পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে। র্যাহারা ঈশ্বরকে পরম পুরুষ ৰূপে উপলব্ধি করিতে পারেন নাই ; আঁহার স্বস্ট্রির ভাব মনে ৰুরিতে গিয়া মান ভ্ৰমে পতিত হন । . তাহার একৃত্তির অতীত শক্তিকে না দেখিয় প্রকৃতি হইতেই সকল দৃষ্টান্ত গ্রহণ করেন। তাহার বলেন ঘে ৰীজ হইতে ষে মন যব ব্রীহি উৎপন্ন হয়, ঈশ্বর হইতে জগৎ সেই ৰূপ উৎপন্ন হইয়াছে। কেহ বলেন যে তিনি বাধ্য হইয়া এই জগৎ স্থষ্টি করিয়াছেন । অনেকে ঈশ্বরের সঙ্গে জগতের সঙ্গে একীকৃত করিয় ফেলেন ; অনেকে জগৎ-কারণকে কেবল এক অন্ধ শক্তির ন্যায় বিবেচনা করেন । কিন্তু ব্ৰহ্ম ধৰ্ম্ম অন্য প্রকার উপদেশ দেন । ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম এক অন্ধ দৈব শক্তিকে জগতের আদি কারণ বলেন না ; কিন্তু এক মগন পুরুষের ইচ্ছ। ইহার মুলে দেদীপ্যমান দেখেন । তাঙ্গর ইচ্ছার সঙ্গে জ্ঞান, কর্তৃত্ব এবং মঙ্গল ভাব সকলই আছে । সেই স্বতন্ত্র শক্তি, সেই পরম পুরুষ, সেই জীবিত ঈশ্বরই পরম কারণ। তিনি বাধ্য হইয়া এই জগৎ স্বষ্টি করেন নাই ; কিন্তু অপর কাহারও সাহায্য ব্যতীত আপন ইচ্ছাতে আপন মঙ্গল ভাবে, এই সমস্ত রচনা করিয়াছেন । তিনি অন্য কাহারও দ্বার নিয়মিত হয়েন নাই কিন্তু আপনার স্বাভাবিক জ্ঞান-বল-ক্রিয়াতে এই সকলই স্বজন করিলেন । তিনি আলোচনা করি লেম, আলোচনা করিয়া যত কৌশল ইহাতে স্থাপন করিলেন, সকলকেই তাঙ্কর মঙ্গল-ভাব সম্পন্ন করিতে অণদেশ করিলেন । তার মঙ্গল নিয়মে সকলই দিয়মিত হইতেছে। সকলেই তাহার মঙ্গল শাসন প্রচার করিতেছে। তিনি নিজে যে প্রকার মঙ্গলময় এবং আনন্দময়, জগৎকেও সেই মঙ্গল ভাবে ও মানদ:রলে পরিপূর্ণ i করিঙ্গেন ? সেই আশ্চর্যাময়েরই এই बांझ** अञां★। छेन्नङिझे झेशंङ्ग ङौदम । পৃথিবীর মুখস্ত্রর উন্নতি হইতেছে, জ্ঞান ধর্মের উমুক্তি হইতেছে, মঙ্গল ভাব প্রচার হইতেছে। সেই সনাতন পুরাণই একভাৱে চিরকাল রহিয়াছেন, আর সকলকেই তিনি উন্নতির মুখে ত্যাগ করিয়াছেন । র্তার স্বষ্টিতে কিছুই পুরাতন থাকিতে পারে না ; সকলই মুতন নুতন ভােব ধারণ করিতেছে । আমরা স্বত্ব পূর্বক কিছু নিৰ্ম্মাণ করিলে তাঙ্ক। ত্যাগ করিতে কত কুষ্ঠিত হই; কিন্তু র্তাহার সৌন্দর্যময় রাজ্যে তরু-সকল প্রতি বৎসর পুরাতন পত্র পরিত্যাগ করিয়া নুতন পত্র ধারণ করিতেছে—ময়ূরের এমন উজ্জল সুন্দর পক্ষ-সকল ফেলিয়া দিয়া আবার নুতন সজ্জায় সজ্জাভুত হইতেছে । সেই আনন্দময়ের এই জগতে সকলই স্তুতন ও সুন্দর ও উন্নত হইয়া আসিতেছে । জড় জগৎ হইতে আত্মীকে তিনি আরো উন্নতিশীল করিয়াছেন । তিনি র্তাহাকে এখানকার ভাবে, এখানকার সুখেই তৃপ্ত করেন নাই ; তিনি ক্রমাগতই তাহাকে আপনার দিকে অাকর্ষণ করিতেছেন-ক্টাক্ষর জ্ঞান ধৰ্ম্ম উজ্জল করিতেছেন । উন্নতিই আত্মার প্রাণ, উন্নতিই তাত্মার জীবন । ইহাতে তিনি যে সকল ভাব-কলিকা নিঙ্কিত করিয়াছেন, তাহ এখানেই প্রস্ফুটিত হইয়া গিয়া একেবারে বিনাশ পাইবে না। দেব-লোক হইতে দেব-লোকে সে সকল কলিকা প্রস্ফু. টিত হইতে থাকিবে । এখানে ইহার জ্ঞানের শেষ হইবে না, প্রেমের শেষ হইবে না, আনন্দের শেষ হইবে না । আমরা যদিও এখানে পরম পবিত্র ব্রহ্মানক্ষলাভ করিয়া পরিতৃপ্ত হইতেছি কিন্তু তিনি অামারদিথকে দান করিয়া তৃপ্ত হইতেছেন