ਾ * প্রকার কুসংস্কার প্রবিষ্ট হইয়া ইহ কাল হিন্থজাতিকে লোপ করিয়া যাইবে ও পর কালের উন্নতিকেও রুদ্ধ করিয়া ক্ষেলিবে । । হিন্থজাতির মান, সন্ত্রম ও গৌরব কেবল । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম দ্বারাই পরিরক্ষিত হইবে ; ইহার প্রধান কারণ এই যে, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম হিস্থজাতিরই পুরাতন ধৰ্ম্ম । வகை দেব-দেবীর উপ{সন । অতি প্রাচীন কালের ইতিহাস অনুসন্ধান করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, এক সময়ে পৃথিবীস্থ প্রায় সকল জাতিরই বহু দেবদেবীতে বিশ্বাস ছিল । যদিও কোন সমযে এই দেব-দেবীর উপাসন। প্রচলিত হইয়াছিল, তাছার কিছুই নির্ণয় নাই ; তথাপি ইছা এক প্রকার নিশ্চয় বলা যাইতে পারে যে, যে রিস্ফুট ছিল, সেই সময়ে তাহারদিগের এই বিশ্বাস উৎপন্ন হয় । মনস্তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা কহিয়া থাকেন যে, কার্য্য-মাত্রেরই যে একটি জ্ঞানময় কারণ মাছে, ইহা মনুষ্যের স্বাভাবিক বিশ্বাস । তাহারদিগের জীবনে যে সমস্ত ঘটনা ও পরিবর্ত হইতেছে, তাহাদের নিজের কর্তৃত্ব তাহার কারণ—ইহা তাহারা স্পষ্ট বুঝিতে পারি- ; য়াছে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু যখন দেখিতেছে যে, জগতে ; প্রকার হইয়। গিয়াছে । এই ভারতবর্ষে অঞ্জি এমন সমস্ত কার্ষ্য ঘটিতেছে, যাহা সম্পাদন বায়ু জল প্রভৃতি মড়ে পাসনার পর একে তেছে । দেবদেবীর উপাসন ধৰ্ম্ম-বিষয়ে যে সংস্কার অাছে, তাহা তো ঘটায় আচ্ছন্ন হওয়াতে মুহমু হুঁ ঘোর গ $ c{ ভীর শব্দে বজ্ৰাঘাত ও বিদ্যুৎ স্ফুরিত হয় । তাহা দেখিয়া মনুষ্য এই ৰূপ মনে করে যে, এই সমস্ত অদ্ভুত ব্যাপার আকাশের কোন অধিষ্ঠাত্রী দেবতা দ্বার সম্পাদিত হইতেছে । যখন মণসাগর ভীষণ তরঙ্গজাল বিস্তার পূর্বক তল ফালন ও ফেনী উদ্ধ মন করিতে থাকে, তথম মনুষ্য মনে করে যে সাগরের এক অধিষ্ঠাত্রী দেবতা আছেন, উঠারই প্রভাবে এই সমস্ত বিস্ময়কর কার্য্য ঘটিতেছে। যখন তরুণ স্থৰ্য্য,নবেদিত চন্দ্রমা, ও নক্ষত্রগণ অলক্ষিত ও নিঃশৰ গতিতে আকাশের এক পাশ্ব হইতে অপর পাশ্বে গমন করে ; তখন মনুষ্য ঐ সমস্ত জ্যোতিষ্কমগুলে এক একটি দেবতার প্রভাব প্রত্যক্ষ করিয়া থাকে ; এবং আপনারদের আকার এবং সৌন্দর্য্য ও শক্তিকে ঐ সকল কপিত দেবতাতে যোগ করিয়া দেয় । যে হেতু মনুষ্য আপনার আকারকে মেমম সুন্দর দেখে এমন আর কোন আকারকেই নছে সময়ে মনুষ্যের মনে একেশ্বরের ভাব অপ- ; এবং এই অ কারকে যেমন মানসিক ভাব বাহে প্রকাশ করিবার উপযুক্ত যন্ত্র বলিয়, বিবেচনা কুরে, এমন আর কোন আকারকেই করে ন} { - এই দেব দেবীর উপাসন। প্রথম যে প্রণালীতে আরন্ধ হয়, কাল সহকারে তাহারস্থ পরিবর্ত্ত হইয়া থাকে । মনুষ্যের মনের ভাব যেমন সময়ে সময়ে লিম্ন ৰূপ চুইয়া আসি করিতে মনুষ্যের শক্তি সম্যক পরাস্ত হইয়া । যায়, তখন তাঁহারা সেই স্বাভাবিক বিশ্বাসানুসারে এই তুমন্ত ঘটনায় মনুয্যের শক্তি অপেক্ষ উৎকৃষ্ট অপ্রত্যক্ষ শক্তি অনুভব করিয়া থাকে। যখন নভোমণ্ডল ঘন | s এই প্রণালীও ভিন্ন শ্বরোপাসনা প্রতিষ্ঠিত হয় । । কিন্তু এক ১ ভট্ট মোক্ষামূলীয় কহেন যে, ভারতরর্বে জড়েশপাসনার সহিতই একেশ্বরোপাসলার ভাব প্রবৰ্ত্তিম্ভ হইয়াছিল। ঋগ্বেদ পর্যালোচনা করিলে ইহা স্ব স্পষ্ট অস্থতুত হয় যে ইহাতে যে সমস্ত দেবতার জ্ঞ
