१ f 4 y * t “, ե தி R d wool. & i" + 'प्र' , "་ས། § } " বিনাশ করা হইয়াছে, এই প্রকার হওয়া তাহ অতিক্রম করিবারও শক্তি দিয়া নিতান্ত অসম্ভব নহে । মনুষ্যকে দেখিতে সমুদয় হুষ্টি মধ্যে এমন এক ক্ষুদ্র কীট দেখায় ; তাহার দুৰ্ব্বলতা ও ক্ষীণ ভাব এমন প্রকাশ পায় ; তাহার জীবনের সকল অবস্থা এমনি পরিবর্তনশীল ; মৃত্যুর অবস্থা এমন গুঢ় ; যে ঈশ্বরের সত্যতার তুলনায় এ সকলই ছায়ার ন্যায় বোধ হয় । ঈশ্বরের অনন্ত ভাব দেখা অরি মনুষ্যের স্বাধীন ধৰ্ম্মপ্রকৃতিকে রক্ষণ করা কিছু সহজ নহে। কিন্তু ইহা করিতেই হইবে । এ দুই ভাবই একত্রে থাক চাই । তাহ না হইলে ধৰ্ম্মের প্রাণই থাকে না; রক্ষণস অনন্ত শক্তি এবং প্রজার স্বাধীনতা, অবশ্যক । ঈশ্বরের শক্তি অলঙ্ঘনীয় ་ལག་ཁ :r; স্বাধীন ; তাহার ঐশ্বর্য্যের সীম। - ধচ মমুয্যের নিজস্ব অধিকার আছে ; তাহার উপরেই আমাদের 1নর্ভর অথচ আমাদের আত্ম প্রভাবের ক্রটি নাই । আপনার উপরে কত টুকু নির্ভর আর ঈশ্বরের উপরে কত নির্ভর, এই দুয়ের সামgস্য হ ইলেই ঠিক হইল । ষে ব্যক্তি ঈশ্ব রের আশ্রয় পরিত্যাগ করিয়া,আপনার কর্তৃ স্কের উপরেই চলে, সে অসুর ; আর যে ঈশ্বরেতে আপনার কর্তৃত্ব বিনাশ করিয়া ফেলে, সে যন্ত্র । মনুষের কর্তৃত্ব বিনাশ করিলে ধৰ্ম্মের প্রাণ বিনষ্ট হয়, কেনন এ দুয়েরই এক প্রাণ। তাহ হইলে পৃথিবীর আলোক নিৰ্ব্বাণ হইয়। ষায় এবং সকলই যন্ত্রের মত হইয় থাকে । আমারদের স্বাধীনতা শক্তিতে ঈশ্বরের জ্ঞান ও মহিম। আরো উজ্জল ৰূপে প্রকাশ পায় । ঈশ্বর অামারদিগকে আপনার প্রতিকতি প্রদান করিয়া তাহার মহিমা প্রকাশ ক ছেন । আবার আমরা স্বাধীন বলিয়া যে তা হার অধীনতা পরিত্যাগ করিয়াছি, এমত নহে । আমরা যত স্বাধীন, তত তাহার অধীন। আমরা ইচ্ছা পূর্বক তাহার অধীনত গ্রহণ করিতে পারি, ইহাতেই আমাদের স্বাধীনতা । আমাদের স্বাধীনত শক্তি যতই মহৎ হউক না কেন, তাহ তিনি দিয়াছেন, তিনিই তাহ রক্ষা করিতেছেন, তাহার সহায় তাহার আশ্রয়েই তাহা উন্নত ও বৰ্দ্ধিত হইতেছে । আমাদের এই শক্তি মহৎ বলির যে তাহার প্রদত্ত নহে, এমত নহে । এই শক্তি আমারদিগকে আপনার উপরে নির্ভর করিতে প্রবৃত্ত করে না কিন্তু ইহার মূল কারণ ও আশ্রয়ের প্রতি প্রতিক্ষণে লইয়া যায়। অামারদের এই কর্তৃত্ব শক্তি থাকাতেই আমারদিগের প্রতীতি হইতেছে যে আমরা ধৰ্ম্মজীবি স্বাধীন জীব আর তিনি আমাদের পিতা ; এই ধৰ্ম্ম সম্বন্ধ তাইরে সহিত আমাদের প্রধান সম্বন্ধ । ঈশ্বরের প্রতি আমাদের নির্ভরের ভাব এবং তাছার সহিত ধৰ্ম্ম-সম্বন্ধ,এই দুয়ের সমগ্রাহী ভাব উপনিষদের মধ্যে স্পষ্ট পাওয়া যায় না কিন্তু ইহ ব্রাহ্মধর্মের মুখ্য ভাব । তাহা হইতে বিচ্ছিন্ন ভাবও থাকিবে না, আপনার স্বাধীনতা ও বিনষ্ট হইবে না। আমু ঠানের সময় আমাদের কর্তৃত্ব প্রকাশ পায় কিন্তু আমাদের কর্তৃত্ব তাহ হইতে বিচ্ছিন্ন রিয়াছেন। বলীয়ান ধাৰ্ম্মিক নিঃস্বার্থ স্বাধীন ! -পুরুষ সাক্ষাৎ ঐশী শক্তিয় প্রতিকৃতি। মনু- | ষ্যের কর্তৃত্ব বিনাশ করিয়া এবং আপনাকে তাহার যন্ত্রের মত করিয়া ঈশ্বরের মহিমাকে মহীয়ান করা হয় না । তিনি আপনার সদৃশ মনুষ্য তাহার ক্রীত দাস মহে কিন্তু তাহার স্বাধীন প্রজ। তিনি আমারদিগকে কার্য্যকারণ শৃঙ্খলেই বদ্ধ করেন নাই কিন্তু নহে । ঈশ্বরের প্রতি নির্ভর এবং আপনার চেষ্টl; আত্ম প্রভাব এবং দেব প্রসাদ এ দুই একত্র হইলে আমাদের আত্মা প্রকৃত বস্ত প্রাপ্ত হয় এবং উন্নতি লাভ করে । ঈশ্বরের ভাবের প্রবলত হইয়া যদি আপনার শক্তি তাহাতে বিলুপ্ত হয়, এবং তাছাতেই অামাদের কর্তৃত্ব হারাইয়া যায়; তবে তাছ। আমাদের প্রকৃতাবস্থা নহে । ধৰ্ম্ম কার্য্যের সময় আপনার কর্তৃত্ব অবশ্যই প্রকাশ পায়। ويصيص هذة জীব স্বষ্টি করিয়াছেন, এই তাহার মহিমা । | ঈশ্বর আমরদিগকে এত প্রকার অবস্থা, এত প্রকার ঘটনা, এত প্রকার বিস্ত্র, এত প্রকার প্রলোভনের মধ্যে রাখিয়াছেন যে আমাদের সংসারের সহিত সংগ্রামই ক
