পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ওঁaেবttখ* "এক ৷ ৰণের প্রতি সমদু:খসুখ জ্ঞান ও স্নেহ নাই এবং এইটা না থাকাতেই পরস্পরের শ্রেয়ঃ সাধনে পরস্পরকে শ্লথtদর ও অনগ্রসর দেখিতে পাওয়া যায় । এতন্নিবন্ধন এদেশীয় দিগের স্বtখপরতা ও আত্মম্ভরিতা দোষের এমনি বৃদ্ধি হইয়াছে, ইহণ দিগের ব্যবহার দর্শন করিলে স্পষ্টই । প্রতীয়মান হয়, ইহার যেন সমাজের কেহ নছেন ; সমাজের শ্রেয়ঃ সাধনাৰ্থ ইহার জন্ম পরিগ্রহ করেন নাই ; অর্থে পাৰ্জ্জন করিয়া আত্ম সুখ সম্পাদন করিতে পারিলেই পুরুষের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সম্পাদন করা হইল, ইহার এই ৰূপ বিবেচনা করেন । কলতঃ ইহাদিগের অনেককেই নিতান্ত স্ব1র্থপর দেখিতে পাওয়া ষায় । পরার্থ চিন্ত৷ ক্ষণ কালের জন্য ও উiহাদিগের হৃদয়ে স্থান প্রাপ্ত হয় না । জগদীশ্বর মনুষ্যকে পশুর য়াছেন, সমাজের শ্রেয়ঃ সাধন মনুযোর একটা প্রধান কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম, অনেকের এ সং । স্কার নাই । আজি যদি পরস্পর ভোজ্যমত স্প দায়ের অনেকে সমধিক অনুরাগ সহ থাকিত, আজি যদি পরস্পরের কন্য। আদান ›ዓ* তম উদ্দেশ্য জ্ঞান করেন। সুতরাং কিঞ্চিৎ শিক্ষা হইলে তাহাঙ্ক বিদ্যালয় ও সেই সঙ্গে সঙ্গে লেখা পড়া পরিত্যাগপূৰ্ব্বক অর্থ অর্থ করিয়া আয়ু শেষ করেন। যাহারা কিঞ্চিৎ ব্যাপক কাল বিদ্য শিক্ষা করিয়া থাকেন, তাহাদিগেরও অনেকের কিঞ্চিৎ অধিক শিক্ষণ হইলে উচ্চ পদ লাভ হইবে এই মনোরথ । এই উদ্দেশ্য গুলি অন্তনি গঢ় থাকাতে আমরা সচরাচর দেখিতে পাইতেছি,যুবক সম্প্রদায়ের অধিকাংশের বিদ্যানুশীলন দ্বারা কেবল বুদ্ধিবৃত্তির মাজ ন হইতেছে। কিন্তু যে শিক্ষা দ্বার। ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি উত্তেজিত হয়, চরিত্রদোষ সংশোধিত হয়, এবং স্ব কৰ্ত্তব্য জ্ঞান হ ইয়। স্বদেশের প্রিয় চিকীর্ষ ও স্বদেশী \ | | | | } | | | প্রদান প্রথা প্রচলিত থাকি ত,পরস্পরের মৈত্রী । বদ্ধমুল হইয় পরস্পর পরস্পরের সুখে সুখী ও পরস্পরের দুঃখে দুঃখী হুইয়া পরস্পরের শ্রেয়ঃ সাধনকে প্রধানতম কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়া জ্ঞান করিতেন সমেদহ নাই । ধৰ্ম্ম, দোষেই এ দোষ ঘটিয়াছে ; বিশুদ্ধ ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মই এতৎ সংশোধনের একমাত্র উপায় । দ্বিতীয়, শিক্ষাদোষ । এ দেশে শিক্ষাঘটিত অনেক গুলি দোষ আছে । প্রথমতঃ আজিও অধিকাংশ লোকের শিক্ষা বিষয়ে প্রবৃত্তি জন্মে নাই । যাহাদিগের প্রবৃত্তি জন্মিয়াছে, তাহাদিগেরও অধিকাংশের প্রবৃত্তি ধনলালসা দোষ-দূষিত Í র্তাহর অর্থে পাৰ্জ্জনকেই বিদ্যা শিক্ষার মুখ্য | } | | মায় আত্মম্ভরি করেন নাই, সমাজস্থ করি- তেছে না । নুরাগ প্রভৃতি গুণগ্রাম মার্জিত হয়, তাদৃশ শিক্ষার তাদৃশ প্রাদুর্ভাব দেখা যাইএই কারণে সচরাচর দেথিতে পাওয়া যায়, স্ব দেশের শ্রেয়ঃ সাধন প্রস্তাব উপস্থিত হইলে যুবক স কারে তাহাতে উৎসুকতা প্রদর্শন করেন ন। যাহার প্রথমে ঔৎসুক্য প্রদর্শন করেন, তাহাদিগের আবার অনেকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞতা ও অধ্যবসায় সহকারে কার্য সম্পাদনে সমর্থ হন না, পরিণামে সেই উৎসাহ প্রদর্শন মৌখিক মাত্র হইয় উঠে । এক্ষণে যে শিক্ষাপ্রণালী প্রবৰ্ত্তিত দৃষ্ট হইতেছে, তাহার অবয়বমধ্যে ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মনীতি শিক্ষণ প্রধান ৰূপে গ্রথিত না থাকাতে আর একটা মহত্তর অনিষ্ট ঘটিতেছে। যুবক সম্পদায়ের অনেকে সমাজের উৎসেদ কারিণী কুক্রিয়ায় একান্ত আসক্ত দৃষ্ট হইয়া থাকেন। এতদর্শন বিস্ময়াবহ নহে । শিক্ষা ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মনীতির অসহকুচ হইলে প্রায়ই এই ৰূপ ঘটির থাকে ।