পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

තු ල স্বগ ও নরক । স্বর্গ নরকের ভাব কিছু না কিছু সকল ধৰ্ম্মেতেই পাওয়া যায় । যেখানে পাপ পুণের কথা কিছু আছে—ষে ধৰ্ম্মে কৰ্ত্তবের ভাব কিছুমাত্র পরিস্ফুটিত হইয়াছে, সেখানে স্বর্গ নরকের কোন না কায় প্রম ৮ অপশু ই পাওয়া যায় । সকল ধৰ্ম্মেতেই পাপ-লোক দুঃখময়" এবং ៗ লোক সুখের ধাম “ বলিয়া বর্ণনা আছে । এ পুথি দীতে আমাদের ন্যায়ের ভাব চরি৮:থ হয় না, এখানে পাপ পুণ্যের উপযুক্ত মত দণ্ড পুরস্কার বিধান হয় না । যে পাপ৷ সে সুখ সম্পদ ভোগ করিতেছে , যে ধাস্মক সে হীনভাবে দিন যাপন করিতেছে । দেহ মায় স্থ। উপযুক্ত রূপে বিতরণের নিমিত্তে আমরা সকলে স্বভাবতঃ পরলে;কের প্রতি দুটি করিতেছি । সকল ধৰ্ম্মেরই এই উপদেশ যে পরম নয়বান পরমেশ্বর পরলোকে পাপ পুণ্যের কলকল নায্য । ৰূপে বিধান করবেন । আমরা সহজ জ্ঞানে । যা ক ! পাইতে{চ,ব্ৰহ্মধৰ্ম্মে সপক্ষেপের মধ্যে তাহার সকলই আছে । “পুণ্যং কুবন পুণ্য- |

কীৰ্ত্তিঃ পুণ্যং স্থানং স্ম গচ্ছতি | পাপং কুৰ্ব্বন । পাপকাস্টিং পাপমেৱাশ্ন তেফলং” কিন্তু সেই পুণ্যফল আর পাপফল বিশেষ করিয়া বলিতে গিয়া ই মান ভ্রমের উৎপত্তি হইয়াছে । ধৰ্ম্মেতেই সুখ এবং পাপেতে দুঃখ এই অমর সহজ জ্ঞানে জানিতেছি । কিন্তু যেখানে সেই সুখের ভাব ও দুঃখের ভাব সবিশেষ বণম করণ হইয়াছে, সেখানে সত্যের পরিবত্ত্বে কল্পনাই স্থান পাইতেছে। ধৰ্ম্মের সঙ্গে সুখের fক প্রকার আর পাপের সঙ্গেও দুঃখেরই বা কি প্রকার সম্বন্ধ, তাহ! বিধে চল। করিয়া দেখিলেই স্বর্গ মরকের ভাব অনেক বুঝা যাইবে । SSBBBBBSBBBBBBB BBBBBSBBBB S S KDSttttSBB BBBS BB BBB BBB BBS BBBBS SJSBBSBB BBBSBBSBBBBSB BBBB SBBBBS দ্য ও স্ব গলে কে । কঠোপনি ষণ্ড । BBBBBS BBSB BBBBBB BBBBB BBB BDD নাই , চে মুণ্ডু তুমিও সেখানে নাই, জরাও সেখানে ভয় দিতে পারে ন মশনাপিপাস এ উভয়ই অতিBBS BBBS BBB DBB DD DD DS BBBBB BBS ভোগ করে । স্ব সলোকের কেমন সহজ নিস্কপট বর্ণনা কোন -, | | i } | তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। মুখ কি ? অামাদের সমুদয় বৃত্তির চরিভার্থতাতেই সুখশ আমাদের কোন এক বৃত্তি নিদ্রিত থাকিলে সুখের একটি স্বার রুদ্ধ হইল । মনুষ্যের ইন্দ্রিয় প্রবৃত্তি সকল বাহ বিষয়ের প্রতি উন্ম,খ রহিয়াছে, র্তাহার মানস-রসন সৌন্দর্য্য রম পান করিবার জন্য উৎসুক রহিয়াছে, তাহার বুদ্ধিবৃত্তি-সকল জ্ঞান এবং সত্যের দিকেই প্রসারিত হইতেছে, তাহার হৃদয় প্রেমকুধ শান্তির নিমিত্তে নিয়ত ব্যাকুলিত হইতেছে, র্তাহার ধৰ্ম্ম-প্রকৃতি শ্রেয়কে অবলম্বন করিয়াই চরিতার্থ হইতেছে এবং তজনিত বিমল আত্ম-প্রসাদেই পরম পরিতোষ প্রাপ্ত হইতেছে, তাহার ঈশ্বর-পূহ বিষ য়ের স্থল আবরণ ছেদ করি, অদৃশ্ব অ’ লক্ষ্য বিষয়ভীত ঈশ্বরকে পইয়া চরিতার্থ হইতেছে। ময়ূন্য যদি সম্পূর্ণ ৰূপে স্বর্থী হইতে চাহেন, তবে তাহর জন্য অর্থ, জ্ঞান, প্রেম, ধৰ্ম্ম, ঈশ্বর, এ সকলই আবশ্বক ! আমাদের কেন এক বৃত্তি কোন এক ইচ্ছ। তা সম্পন্ন থাকিলে তজ্জনত সুখ হইতে | বাঞ্চ ত হইতে হয় । আমাদের সুখ যখন এমত বিভিন্ন প্রকার, তখন ইহা স্পষ্টই রহিয়াছে, যে এসমুদায় সুখ এক কালে উপভোগ কর। আমাদের সাধ হয় না । ইন্দ্রিয় লোলুপ ব্যক্তি বুদ্ধ-জনিত ও ধৰ্ম্ম-জনিত সুখভোগে সমর্থ হয় না। ধৰ্ম্মিক ব্যক্তির অনেক সময় বিযয় সুখে বঞ্চিত হক্টতে হয়। আমাদের হৃদয়ে কোন দুঃসহ পরিতাপ উপস্থিত হইলে ইন্দ্রিীয়-সুখ বিজ্ঞান-সুখ ইহার কিছুই আস্বাদন করিতে পরি না এবং ইহাও দেখা গিয়াছে যে ধৰ্ম্ম-যোদ্ধাগণ ধৰ্ম্মবৰ্ম্মে আবৃত থাকিয় বিপক্ষদিগের সহস্র প্রকার অত্যাচারকে তুচ্ছ করিয়াছে, তাহদের আত্মার শান্তি কেহই হরণ করিতে পারে নাই। “ প্রসাদে সৰ্ব্বন্ধুঃখানাং হানিরস্যোপজায়তে ’ । ইহা হইতে আমরা এক নিয়ম এই পাইতেছি, যে মহৎ ও পবিত্র সুখ উপভোগ করিতে হইলে নিকৃষ্ট সুখ অনেক সময় পরিত্যাগ করিতে হইবে। বিযয়ের সঙ্গে যেমন আমাদের বিষয় সুখ, ধর্মের সঙ্গে সেই ৰূপ আত্ম-প্রসাদ