পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مه ۹ و st fچ জশ্বর-প্রণীত বলিয়া তিনি আর এক প্রকার পৌত্তলিকতার সংস্থাপন করেন এবং আপ", নকে যদিও ঈশ্বরের এক মাত্র প্রিয় পুত্র বলেন নাই, তথাপি ঈশ্বর-প্রেরিত এক মাত্র গুরু এই ৰূপ বলিয়া গিয়াছেন, পৌত্তলিকতর এই তার এক সোপান । প্রথমে প্রস্তর বৃক্ষাদির পূজা বোধ হয় পৃথিবীকে বিক্ষিপ্ত ছিল। পরে মেঘ বিস্থাৎ वायू डग यक्लभ अग्नि छ्गf ७ नग-नौश् দেবতাগণের উপাসনা, পরে ইসার উপাসনা এবং তৎপরে মহম্মদের গুরু অবতার এই ৰূপে পৃথিবীতে ক্রমে ক্রমে পৌত্তলিকতার প্রমাঙ্গন দেখা যাইতেছে । পৃথিবী মধ্যে জ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পৌত্তলিকতার জ্ঞান ও 莎 প্রমাঙ্গন দেখা যায়। গ্ৰীক এবং হিন্দু | তাকবর প্রভৃতি মুসলমান নরপতিগণের ক্ত তিকেই পুরাকালে এই জ্ঞান বুদ্ধির কৰ্ত্তা বনিতে হুইবে । গ্রীক জ্ঞান দ্বারা ইহুদী জাতি । মধ্যে ইতে খৃষ্টান ধৰ্ম্ম 2, fo বীতে বিকীর্ণ i হয় ও সরস্তবর্ষে বুদ্ধ জন্ম গ্রহণ করিয়া ল}পনার ধৰ্ম্ম আসিয়াতে লিক্ষিপ্ত করিয়া চিলেন মহম্মদ যে অগ্নি আরব দেশে নিক্ষেপ করেন সেই অগ্নি ক্রমে প্রজ্বলিত হইয়া,পারস্য দেশ হইতে পারসী-ধৰ্ম্ম উচ্ছিন্ন করত ভারতবর্গ আক্রমণ করিল। পারসী-ধৰ্ম্ম ভারতবর্ষে মশ্রিয় লক্টল এবং ভারতবর্ষও মুসলমানগণের ७ष***ा रुझेल । যখন মহম্মদের ধৰ্ম্ম ভারতবর্ষে প্রবেশ করিল, ব্রাহ্মণগণ তখন অাপনাদের ধৰ্ম্ম স্বদেশ-প্রেমের সহিত সংশ্লিষ্ট ৰুরিয়া দিলেন এবং পৌত্তলিকতাকে আশ্রয় দিয়া তিস্থ জান্তিকে মুসলমানগণ হইতে পৃথক রাখিতে সচেষ্ট হইলেন । এই ৰূপে মানব-নির্ণীত ধৰ্ম্ম প্রণালীরও ক্রমশঃ প্রমাঙ্গন দেখা যাইতেছে । অতীব *"ভ্য জাতির পৌত্তলিকতা ক্রমে সংশোধিত ফ্ৰ ষ্টম" আ + W * শাসিয়াছে। কিন্তু ইল যে জ্ঞান-মুলক ৷ র সামঞ্জস্য । Sዳ > সত্য সকলের প্রভাবে হইতেছে তাহার আর কোন সন্দেহই নাই। যত অজ্ঞান-অন্ধকার দুীকৃত হইয়াছে ততই ঈশ্বর-জ্ঞানের পুড়ি-" র্তাব দেখা যায়। ইহাতে এই প্রকাশ পাইতেছে যে ধৰ্ম্ম-মুলক সত্য সঞ্চলের উদ্দীপনও জ্ঞান-মুলক সত্য সকলের সাহায্যের অপেক্ষা রাখে সাহায্য আবশ্যক, কিন্তু ধৰ্ম্ম-মুলক সত্য যদি একেবারে না থাকিত তাহ হইলে । জ্ঞান-মুলক নিয়ম সকল অকৰ্ম্মণ্য হইত এবং জ্ঞান-মুলক সত্য না পাকিলেও ধৰ্ম্ম-মুলক সত্যের উদ্দীপনের ব্যাঘাত জন্মিত। জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম এই উভয় বিষয়ের উন্নতিই পুকুত উন্নতি । আমাদের ভারতবর্ষ মুসলমান দ্বারা অধিকৃত হষ্টলে, ভারতবর্ষীয়ের যদ্যপি প্রগাঢ় মোহাম্বকারে নিপতিত হইয়াছিল, তথাচ - গুণে ক্রমে মুসলমান শাস্ত্রও ছিন্দুদিগের দ্বারা আলোচিত হওয়াতে ঈশ্বর-জ্ঞানের অনেক উন্ন ত হইয়াছিল। যদিও দ্বিন্দু-জাতি পৌত্তলিকতা ত্যাগ করে নাই, তথাচ কবীর কাছ চৈতন্য ও নানকের শিক্ষা ও উপদেশ সকল পাঠ করিলে বোধ হয় যে মুসলমানগণের শাস্ত্র সকল তাহাদের দ্বারা গঠিত হইয়াছিল। বিশেষতঃ নানকের ধৰ্ম্ম-প্ৰণালী যে কত দূর পরিশুদ্ধ তাছা এখানে বলা বাহুল্য । কিন্তু নানকের যে ৰূপ মতই থাকুক না কেন, শিখ জাতি মধ্যে আর এক রূপ পোস্তুলিকতা ক্রমে প্রচারিত झझेन । छैद्धांज्ज। আ দি গ্রন্থকে ক্রমে ঈশ্বর-প্রণীত বলিয়। বিশ্বাস করিতে লাগিলেন । কাল ক্রমে ভারতবর্ষ হিন্দু, বৌদ্ধ, পারসী ও মুসলমান এই চারি ধৰ্ম্মেরই অবাস স্থান হুইয়াছিল, পো গিস জাতি পৌত্তলিক খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মও এখানে প্রচার করিলেন। পরে ইংরাজেরা ভারতবর্ষে সাস্ত্রাজ্য স্থাপন করিলেন ও খৃষ্টায় মিসনরির আপনাদের ধৰ্ম্ম প্রচার কামনায় ইউরোপীয়