পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । হেতু যে সংস্কার জন্মে, তাহাই বালকগণের হাদয়ে দৃঢ়তরৰপে বদ্ধমুল হয় । বালকগণের ধৰ্ম্মনীতি-বিষয়িণী শিক্ষাকে ফলোপধায়িনী করিতে হইলে স্ত্রীশিক্ষা নিষ্ক্রান্ত আবশ্যক হইয়া উঠিতেছে। স্ত্রী জাতি বিদ্যাবতী না হুইলে যে অভীষ্ট লাভের সম্ভাবনা নাই, তাছা উপরে সংক্ষেপে উল্লিখিত হইল । কেবল সন্তান সস্তুক্তির ধৰ্ম্মনীতি শিক্ষা বলিয়া কেন, স্ত্রীশিক্ষ। ব্যতিরেকে কেপ ক্রমেই সমাজের সর্বাদীন উন্নতি লাভ সম্ভাবিত নহে। স্ত্রী ও পুরুষ উভয় লইয়া সমাজ। সমাজের অৰ্দ্ধ অংশ স্ত্রী ও অৰ্দ্ধ অংশ পুরুষ । অৰ্দ্ধ অংশ যদি মুখ, অসার ও অপদার্থ হুইয়া রছিল, সমাজের শ্ৰীবৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনা কি ? জগদীশ্বর পুংজাতিকে যে সকল মানসিক বৃত্তি প্রদান করিয়াছেন, স্ত্রী জাতিকেও সেই সকল বৃত্তি দ্বারা অলঙ্কত করিয়াছেন, অথচ পুরুষের আপনাদিগের হস্তে আধিপত্য গ্রহণ করিয়া স্ত্রী জাতিকে চিরমুখ করিয়া রাখিয়াছেন, ইহা সামান্য আত্মম্ভরিত ও সামান্য ক্ষোভের বিষয় নছে । জগদীশ্বর যে উদ্দেশে আমাদিগকে বৃষ্টি করিয়াছেন, স্ত্রী জাতিকে বুঝাইয় দিলে কি তাছা বুঝিতে পারেন না ? আমরাই কেৱল বিশ্ব-রচনা-কৌশল বুঝিতে পারি, জুলজাতি কি ভদ্বোধে অসমর্থ ? তবে যে আমর তাছাদিগকে তদ্বিষয়ে বঞ্চিত ও অনধিকারী করিয়া রাখিয়াছি, সে কেবল আমাদিণের নৃশংসন্ত মাত্র। এ দেশীয় রমণীগণ স্বেৰূপ দীম-দশাগ্রস্ত হইরা আছেন, তাল দর্শন করিলে কোন কুসংস্কার-হীন অনুভবশালী সহায় ব্যক্তি কাতর না হন ? চিরন্তন কুসংস্কার প্রাচুর্গবই কেবল अर्टेनक्टक শ্ৰীজাতির হীনাবস্থা বুঝিয়াও বুঝিতে দেয় না। র্যাহার। আমাদিগের মুখ দুঃখের >vン নিত্য সহচর হইলেন, তাছার জগদীশ্বরের প্রতি, সমাজের প্রতি, সন্তানের প্রতি, গুরু জনের প্রতি নিজ কৰ্ত্তব্য বুঝিলেন না, ইহা কি সামান্য শোচনীয় বিষয় ? তাদৃশ সহচরের সহবাসে কি কৃতবিদ্য ব্যক্তির মুখিত হইবার সম্ভাবনা আছে ? তাছা দিগের সহিত আলাপ করিয়া কি চিত্তনিৰ্ব্বতি হইবার সম্ভাবনা আছে ? তাহা দিগের মনের অনুদার ভাব এবং তাহাদিগের হৃদয়ে হিংসা দ্বেষাদির সমধিক প্রাদুর্ভাব দর্শন করিয়া কাহার চিত্তে করুণ, ঘৃণা ও ক্ষোভের উদয় না হয় ? স্ত্রীজাতির শিক্ষার্থ কিম্বিধ শিক্ষণ প্রণালী প্ৰবৰ্ত্তন অবশ্যক ? অনেকে এস্থলে এ কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারেন । গৰ্ব ধারণ, প্রসব, ও সস্তানের লালন পালনffদ করিয়া রমণীগণের শিক্ষা কার্যের অনেক গুলি নৈসর্গিক দুরতিক্রম প্রতিবন্ধক আছে । এজন্য দশন বিজ্ঞানাদির অনুশীলন স্ত্রীশিক্ষার অন্তনিবেশিত করা তাদৃশ আবশ্যক নহে। গুরুতর শ্রম, দৃঢ়তর অধ্যবসায়, ও সাভিনিবেশ প্রবৃত্তির সাহায্য ব্যতিরেকে ঐ সকল বিষয়ে ব্যুৎপত্তি লাভের সম্ভাবন নাই । কিন্তু নারীগণের যে সমস্ত নৈসর্গিক প্রতিবন্ধক আছে, তৎএভাবে তাহাদিগের ঈদৃশ শ্রমাদি ঘটনা নিতান্ত দুৰূহ। তাহাদিগকে বিশুদ্ধ ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মনীতি, নীতি, গৃহস্থ-কৰ্ত্তব্যতা ও শিপাদি বিষয়ে শিক্ষা দানেই সমধিক যত্নবান হওয়া উচিত। প্রচলিত অবিশুদ্ধ ধৰ্ম্ম তাহাদিগের অন্তঃকরণকে একান্ত আবিল করিয়া রাখিয়াছে । বর্তমান श्न्छूि थ*{ भईौक्लश् श्रमदद्वङ यदल दाऊriरुऊ হইতেছে, তথাপি ষে আজি এক কালে উজুলিত হইতেছে না, হিন্দু রমণীগণের বর্তমান ধৰ্ম্ম বিষয়িণী শ্রদ্ধা তাছার জন্য