পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। আশঙ্কাও পরিত্যাগ করি, | ইহা অপেক্ষা উন্নত উদ্ধত পবিত্র ফল কি আমাদের প্রকৃত মহত্ত্ব ; তখনই ; আর কিছুই নাই ? হে বিদ্বন ! তুমি কি জন্য প্রাণের তখনই আমাদের কর্তৃত্ব প্রকাশ পায় ; তখনই আত্মাতে আত্মপ্রসাদ অবতীর্ণ হয় । অtস্মার বল বীর্য এই প্রকারেই উপাজহয়। নির্দোষাবস্থায় অনস্ত স্বখের অসহায় এপ্রকার উন্নতির সম্ভাবনা নাই । এই সকল সঙ্গম স্থলেই আমাদের পরীক্ষা ও শিক্ষা হয়। এই হেতু ঈশ্বর অণমাদিগকে সংসারে চিরদিন মুখের ত্রেণড়ে শরীন রাখেন নাই । তিনি আমাদিগকে নান৷ কঠোর অবস্থাতে নিক্ষেপ করিয়া আমাদিগকে শিক্ষা প্রদান করিতেছেন। যেখানে এই প্রকার , থাম নাই, সেখানে জীবনই নাক্ত বলিতে হইবে । দেব-ভাব পশু-ভাব— কুপ্রবৃত্তি সুপ্রবৃত্তির সংগ্রামে আমরা ধৰ্ম্ম{ল উপজ্জন করি মাহার স্বর্গকে এই কেবল সুখের সাম বলিয়: বর্ণনা করে, তাহদের ভ্রম স্থলে স্পষ্টই দেখ। যাইতেছে । এখানে আত্ম প্রসাদই স্বর্গের পূর্বাভাস ; কিন্তু ভাস্কারদিগের মতে সেই স্বর্গেতে বিষয় মুখই রাশীরুত সঞ্চিত হইয়াছে। যে সকল কামন। এই মৰ্ত্ত্যলোকে দুলভ তাহাই সেখানে পুর্ণ হইবে । “ সরথঃ সত্বৰ্য্য। অপরাং, ম’হদায়তন কা নন, সুশীতল ছায়, বিস্তীর্ণ নদী, এই সমুদয় স্বৰ্গলোকে প্রচুর ৰূপে পাওয়া যাইবে । এই সমুদয় প্রাপ্ত হওয়া আমাদের সমুদয় ধৰ্ম্ম কার্য্যের শেষ ফল ! এখানে কিঞ্চিৎ তাগ স্বীকার করিতে পারলে স্বৰ্গলোকে আমরা অশ্ব রথ গজে পরিবৃত হইব । এখানে মুরা পান হইতে বিরত হইলে স্বর্গলোকে উৎকৃষ্ট মদ্য প্রাপ্ত হইব । স্বর্গের এই প্রকার ভাব কি হীন ভাব । ইহাতে আমাদের আত্ম কখনই সায় দেয় না | 2.Nー) মনে কর, তোমাকেই আমি জিজ্ঞাসা করি । মনে কর এtানে তোমার সকল ইচ্ছ। চরি৷ তাৰ্থ হইয়াছে, তুমি এখানকার সকল কাম নার কামৰ্তুগী হইয়াছ, পার্থিব সুখের কোন অভাব নাই ; ধন মান যশ প্রভুত্ব মপর্যাপ্ত ৰূপে ভোগ করতেছ ; এই কি তোমার পরম প্রার্থনীয় অবস্থা ? এই অবস্থাতেই কি তুমি চিরকাল পরিতৃপ্ত থাকিতে পার ? এই সুখ প্রদর্শন যদি অনস্ত কাল পৰ্য্যন্ত তোমার সম্মখে বিস্তুত থাকে, তা হাতেই কি তুমি তাপনকে রুতার্থ বোধ কর? না তোমার আত্মা তঙ্ক অপেক্ষণ মহত্তর উচ্চতর বিষয় চায় ? মনুষের আত্মা এই সকল প্রশ্নে কখনই সায় দিতে পারে না । আমরা যদি স্বগলোক পর্যন্ত এই প্রকার এক সুখের মঞ্চ প্রস্তুত করি, তবে তাহাতে কতক দুর আরোহণ করিরাই দেখিতে পাই (য আমাদের যাহা অাশা ছিল, তাহার কিছুই পুর্ণ হইল না। সহস্ৰ সহস্ৰ ইন্দ্রিয়-সুখ সহস্ৰ সন্ত্ৰ কৃত্রিম শোভায় অনুরঞ্জিত হইলেও আমাদের আত্মাকে পূর্ণ ও পরিতৃপ্ত করতে পারেন।

。 নির্দোষ ইন্দ্রিয় সুখ আবশ্ব লেব, তাহার বিষয়-সুখই কি আমাদের পরম পুরু- । বাৰ্থ ? অামাদের সমুদায় ধৰ্ম্ম-কার্যের । শেষ ফল কি অকিঞ্চিৎকর বিষয় সুখ ? আমাদের সমুদায় আশী ভরণা কি এই , প্রকার সুখেতে পর্যাবসান হইতে পারে? সন্দেহ নাই ! শোভা সঙ্গীত সে গন্ধে পরি বৃত মনোহর উদ্যান বা উন্নত প্রাসাদে বাম কর।--যে সকল স্থানে কণ কোন অ শ্রাব্য স্বর শুনিতে পায় না, চক্ষু কোন কুৎ সি ত ৰূপ দেখিতে পায় না, এমন সকল স্থানে কালক্ষেপ কর – নানাবিধ ভোগা সামগ্রীতে আমাদের পশু-প্রকৃতিকে চারতাৰ্থ করা, এসকল সামান্য সুখ নহে। পওি তাভিমানী ব্যক্তিরণ যাহা রপুন না কেন, এসকল সুখ কখনই হেয় নহে । জগদীশ্বর আমাদের জন্য এপ্রকার সুখ অপর্য্যাণ্ড ৰূপে বিস্তার করিয়। রাখিযাছেন ; আমাদের চক্ষু কৰ্ণ পবিত্র রখের দুই বিস্তীর্ণ দ্বার । কিন্তু এই প্রকার ইন্দ্রিয় সুখই আমাদের সর্বস্ব নহে। ইহাতেই আমাদের সমুদয় প্রকৃতি চরিতার্থ হয় না । আমরা ইহা অপেক্ষাও অারে। অধিক কিছু চাই । নিতান্ত ইন্দ্রিয়