পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ&8 নেই এই ৰূপ নানাবিধ শুভাশুভ অবস্থার মধ্যে নিয়তই স্থিতি করিতেছি ; ইহার মধ্যে আমাদের স্বাধীন ইচ্ছার কৰ্ত্তব্য এই যে, ঈশ্বরের উপর নির্ভর করিয়া আপন শুভ বৃদ্ধিকে সৰ্ব্বদা সতেজ রাখা,–যেন বাহিরের আপনার ও আবার আমাদের মঙ্গলের প্রতিকুল হইয়া ন দাড়াই । পদচারণ করি, তখন বোধ হয় যেন চন্দ্র আমাদের সঙ্গে সঙ্গে চলিতেছে ; সেই ৰূপ পরিবর্তনশীল ঘটনা সকলের প্রতি লক্ষ্য করিয়া আমরা যখন কার্য্য করি, তখন মনে হয় যে সেই ঘটনা সকলের সঙ্গে আমরা حدها তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | ! | ! ! } | i | | f

  • 每叫,》电疗需

স্থায়ী ফল প্রাপ্তি হইতে আমরা কখনই বঞ্চিত হইব না, ঈশ্বরের অধীন বিচক্ষণত সাহস ধৈর্য্য ইত্যাদি সন্থগুণ-দ্বারা মনের প্রবৃত্তি সকলকে বশীভুত করিয়া আ মরা যদি আমাদের কোন ন্যায্য অভীষ্ট কোন অশুভ ঘটনার অনুবত্তী হইয়া আমরা । না কোন ফল আমরা অবশ্যই লাভ করিব, আকাশস্থিত চন্দ্রের প্রতি লক্ষ্য করিয়া আমরা যখন ভূমিতে । সাধনে প্রবৃত্ত হই, তাহা হইলে তাহার কোন ইহাতে কিছু মাত্র সংশয় নাই । পুনর্বার কহিতেছি যে, ঈশ্বর আমাদি গকে যে ৰূপ সাংসারিক অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করিয়াছেন,—আপন প্রবৃত্তি সকলকে দমন করিয়া সেই অবস্থার উপযুক্ত আপনারাও পরিবৰ্ত্তিত হইতেছি, কিন্তু যখন বিহিত স্বার্থ সাধনের ইহাই পদ্ধতি । আমি আমরা ঈশ্বরের উপর নির্ভর করিয়া স্বাধীন তাবে স্বপদে দণ্ডায়মান থাকি,তখন দেখিতে পাই যে আমরা আপনার স্থির রহিয়াছি, বাহিরের ঘটন: সকলই পরিবৰ্ত্তিত হইতেছে। কিন্তু ইহা সৰ্ব্বদাই মনে রাখা উচিত যে এক মাত্র পরমেশ্বরই কেবল সৰ্ব্বতোভাবে অপরিবর্তনীয় ; এতদ্ভিন্ন আমারদের এই যে অামা ইঙ্গ ক্রমে ক্রমে যত পরিপক্ক হয় ততই অধিকতর অবিচলিত ভাবে কাৰ্য্য করিতে পারে ; যেমন বালকের চঞ্চল মন সরোধিক্য সহকারে ক্রমে ক্রমে স্থৈৰ্য্য লাভে সমর্থ চয়,--সেই ৰূপ । তথাপি আমাদের কৰ্ত্তব্য এই যে তামরা যতদূর পারি ব্রহ্মেতে অবিচল ৰূপে সংস্থিত থাকিয়—মনোমধ্যে কেবল মাঙ্গলিক বিষয় সকলই কল্পনা করি, এবং বাড়িরের শুভাশুভ ঘটনা সকলকে সেই প্রকার কম্পনার স্রোতে সংগঠিত করিয়া লইতে সাধ্যমতে চেষ্টা করি: ইহাতে যুfদ আমাদের সে চেষ্টা বিফলও হয়, তথাপি আমাদের মনের স্বছন্দত অকুতোভয়তা কাৰ্য্যদক্ষতা, এই প্রকার সকল অমুল্য i { ৰূপে সংসার কার্য্যে রত হওয়া, অগ্ৰে বৰ্ত্তমান অবস্থার উপযুক্ত হওয়া পশ্চাতে সা ধ্যানুসারে ভবিষ্যৎ উন্নতির চেষ্টা করা, যদি বৰ্ত্তমান সমাজেরই উপযুক্ত ন হই, তাহা হইলে সমাজের ভবিষ্যৎ উন্নতি সাধ নের জন্য চেষ্টা করা কি আমার পক্ষে কখন শোভা পায় ? আমি যদি স্বদেশেরই মঙ্গল সাধন করিতে অযোগ্য হই, তাহা হইলে পৃথিবীর মঙ্গল সাধন করিবার ভার গ্রহণ করা কি আমার পক্ষে শোভা পায় ? আমি যদি স্বদেশকে ঘৃণা করি, স্বদেশের নিনাবাদ করিতে লজ্জা বোধ না করি, তাঙ্গ হইলে পৃথিবীকে ভালবাস কি আমার পক্ষে শোভা পায় ? অামি যদি আপনার মনকে বশীভূত করিতে যত্ন না করি, তাহা হইলে উপদেশ অথবা বহিদৃষ্টান্ত দ্বারা অন্যের উন্নতি সাধন করিতে সচেষ্ট হওয়া কি আমার পক্ষে ভাল দেখায়? পুর্ব অধ্যায়ে দৃষ্ট হইয়াছে যে, ঈশ্বরের অধীনে থাকিয়া আত্মপর নিৰ্বিশেষ মঙ্গল সাধন করা অামাদের সর্ব প্রধান কৰ্ত্তব্য; কিন্তু সে মঙ্গল সাধনের বিহিত উপায় যে কি—তাহা অধুনা এই ৰূপ পাওয়া যাইতেছে যে, আপনার