তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা কল গ্রন্থিই আমাদিগকে সংসার পাশে, মৃত্যুর পাশে, বন্ধ করিয়া রাখে। মুক্তির প্রতি যাহার দৃষ্টি থাকে, তিনি পুণ্য পদবীতে সহজেই অৰ্শরোহণ করিতে থাকেন । আমাদের এমন সকল সঙ্কট সময় উপস্থিত হয়, এ প্রকার গুরুতর ভার আমাদের উপর চতুর্দিক দিয়া পতিত হয়,যে সেই সময় সেই সকল অবস্থায় আমাদের কৰ্ত্তব্য কি কিছুই স্থির করিতে পারা যায় না । এমন স্থঙ্গম স্থল এক এক সময়ে উপস্থিত হয়,যাহা গ্রন্থ মধ্যে কেঙ্ক কখন উল্লেখ করেন নাই, যাহা অনোর উপদেশে কখনো শ্রবণ করা যায় নাই, সেই সেই স্থলে " কৰ্ত্তব্য তাহ অবধারণ করা কেমন উঠিন । এই সকল স্থলে কি কৰ্ত্তবা ? শত শত গ্রন্থ মধ্যে শত শত লোকের নিকট হইতে আমরা যে উপদেশ পাই si, এক বার ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি করিয়া সেই সকল বিষয় অালোকের ন্যায় স্পষ্ট দেখিতে পাই, সেই পরম গুরু হইতে শিক্ষ লাভ করে । মুক্তির প্রতি লক্ষ্য থাকিলে ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সকল কৰ্ম্মেরই ষোগ থাকে। অন্যেরা যেখানে রাশি রাশি কৰ্ত্তব্য তীরে অচ্ছন্ন হইয় পড়ে, আমাদের নিকটে সে সকল কৰ্ত্তব্য একীভাব ধারণ করে । অন্যেরা যে স্থলে কৰ্ত্তব্য কি ভা
- عليه
বিয়াই স্থির করিতে পারে না, সেই সকল স্থানে ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি করিয়া আমরা ; ছার মঙ্গলময়ী ইচ্ছার অনুগামিনী হয়, ক যথা উপদেশ প্রাপ্ত হই । অন্যেরা যেখানে একাকী আপন ক্ষুদ্র বলে পাপের সহিত সংগ্রাম করিতে প্রবৃত্ত হয়, সেখানে আমরা ঈশ্বরকেই সস্থায় পাই— তাছার নিকটে আপনাকে সমর্পণ করিয়া চতুগুণ বল প্রাপ্ত হই। অন্যের যখন একবার পতিত হইয়। -বিস্তার করিয়া দিলেও তঁহাকে আশ্রয় করিতে যায় না, আমরা সেই সময়ে সেই পতিত-পাবনের শরণাপন্ন হইয়। আবার উস্কার হই । যাহাতে আমরা সকল বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া পুনৰ্ব্বার তাহার নিকটেই যাইতে পারি, তিনি এই প্রকার শুভ বুদ্ধি প্রেরণ করেন, বল বীর্য্য প্রদান করেন । মুক্তি কি ? না সংসার বন্ধন হইতে মুক্ত | | } | | ! | ! { ! | | | N○ হওয়া । মৃত্যুর পাশ হইতে প্রমুক্ত হইয়। অমৃতের দিকে অগ্রসর হওয়া । বিষয়াকর্ষণ হইতে বিমুক্ত হইয়া বিষয়ের অতীত পদার্থকে আশ্রয় করা ! যত কাল আমরা সংসার বন্ধনেই বদ্ধ থাকি, তত দিন আমাদের বন্ধ ভাব । যত দিন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত থাকি, ততদিন মৃত্যুর পাশেই বদ্ধ হইয়া থাকি। আমরা অন্তর মুক্ত না হইলে মুক্তির ভাব বুঝিতে পারি না । আমরা এখানে মৃত্যু, আর অমৃতের সান্ধিস্থলে রকিয়াছি । মৃত্যু হইতে অমৃতের দিকে যত যাইতে থাকি, ততই আমাদের মুক্তভাব উপলব্ধি হইতে থাকে আমাদের জ্ঞান ও ভাব ও ইচ্ছা সকলকেই একত্র করিয়। ঈশ্বরেতে যতই সমর্পণ করিতে পারিব, ততই আমরা মুক্তির অবস্থা প্রাপ্ত হইতে থাকিব । যখন ঈশ্বরের সঙ্গে আর আমাদের বিবাদ থাকিবে না, তখনই মামাদের মথার্থ মোক্ষাবস্থা হইবে । ঈশ্বরের সঙ্গে বিবাদ কি ? দু’লোক, ভুলোক, চন্দ্র, স্থৰ্য্য, পৃথিবী, সকলই যাচণর এক রাজদণ্ডের উপর চলিতেছে, তঁহার সহিত বিবাদ কে করিতে পারে ? কেৰল মনুষ্যই কর্তৃত্বভার প্রাপ্ত হইয়। অক্লভজ্ঞ ও অসৎ পুত্রের ন্যায় তাহার আদিষ্ট ধৰ্ম্ম পথের বিপরীত দিকে চলিতে যায় ও শাস্তি ভোগ করে । আমাদের ইচ্ছ। কখনো ঠা খনে ব। বিরোধিনী হয় । তঁহগর সঙ্কিত ক. খনো আমাদের সন্ধি থাকে, কখনো বিবাদ থাকে । এই স্বাধীনতা শক্তি মন্থয্যের প্রতি ঈশ্বরের এক অমূল্য দান । মনুষ্যকে এই অধিকার দিয়া তিনি তাহকে বলিয়। দিয়াছেন, যে তুমি অপেন হইতে আমার পথে নিরাশ-নীরে পতিত হয়, ঈশ্বর স্বীয় ক্রোড় । আইস । সকলেই সেই সৰ্ব্বনিয়স্তার কার্য্য করিতেছে, কিন্তু মনুষ্য কেবল জানিয়া শুনিয় তাহার কার্য সম্পন্ন করিতেছে । + সমস্ত জগৎ সমস্ত ঘটনা তাহার মঙ্গল অ ভিপ্রায় সিদ্ধ করিতেছে, কিন্তু আমরা অণপন ইচ্ছাতে সেই অভিপ্ৰায়ে যোগ দিতেছি । আমরা আপন হইতে র্তাহাকে সৰ্ব্বস্ব দান করি, আমাদিগকে স্বাধীন করিবার উtহার অভিপ্রায়ই এই ! এস্থলে অম্বু