পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S6 3. டி . তদ্বারা অামারদের অনর্থই সাধিত হয় । পুৰ্বে অবধারিত হইয়াছে যে, সৰ্ব-জগতের সমগুভাকাঙ্ক্ষী পরমাত্মার অধীনে আত্মাকে নিযুক্ত করাকে পরমার্থ সাধন কহে,— এক্ষণে পাওয়া যাইতেছে যে, স্বীয় প্রবৃত্তি সকলকে আমার অধীন করিয়া পরিচালনা ; পরিপুর্ণ মঙ্গল ইচ্ছা কর্তৃক যেন অrs সকলে নিয়মিত হই ; এই ৰূপ যখন ঈশ্ব করাকে ই স্বাহ সাধন কহে । সমুদায় জগতের মঙ্গল--যাঙ্গ আমাদের । কী করে নিজের অভিপ্রেত ক্ষুদ্র মঙ্গল নক্ষে, পরন্তু য: অসম মঙ্গল, যাহা অসীম উন্নতির চির বাঞ্ছিত লাভাষ্ঠীত অনন্ত ফল, সে মঙ্গলের প্রবর্তক কেবল এক মাত্র পরমেশ্বর; এই জন্য সে মঙ্গল যদিও অামারদের প্রজ্ঞাতে আমি বার্ষ্য ৰূপে বিদ্যমান রহিয়াছে, তাত কে আমরা বুদ্ধিতে কোন ৰূপেই আয়ত্ত্ব করিতে পারি না ; কেবল অামারদের নিজের কপিভ মঙ্গলকেই অ|মর অপেন বুদ্ধিতে তামস্ত করিতে পারি ; এবং স্বীয় বুদ্ধিতে মঙ্গল কম্পনা করিয়া যে পরিমাণে অযর তদনুসারে কার্য্য করতে পারি, সেই পরিমাণে সেই কপিত মঙ্গলের মুলীভূত প্রজ্ঞানিহিত বাস্তবিক মঙ্গলেতে আমাদের বিশ্বাস বল পাষ্টতে থাকে। আমাদের আত্মার স্বভাবই এই যে, সে প্রজ্ঞ-স্বার দিয়া পরমাত্মাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং বুদ্ধি দ্বার দিয়া বিষয় কল্পনায় ব্যাপৃত হয়, উভয় কাৰ্য্যই নিশ্বাস প্রশ্বাসের নায় এক যোগে নিৰ্বাহ করে ; তুলাদণ্ড যেমন- -এ দিকে শিরঃসমুন্নত কণ্টক দ্বারা গগন শিখরের প্রতি লক্ষ্য নিবিষ্ট করে ও দিকে স্কন্ধালম্বিত রজু দ্বারা ধরাকৃষ্ট ভারদ্বয় বহন করে, উভয় কাৰ্য্যই একত্র নিম্পন্ন করে,-সেই রূপ । ঈশ্বরের অতিপ্রেভ আত্মপর-নির্বিশেষ মঙ্গলকে যদিও তামরা আয়ত্ত করিতে পারি মা, কিন্তু আমরা তাঙ্গার অধীন হইতে | | } | তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। পারি, আমরা তাহাতে আত্মসমর্পণ করিতে পারি। যদিও আমরা শুদ্ধ কেবল নিজের চেষ্টায় সে মঙ্গল-সাধনের বিস্থমাত্রও সম্পন্ন করিতে পারি না, তথাপি আমরা ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিতে পারি যে, তোমার | | | রের ইচ্ছার সহিত আমাদের প্রার্থনার যোগ হয়, তখন তাঙ্গ হইতে প্রস্থত অমৃত ফল স্বৰূপ এই একটি সত্য তিনি আমারদের আত্মাতে সমর্পণ করেন যে, ডাঙ্গর সেই মঙ্গল ইচ্ছা নিরস্তুরই সাধিত হইতেছে, তাহার জন্য কিছুমাত্র শঙ্কা নাই –কথায় তিনি আমাদিগকে কিছুই বলেন না, কিন্তু তাহার অভিপ্রেত মঙ্গল ভাবের যথা- পরিমাণ আতাস দ্বারা অামারদের আত্মাকে এ ৰূপ পূর্ণ করেন যে, tহাতে নিমেষের মধ্যে আমাদের আত্মা অনুপম বলবীৰ্য্য ও শ গ্নিতে পরিপ্লাবিত হয় । এই ৰূপ, ঈশ্বরের প্রসাদ যাহা সতত সস্বত্র অপার-করুণাবনত রঙ্গিয়াছে, তাহাকে আমারদের নিজ অ|মাতে অাদরের সহিত আহবান পূর্বক কৃতগুলি পুটে গ্রহণ করা এবং তথায় তাহাকে অটল ৰূপে প্রতিষ্ঠা করা, আমাদের প্রথম কৰ্ত্তব্য ; পশ্চাৎ তাহাকে সাধ্যানুসারে পরি বারের মধ্যে, সমাজের মধ্যে, স্বদেশের মধ্যে, পৃথিবীর মধ্যে, উত্তরোত্তর ক্রমশঃ বিস্তার করা—আমাদের দ্বিতীয় কৰ্ত্তব্য । আদান প্রদানের সামঞ্জস্য বিধি যাহা জগতের মধ্যে সর্বত্রই প্রসিদ্ধ রহিয়াছে, পারমার্থিক জগতের মধ্যেও তাছাই দেখা যায় । আমরা ঈশ্বরেতে আত্মসমর্পণ করিলে, ঈশ্বর অামারদের আত্মাতে র্তাহার প্রসাদ বিতরণ করিয়া অামারদের সমুদায় কামনা পুর্ণ করেন। আত্মপর-নির্বিশেষ পূর্ণ মঙ্গলেতে আমরা যে পরিমাণে আমাদের