পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चाँहिंrन ११v> আনন্দ উপভোগ করেন, তাহার তুলনা নাই। সেই আনন্দের নামই ব্ৰহ্মানন্দ । যখন জানিতে পারি—যখন দেখিতে পাই, আমার ঈশ্বর সর্বত্র ব্যাপ্ত হইয়া আছেন, আকাশের ন্যায় সর্বত্র ব্যাপ্ত হইয়া আ ছেন-—আকাশ যেখানে প্রবেশ করিতে পারে না, তিনি সে খানেও বর্তমান আছেন: তিনি পূর্ণ-জ্ঞান-স্বৰূপ, ওঁাছার জ্ঞানের সীমা নাই, তিনি সকল বস্তুকেই সামান্য-ৰূপে ও বিশেষ-ৰূপে জানিতেছেন,অামাকে দেখিতেছেন, তঁtহার জ্ঞান-চক্ষে অনন্ত কাল আমাদের বর্তমানের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছে: উহার ইচ্ছা অপ্রতিহত,কিন্তু মঙ্গল ভাবে পরিপূর্ণ; পিতামাতার মনে যে নিঃস্বার্থ স্নেহ দেfগ?" পাওয়া যায়, তিনিই তাহার প্রেরয়িত &*ং স্বয়ং সেই ৰূপ অনন্ত স্নেচের অাকর ; তিনি শুদ্ধ অপাপবিদ্ধ, তিনি এমন পবিত্র যে, তাছাকে স্মরণ করিলে ঘোর পাপীও পাপ হইতে মুক্ত হইয়া পবিত্র হয় ; যখন দেখি, তাহারই মঙ্গল ভাবে সমুদায় বিশ্ব সংসার সংরচিত হইয়া মনোহর সৌন্দর্য । বিস্তার করিতেছে ও সমুদায় পদার্থ মধুময় | যেন কাৰ্য্য করি। পরন্তু তর্ক শিক্ষার প্রণালী ভাব বহন করিড়েছে; যখন দেখি, জনসমাজ র্তাহারই ভুলক্ষ্য প্রেরণার পরতন্ত্র হইয়া সংসারের কল্যাণ সাধনে ব্যস্ত সমস্ত রহিয়াছে ; এবং জানিয়াই হউক বা মা জানিয়াই হউক ১১৭ রই অভাব নাই, কোন না তখন সেই পুর্ণ পুৰুৰ দ্বারা আত্মা পূর্ণ হয়। তত্ত্ববিদ্যা ৷ কৰ্ম্মকাণ্ড । উপক্রমণিক । সর্বদাই শুনিতে পাওয়া যায় যে, তত্ত্ব বিদ্যার আলোচনা কেবল এই জন্য উপকারী যে উহাতে আমাদের তর্ক শক্তি বিশেষ ৰূপে মার্জিত ও পরিস্ফুট হয় : কিন্তু, উহাতে যে আমাদের জীবনের প্রতি কোন ফল দর্শে, ইহা কেহই স্বীকার করেন না । এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য এই যে, যাহারা তর্ক শিক্ষা করিতে অভিলাৰী হন, র্তাহারা ন্যায় শাস্ত্র অধ্যয়ন করুন—তাঙ্ক। হইলেই উহাদের অভিপ্রায় সিদ্ধ হইৰে ; কিন্তু তত্ত্ব বিদ্য উছাদের সে পথে কিছুই সাহায্য দিতে পাব্লিবে না, বরং নানা ৰূপ বাধা আনিয়া ফেলিবে। তত্ত্ব বিদ্যার প্রণালী এই যে, ঈশ্বর প্রসাদাৎ আমরা যায়। জানি, তাহার প্রতি যেন আমরা বিশ্বাস স্থাপন করি, এবং আমাদের যাহা বিশ্বাস, তদনুযায়ী এই যে, মূল তত্ত্ব বিষয়ে আমরা যাহা কিছু জানি তাহাতে যেন সংশয় করি,—সংশয় অবলম্বন করিয়া কোন কাৰ্য্য হইতে পারে না, সুতরাং আমাদের কার্য্য এস্থলে হালি ছাড়া তরীর ন্যায় অতীৰ অনিয়মে চলিতে থাকে। অতএব তত্ত্ব বিদ্যা এবং তর্কশাস্ত্র দুইকে এক ভাবে দৃষ্টি করা অতীব ভ্রম, র্তাহারই মঙ্গল অভিপ্রায় সম্পন্ন করিতেছে ; যখন দেখি, তিনি কৰ্ম্মাধ্যক্ষ হইয়া সাধুদি গকে পুরস্কার ও অসাধুদিগকে ੱਕ | করিয়া আপনার ক্রোড়ে আকর্ষণ করিতেছেন; যখন এই ৰূপে র্তাহাকে ও তাছার মহিমাকে উাহারই প্রসাদে সন্দর্শন করি, তখন আর কোন কামনাই মনকে আকুলিত করিতে পারে না, তখন মনে হয় আমার আর কিছু তাহার আর সন্দেহ নাই। উদাহরণ : তত্ত্ব বিদ্যা বলেন, “ আমি আছি " ইহা আমরা তর্ক ব্যতিরেকে ঈশ্বর প্রসাদাৎ জানিতেছি, এসো তাহাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করি, অতঃপর এসে আমরা সেই