পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন প্রশস্ত সময়ে আমাদের চিত্ত ঈশ্বরে সন্নিবেশিত হইয়া যখন আমাদের লোম হর্ষণ হয়, হৃদয় কম্পিত হয়, আমরা or 3ীর পবিত্র স্বগীয় অর্ণনন্দ উপভোগ করি, তখন সেই প্রেমানন্দেরই আস্বাদন পাই । এখানে আমরা চাতক পক্ষির ন্যায় ঈশ্বরের প্রেম বিন্দুর প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া রছিয়ছি, সেই বিন্দু ক্রমে স“গর হইয়। উঠিবে । আমরা যখন সেই অনন্ত প্রেমসাগরে নিমগ্ন হইব, তখন আমাদের হৃদয়ে শোক মোহ ; বিলাপ ক্রন্দন ; পাপ তাপ আর কিছুই কিবে না ; কেবল যোগানন্দের উৎস, প্রমানন্দের উৎস, ব্রহ্মানন্দের উৎস, নিরস্তুর উৎসারিত হইতে থাকবে । Ꮧy مستح» (2) إجمت تصد ঈশ্বরের সহিত মনুষ্যের সম্বন্ধ । ধৰ্ম্মঞ্জীবি জীবের ঈশ্বরের সহিত অতি নৈকট্য সম্বন্ধ রহিয়াছে । তিনি ধৰ্ম্মরাজ্যের রাজ্য ও নিয়ন্ত । " সত্ত্বস্যৈষপ্ৰবৰ্ত্তকঃ ” ধৰ্ম্মের ইনি প্রবর্তৃক ; এই হেতু আমাদের উপরে তা চার স্বাভাবিক অধিকার দেখিতে পাই । তঁহার আধিপত্য বলের আধিপত্য নক্ষে কিন্তু তাহার শাসন ধৰ্ম্ম শাসন । র্তাহার স্বৰূপ এৰূপ পরমে।ৎকৃষ্ট যে অণমাদের প্রকৃত্তি র্তাহাতেই চরিভার্থ হয় । সেই পূর্ণমঙ্গল পুরুষ ভিন্ন আমরা আর কাহারে নিকটে সৰ্ব্বতোভাবে প্রণত হইতে পারি না । তিনি আমাদের প্রকৃতি এ ৰূপ করিয়৷ দিয়াছেন যে যদি কেহ সৰ্ব্বশক্তিমান পুরুষও হয়,অথচ তাহার মঙ্গল ভাব না থাকে,তবে -সেও আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র হইতে পারে ন! ! ঈশ্বরকে মঙ্গল-স্বৰূপ বলিয়া বিশ্বাস থাকিলে তৰে তাঙ্কার উপাসনায় আমাদের অধিকার জন্মে । তিনি ভয় দেখাইয়া অtমাদের অধীনত্ব গ্রহণ করেন না । তিনি অামাদের দাসত্ব চাহেন না । যে রাজার সকল প্রজাই ক্রীত দাস,তাহার মহিমা কি ? আমরা ঈশ্বরের স্বাধীন প্রজা । আমরা আপন হইতে সেই মঙ্গলময় পুরুষে যে পূজা অৰ্পণ করি, তাই ভিন্ন তিনি অন্য প্রকার পুজা গ্রহণ করেন না। র্তাহার প্রেম ভাব, ভাস্কার গম্ভীর মঙ্গল ভাব, র্তাহার, নিষ্কলঙ্ক পবিত্রত দেখিয় তাহাতে অণপন হইতেই শ্রদ্ধা অর্পণ করি, তাহাই তিনি চাহেন । আমরা যেমন অমঙ্গল-স্বৰূপে শ্রদ্ধ। অৰ্পণ করিতে পারি না, সেই ৰূপ পরিমিত মঙ্গল ভাবে অপিত হইলে আমাদের শ্রদ্ধার চরিতীৰ্থত হয় না । আমর। যে কোন পুরুষকে পরিমিত মঙ্গল মনে করি, সে কখন ঈশ্বর নহে। পরমেশ্বর পূর্ণ মঙ্গল। তিনি কোন অকাট্য নিয়মে বন্ধ নহেন । র্তাহার নিষ্কলঙ্ক পবিত্রত হইতে ধৰ্ম্মরাজ্যের সমস্ত নিয়ম নিঃস্থত হইতেছে ; অতএব তিনি আমাদিগকে রাজার ন্যায় শাসন করিতেছেন । আমাদের উপর তাহার কর্তৃত্বের পরিসীমা নাই । তিনি ধৰ্ম্মের আবহ, পবিত্রতার প্রস্রবণ | তাঙ্কার যাঙ্ক অভিপ্রেত, তাহাই আমাদের কৰ্ত্তব্য ;ষাক র্তাহার অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধ, তাছাই অকৰ্ত্তবা, তাহ সৰ্ব্বতোভাবে পরিহার্য্য । এই হেতু সকল কৰ্ত্তব্যই ঈশ্বরের প্রতি কৰ্ত্তব্য । ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সাধারণ সম্বন্ধ এই যে তিনি আমাদের ন্যায়বান রাজা ও নিয়স্তা,আমরা তাহার ধৰ্ম্মরাজ্যের প্রজা। এতদ্ভিন্ন তাহার সঙ্গে বিশেষ সম্বন্ধ আরো অলেক প্রকার | ঈশ্বর চাইতে আমরা সকলই পাই য়া ছি । আমাদের শরীর মন, আমাদের জীবন যৌবন , অামাদের সকল কালের সকল মুখ সৌভাগ্য ; তঁহি হইতেই। আমরা যত দূর জানিয়াছি, আমাদের জানিবার যত দূর অধিকার, সে জ্ঞান সে অধিকার তিনিই দিয়াছেন। আমাদের জ্ঞান লাভের উপযোগী শক্তি সমুদয় তাহ হইতেই পাইয়াছি । গ্রন্থ, আচাৰ্য্য, বিশ্বরাজ্য, যেখান হইতে যে কিছু শিক্ষা প্রাপ্ত হইতেছি, সেই পরম গুরুই তাহার মূল কারণ। আমর বিষয়ের প্রতিস্রোতে ইচ্ছাকে নিয়োগ করিতে পারি, অামাদের এই আশ্চর্য্য শক্তি, এই আশ্চৰ্য্য অধিকার, আমাদের এই স্বাধীনতা ও কর্তৃত্ব ভার, তাহা হইতেই