পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ ა×) iAAA SAAAAAAASAAAA * করিতে পারি, আমরা কল্পনা দ্বারা একটি মুখের উপর দুই চক্ষুর সহিত আর একটি চক্ষু সংযুক্ত করিয়া ধ্যান করিতে পারি; আমরা কল্পনা দ্বারা একমাত্র শরীরে দুই হন্তের সহিত আর দুইটি হস্ত যোগ করিয়া ধ্যান করিতে পারি ; যাহা খণ্ড খণ্ড দেখিতেছি, কল্পনা দ্বারা তাহ অখণ্ড করিয়া এবং যাহা ...sos so অখণ্ড ৰূপে দেখিতেছি, তাছা খণ্ড খণ্ড করিয়া ! চিন্তা করিতে পারি ; এবং চিত্র-পটে । চিত্রিত বা মৃৎপ্রস্তরে গঠিত যে সকল মূৰ্ত্তি সন্দর্শন করিয়াছি, তাছার অবিকল প্রতিমূৰ্ত্তি কল্পনা দ্বারা মনে মনে নিৰ্ম্মাণ করিতে পারি। ফলত কম্পনা-বলে পূর্ব-দৃষ্ট পদার্থসমুহের সংযোগ বিয়োগ দ্বারা মনোমধ্যে নানাবিধ অস্তুত পদার্থ আবির্ভূত ও তিরোভূত করা যাইতে পারে ; কিন্তু ভাতীন্দ্রিয় ঈশ্বরকে কখন কল্পনীয় দর্শন করা যায় না। তবে ব্রহ্মদর্শন কি ? কি প্রকারে সেই সৌন্দর্যময় পুরুষের সাক্ষাৎকার লত করিয়া আমাদের প্ৰেম-পিপাস পরিতৃপ্ত হইবে , কি প্রকারে উহার অমৃতময় সহবাস ভোগ । করিয়া ধন্য ও কুতপুণ্য হইব ! কি প্রকারে উছার আনন্দজনন প্রসন্নবদন দর্শন করিয়া ধৰ্ম্মবল উপাৰ্জ্জন করিব ? কি প্রকারে জীবনের উদ্দেশ্য সুসম্পন্ন হইবে ? ঈশ্বর তাহার সমুদায় কার্য্যে দীপ্যমান হইয়া আছেন ; চক্ষু উন্মীলন কর, দেখিতে পাইবে । সমুদায় সৃষ্টি, সমুদায় ঘটনা, সেই অতীন্দ্রিয় পুরুষের পরিচয় প্রদান করিতেছে—উচ্চৈঃ স্বরে পরিচয় প্রদান করিতেছে ; কৰ্ণপাত কর এবং আপনার হৃদয়কে জিজ্ঞাস কর, তাহারা কি বলিতেছে, বুঝিতে পরিবে । তিনি অগ্নিতে, তিনি জলেতে, তিনি ওষধি ও বনস্পতিতে বিরাজ করিতেছেন ; তিনি সমুদায় বিশ্ব সংসারে প্রবিষ্ট হইয়া আছেন । নদ নদী সাগর, !

| | |

| =ഞ്ചൈ=ങ്ങ=ജp== ജ به همت مجسه عدسیه یاد مستعمه حجحیت তত্ত্ববোধিনী পত্রিক । গিরি গুহা কানন, সমস্ত ভূলোক ও অকাশের অগণ্য জ্যোতিৰ্ম্মণ্ডল, নিরন্তর তাহার মহিমা গান করিতেছে। অন্তরে তিনি উজ্জ্বলৰূপে প্রকাশ পাইয়া থাকেন। তাছার জ্ঞান, ভাব, ইচ্ছা, সমস্ত জগতেই দীপ্যমান আছে ; কিন্তু আত্মাতেই তাহাকে পুরুষৰূপে উপলব্ধি করা যায় । আপনার স্বাধীনতাতে র্তাহার মুক্ত ভাব, আপনার প্রীতিতে র্তাহার পূর্ণ প্রেম, আপনার জ্ঞানে তাহার অনন্ত জ্ঞান, আপনার আত্মাতে র্তাগর পুরুষত্ব যেমন বুঝিতে পারা যায়, এমন আর কিছুতেই নড়ে । তিনি নিৰ্বিশেষ—ঠাগতে জড়ের ন্যায় বকিরিন্দ্রিয়গোচর কোন গুণ বা মনের ন্যায় অন্তরিক্রিয়গোচর কোন অবস্থা নাই বটে ; কিন্তু তিনি সৰ্ব্বব্যাপী, তিনি সৰ্ব্বত্রই বর্তমান আছেন, এবং আপনার কার্য্য দ্বারা সৰ্ব্বত্রই অগপনাকে প্রকাশ করিতেছেন । দেখিতে চান, তিনি র্তাহাকে সৰ্ব্বত্রই দে যিনি টাঙ্গকে থিতে পান । তাত্মা যখন নিঃসংশয়ে পরমাত্মার সম্ভা--- তাহার অনন্ত শক্তি, অনন্ত জ্ঞান ও অনন্ত মঙ্গল-স্বৰূপ উপলব্ধি করে, তখন তাহার এক অনিৰ্বচনীয় আনন্দ উপস্থিত হয় । স্নেহপূর্ণ পিতা-মাতা বহু দিন পরে চির-প্রোধিত কুলপাবন পুত্রের মুখচন্দ্র নিরীক্ষণ করিয়া যে ৰূপ আনন্দ অনুভব করেন; পতিব্ৰত। সতী সুদীর্ঘ বিচ্ছেদের পর প্রিয়তমের সহিত মিলিত হইয় যে ৰূপ অস্তঃস্ফূরিত পবিত্র সুখে নিমগ্ন হন, তত্ত্ব-জিজ্ঞাসু ব্যক্তি বহুবিধ আলোচনার পর স্বীয় অভিপ্রেস্ত সিন্ধান্তে উপনীত হইতে পারিলে যে ৰূপ আন্তরিক তৃপ্তিরস ভোগ করেন; সমুদ্রের মধ্যস্থলে নিমগ্ন হইয়াও পুনর্ধার কুল প্রাপ্ত হইলে যে ৰূপ আহাদের উদয় হয়; কল্পনা বলে তৎ সমুদায়ের এক প্রকার পরিমাণ স্থির করা