পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবহররের সঙ্গে ব্রহ্মানন্দের উপভোগ ङ् ।। ७झे ধৰ্ব্বজনিত আত্মপ্রসাদ এবং ঈশ্বরের সহবাস জনিত ব্রহ্মানন্দ আমাদের চিরজীবনের সম্বল। বিষয়ের যোগে যে স্থখ, অহা বিষয়ের বিচ্ছেদেই চলিয়া যাইবে; কিন্তু ধর্মের আনন্দ ও ব্রহ্মানন্দ আমাদের অক্ষয় ধন । মনুষ্যের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গুলির ধৰ্ম্ম প্রকৃতি ক্রমিকই প্রশস্ত ও উন্নত হইতে থাকিবে এবং তজনিত আনন্দ জারে অধিক হইতে থাকিবে । যৌবন কালে যেমন নূতন नृडन সুখের প্রস্রবণ এসুখ হইয়। শৈশব-কালের স্থখ সমুদায়কে অতিক্রম করে, মাত্মার উন্নতাবস্থাতেও orই ৰূপ জ্ঞান, ধ,ঈশ্বর-প্রীতি, এই সকল হ তেই আনন্দ ধারা নিঃস্বত হইয়। নিকৃষ্ট মুখ সমুদয়কে অতিক্রম কারয়। উঠিবে। ধৰ্ম্মের সঙ্গে আত্ম প্রসাদের সঙ্গেই বিশেয যোগ, বিষয়-সুখের সঙ্গে সে প্রকার নাই ; আমাদের আস্বাদন না থাকিযেমন অহারের বিচার থাকিত না, সেই ৰূপ আত্মপ্র মাদ ন থাকিলে অমর। ধৰ্ম্মের মাধুর্য গ্রহণ করিতে পারতাম না ; সুতরাং অনেক স্থলে ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের বিশেষ ব্যাঘাত জন্মত । আমরা নিস্বার্থভাবে ধৰ্ম্ম কার্য্য গ;ধন করিলেই ঈশ্বর আমাদের অণমাতে আত্ম-প্রসাদ প্রেরণ করেন । বিনয়-সুখ যদিও অনেক সময় ধৰ্ম্মের বিরোধ হয় ; কিন্তু আত্ম-প্রসাদ বিশ্বাসী অনুচরের নায় তাহার সঙ্গে থাকিয় অণ মারদিগকে ধৰ্ম্মকার্য্যে অারে। উৎসাহ দিতে থাকে। বিষয় সুখ ধর্মের নিয়ত সঙ্গী নহে। ধৰ্ম্মকে সাধন করতেই হইবে ; তাহার আনুষঙ্গিক বিষয়-সুখ পাওয়া যায় ভালই, না যায় তাহাতেই বা কি ? অামাদের সকল বৃত্তির চরিতার্থতাতেই সুখ ; তাহাদের মধ্যে ধৰ্ম্মের বিরোধী সুখকে পরিত্যাগ করাতে ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্মকে রক্ষা করিতে হইলে বিষয়-সুখ অনেক সময় বিসজ্জন করিতে হইবে, কষ্টকে আদর পূর্বক গ্রহণ করিতে হইবে। আমাদের যৌবনকালে সকল প্রবৃত্তিই সমুন্নত হয়। এই সময়ে জামারদের আমোদ-স্পহী, লোকানুরাগ, RS বিষয়-লালস, সকলই প্রবল হইয় উঠে । এই কালেই আমাদের ইচ্ছার সঙ্গে ধর্মের সঙ্গে সৰ্ব্বদা বিরোধ উপস্থিত হয়। মনের ইচ্ছাকে চরিতার্থ করিলেই তাহাতে আমাদের মুখ ; ধর্মের আদেশে সেই মুখকে বিসজ্জন করিলে আত্ম-প্রসাদ থাকে। ধৰ্ম্মকে রক্ষা করিতে গেলে অনেক সময় বিষয় সুখকে পরিত্যাগ করিতে হইবে ; কিন্তু তাহাতে ধৰ্ম্ম-জনিত আনন্দ আরো অধিক উজ্জল হইতে থাকিবে। নিঃস্বার্থ ধৰ্ম্ম কার্যোর ফল আত্ম-প্রসাদ ; ইন্দ্রিয় সুখ, বিজ্ঞান-সুখ, ধৰ্ম্মের নিকট হইতে প্রার্থনা করা বৃথা । সুখ এবং আত্ম-প্রসাদ এই দুয়ের মধ্যে প্রভেদ নির্দেশ করিলে অনেক ভ্রম দুর হইতে পারে । কেহ কেহ বলেন, ঈশ্বরের রাজ্যে বিচার নাই ; ধাৰ্ম্মিকেরাই অধিক দুঃখী, পাপীরাই এ সংসারে মুখে তাছে। ছিতৈষণ, ন্যায়, সত্য অবলম্বন করিতে গেলেই ধন মান মর্য্যাদার হানি উপস্থিত হয় । অতএব সংসারে সুখে থাকিতে গেলে ধৰ্ম্ম রক্ষণ কোন ক্রমেই হয় ন; } আমরা ধাৰ্ম্মিক হইলে সংসারের সকল সুখ সম্পদ ভোগ করিতে পাইব, ঈশ্বর তামাদের মঙ্গলের জনাই এৰূপ বিধান করেন নাই । তিনি আমাদের সুখ তত চাহেন না, যত আমাদের ধৰ্ম্ম চাহেল । যদি ধাৰ্ম্মিক হইবামাত্র অণমাদের সমুদয় কামনা চরিতার্থ হইত, তবে ধৰ্ম্মের কোন মূল্য, কোন বলই থাকিত না । ধৰ্ম্মের এ প্রকার উদার ভাব যে আমর। যদি স্নখ উদেশ করিয়া ধৰ্ম্ম সাধন করি, তবে তাহার পবিত্রতার হানি হয় । ত্যাগই ধৰ্ম্মের প্রাণ স্বৰূপ ; কিন্তু আমরা যদি ভাবি লাভের উদেশে ত্যাগ আপাততঃ স্বীকার করি, তবে ধৰ্ম্মতঃ সে ত্যাগই নহে । ধৰ্ম্মের জন্য সম্যক ত্যাগ স্বীকার করিতে হইবে । ধৰ্ম্মকে ধৰ্ম্মের জন্যই আলিঙ্গন করিতে হইবে । আমর। যদি ভাবি মুখের প্রত্যাশায় বৰ্ত্তমান সুখ পরিত্যাগ করি, তবে তাহ ধৰ্ম্ম সাধন হইল না, স্বার্থ সাধন মাত্র। ধৰ্ম্মের আদেশ বলিয়াই কাৰ্য্য করতে হইবে ; তা