§ 2, হাতে আনা কোন গুপ্ত অভিসন্ধি থাকিলে হইবে না। ! এস্তা, বিষয় সুখের সঙ্গে ধর্মের সঙ্গে কেনন বিরোধ; আমাদের সম্পূর্ণ লে{" শূন্য হইয়! ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিতে হইবে । তবে ঈশ্বয় যদি তাহার পুরস্কার দেন ; তিনি যদি আমাদের কষ্টের শতগুণ সুখ আমাদের জন্য সঞ্চিত করিয়া রাখেন, তবে ইহাতে র্তাহর কৃপা তিন্ন আর কিছুই নাই, ইহাতে আমাদের নিঃস্বর্থ ভাবের লিঘয়-মুণের সঙ্গে ধর্মের বিরোধ থাকতে ই ধৰ্ম্মের যথার্থ মহাত্ম প্রকাশ পাঠঙেছে । আমাদের যাই। যাহা ইচ্ছা, তাহাঁই যদি ধৰ্ম্ম হইত ; আমাদের স্বেচ্ছাচার অ}র কৰ্ত্তধ্যে যদি কোন প্রভেদ না থাকিত ; তবে ধৰ্ম্ম কার্যের মুল্য কি থাকিত ? আমরা আপন হইতে ধৰ্ম্ম পথে যাই, ঈশ্বরের ইচ্ছ। এই , এবং এই হেতু তিনি আমাদিগকে স্বাধীন করিয়া দিয়াছেন । আমাদের সম্মখে সৎপথ, অসৎপথ দুই ই রহিয়াছে এবং এই দুয়ের মধ্যে যাচ। লইতে পারি, এক ভার ও রহিয়াছে। যখন ইচ্ছা পুধ্বক সংকে অবলম্বন করতেষ্ট ধৰ্ম্ম, তখন যদি ধৰ্ম্মের বিরোধী ইচ্ছ। আমাদের কিছুই ম। থাকিস্ত, তাহ হইলে আমাদের ধর্মের \git l| উপজি ন কি চত ? সংসারের কোন প্র- ; লোভনই যদি আমাদিগকে ধৰ্ম্ম-পথ হ- ইতেও অন্যের প্রতি প্রেম, দয়া, করুণ। ইতে আকর্ষণ করবার জন্য আমাদের । সন্ম গে না আসিত, তবে ধৰ্ম্ম রক্ষার গোরব কি থাকিত ? তাহ হইলে অমর। নির্দেশম থাকিতম স্বটে ; কিন্তু সে পিবেচ- | নায় পশুরাও নির্দোষ। যাই ধৰ্ম্মের বিরোধী বিষয়-সকল আমাদিগকে আকর্ষণ করতেছে, যাই আমরা বলপূর্বক সেই সকল ৰিষয়ের প্রতিশ্রোতে যাইতেছি, তাহতেই তামরা ধৰ্ম্মের গুরুত্ব উপলব্ধি করিতেছি । ঈশ্বর যদি কেবল আমাদিগকে সুখী করিবার ইচ্ছা করিতেন, তবে ধৰ্ম্ম না দিয়াও সুখী করতে পারিতেন । কিন্তু যখন র্তাস্কার শুভ অভিপ্রায় এই যে আমরা ধৰ্ম্মবল উপাঞ্জন করিয়া ভঁাহার নিকটবৰ্ত্তী হইতে তত্ত্ববোধিনী পত্রিক । থাকি, তখন আমাদের লক্ষ্য কি বিষয় সুখ হওয়া উচিত ? না ধৰ্ম্মের জন্য বিষয় সুখের হানিকে হানি বোধ করা উচিত ? আমরা এখানে দুই প্রকার অবস্থা দেখিতে পাই । অনেক স্থলে ধৰ্ম্মের সঙ্গে অামাদের বিরোধ থাকে, অনেক স্থলে নিবিবরোধ। এক আমাদের নির্দেশষাবস্থা ; অন্য তামাদের উন্নতি কিম্ব। দুর্গতির অবস্থা । আমাদের প্রবৃত্তির সঙ্গে অনেক স্থলে ধৰ্ম্মের ঐক্য দেখা যায়। শরীর রক্ষণ অামাদের পরম ধৰ্ম্ম; কিন্তু আমরা প্র. বৃত্তি বশতও শরীর সেবায় প্রবৃত্ত হইতেfঙ্ক । তাশন বমন সুখ" – ছন্দ ভা পাইবার নিমিত্তে লোকে যে এত কষ্ট সহ্য করতেছে, ধৰ্ম্ম তঃ বিবেচনা করতে গেলে তাহাতে তাহীদের কিছুমাত্র গৌরব নাই । কিন্তু যদি তামাদের এমন এক সময় উপস্থিত হয়, যখন অমর বিপদে একান্ত অtক্রাস্ত হই-শোকেতে ব্যাকুল মতি হই – আপনার প্রতি তার কিছু মাত্র আদর থাকে না ; মৃতু্যই আমাদের প্রার্থীয় হুইয় পড়ে ; এমন অবস্থায় যদি আমরা আমাদের সমুদয় বল একত্র করিয়া কেবল ধৰ্ম্মের জন্য কৰ্ত্ত, বেTর জন্য আত্ম রক্ষা করি ; সেই স্তলেই আমাদের ধৰ্ম্ম বল প্রকাশ পায় । এই প্রকার অমর। ধৰ্ম্ম হইতে হিতৈষণার আদেশ পাইতেছি এবং আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বিস্তার করিতেছি । কিন্তু মাত যে র্তাহীর পুত্রকে স্নেহ করেন, স্বামী যে র্তাহার স্ত্রীকে প্রীতি করেন, দরিদ্রের দুঃখ দেখিয়া যে কোন ব্যক্তি দয়া অনুভব করেন, তাহাতে র্তাঙ্গদের ধৰ্ম্ম-গৌরব কি ? সংগ্রাম স্থলেই ধৰ্ম্মের মাহাত্ম প্রকাশ পায় । আমরা যখন আপনার সুখ স্বচ্ছনদত বিসজ্জন করিয়া নিরাহারী নিরাশ্রয়কে অন্ন বস্ত্র প্রদান করি —যখন অtমর সমুদয় কষ্ট সহ করিয়া সুদৃঢ় প্রতিজ্ঞ সহকারে আমাদের কোন চিরপালিত মমদ অভ্যাসকে পরিত্যাগ করি— যখন শক্রকে প্রেম দ্বারা পরাজয় করি, অ সাধুকে সাধুতাতে ক্রয় করি – যখন ধর্মের
