সমৰ্পণ করিয়া ভশহরে অবস্থ। । | র্তাহার পূজা করত না । ধৰ্ম্ম হীনাবস্থায় থাকিলে আর সকলই ষ্ট্ৰীনার স্থায় থাকে । ভিতরের অন্ধকারের সহিত বাহা অন্ধকারের তুলন। কোথায় ? এতদ্দেশে রামমোহন রায়ের আবর্ভাব হওয়াতে সে অন্ধকার ক্রমে দুরীভূ হইতেছে ও ধৰ্ম্ম বিষয়ে মশঃ উন্নত হইতেছে । হুগলী জেলার অন্তঃপাত খানাকুল কৃষ্ণ নগরের নিকট রাধানগর গ্রামে ১৬৯৫ শকে ঐ মহাপুরুষ জন্ম গ্ৰহণ করেন। বাল্যকালাবধি ধৰ্ম্মের প্রতি তাছার নিজ স্ত অনুরাগ ছিল । তিনি তিববতাদি নান দেশ ভ্রমণ করিয়াছিলেন ও যে যে দেশ পর্যটন করিয়াছিলেন, সেই সেই দেশের ধৰ্ম্ম বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান করিয়াছিলেন । পর্যটনের পর গৃহে প্রত্যাগমন করিয়া বিষয়-কার্যে ব্যাপৃত হইলেন; তৎপরে ১৭৪০ শকে বিষয়-কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়৷ কলিকাতার বাহির শিমলার উদ্যানে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন । সেই উদ্যান হইতে বাঙ্গল অনুবাদ সহিত কয়েক থানি উপনিষদ প্রকাশ করিলেন। সেই সকল উপনিষদের এক একটি ভূমিকা পৌত্তলিক ধৰ্ম্মের প্রতি এক একটী প্রবল অাঘাত-স্বৰূপ হষ্টয়াছে । ১৭৪৫ শকে পাষ গুপীড়ন নামক গ্রন্থের উত্তরে " পৃথ্য প্রদান • এই কোমল আখ্যা দিয়া প্রচলিত কাল্পনিক