পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 2.8 চয়, তাদৃশী সামাজিক শৃঙ্খলা নিতান্তই ঈর্ষাত্মিক, তাহা কদাচ ঈশ্বরের অভিমত হইতে পারে না । যদি আমি কোন অপরিচিত দেশে পরিভ্রমণ করিতে গিয়া তথাকার অধিকাংশ অধিবাসীদিগকে লোচনবিহীন,খঞ্জ ও বিকলাঙ্গ দেখি এবং কারণ অনুসন্ধান দ্বারা জানিতে পাই যে, সামাজিক শৃঙ্খলার অনুরোধে ঐ প্রকার অঙ্গ বৈকল্য আবশ্যক হুইয়াছে, তাহা হইলে আমি অবশ্যই বলি “এৰূপ শৃঙ্খল উৎসন্ন হউক ” “ইহা ঈশ্বরের অভিপ্রেত " একথা শুনিয়া কে না তাহার বোধ শক্তি ও উৎকৃষ্ট অনুভব সমস্ত অবমানিত জ্ঞান করে : প্রজীবগের মন সকল বিকল ও অন্ধীভূত না করিলে যাহা চলিতে পারে না, তাদৃশী সামাজিক রীতির তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । I! প্রতি কাগর না ঘৃণার সহিত অবলোকন । করা উচিত হয় : সমাজের কার্য্যার্থে ইতর লোকদিগকে জড়বুদ্ধি ও অনভিজ্ঞ করিয়া না রাখিলে ৭ কল্প, ১ ভাগ উল্লিখিত হইয়াছে, যে পুস্তক সকল যত মুল্যবানু হউক না কেন, অভিজ্ঞতা ও পর্য্যবেক্ষণ সত্য ও জ্ঞানের ধাদৃশ উৎকৃষ্ট ফলশালী আকর, তাদৃশ কদাচ নহে, অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণও সকল অবস্থাতেই সুলভ সংপ্ৰতি আর একটি গুরুতর বিবেচ্য এই যে, প্রায় সর্বপ্রকার পরিশ্রমই বুদ্ধি-পরিচালন-সাপেক্ষ এবং যাহারা মনের উত্তেজন ও বলাধানে সমর্থ হইয়াছে ঐ সকল লোক দ্বারাই উত্তম ৰূপে নিম্পাদিত হইবার বিষয়, এই সমস্ত পর্য্যালোচনা করিলে, দৈহিক পরিশ্রম ও আত্মাৎকর্ষ বিধান কি পরম্পর বিরোধী বলিয়া প্রতীক্ত হয় ? বিরোধী হওয়া দুরে থাকুক, বরং অতি ঘনিষ্ট ৰূপে সমৃদ্ধ হইয়াই চলে । ফলত জগতের কাৰ্য্য সম্পাদন বিষয়ে মনেরই অধিক প্রঃ ধান্য আছে ; সুতরাং মনের যত অধিক চালনা হইবে, তত অধিক কৰ্ম্ম নিম্পাদিত হইবে । চলে না, ইঙ্গাই যদি প্রতিপক্ষদিগের স্থির- ; সিদ্ধান্ত হয়, তবে তাহাদিগকে এই এক কথ। জিজ্ঞাসা করি পরিশ্রম ও আত্মোৎকর্ষ বিধান কি পরম্পর সমঞ্জসভূত হইয়া চলিতে পারে না ; পূৰ্বে এক স্থানে প্রতিপাদিত হইয়াছে যে, মনুষ্য শ্রম-সাধ্য কৰ্ম্মে লিপ্ত থাকিয়া ও তাঙ্গর ন্যায়পরতা, উপচিকীর্ষ স্বত ব্যবসায়ের পূর্ণতা লিঙ্গ চরিতাৰ্থ করিবার উদেশে অতি গুরুতর উৎকর্ষ সকলের প্রতি প্রবণচিত্ত হইতে পারে এবং হওয়াও তাহার উচিত । এই সমস্ত সমুন্নত বৃত্তির অনুশীলন ও পরিপোষণার্থে পরিশ্রম উৎকৃষ্ট সাধন ; সুতরাং এ স্থলে আমাদের এই অনুভব অবশ্যই বলবান, যে অন্যান্য বিষয়ে উলকে আত্মার প্রভা সমস্ত বিলুপ্ত করিতে হইবেই হইবে এৰূপ সিদ্ধান্ত কোন ক্রমে স্থান পায় না । অপর এক স্থলেও মনুষ্য যে পরিমাণে বিজ্ঞতা লাত করে, তাহার অনুষ্ঠিত কৰ্ম্মও সেই পরিমাণে উৎকৃষ্ট হয়। কোন নির্দিষ্ট শক্তিকে সে অপেক্ষাকৃত অধিক কৰ্ম্ম করাইতে সমর্থ হয়, বুদ্ধি কৌশলকে শিরা ও মাংস-পেশী সকলের স্থানীয় করে এবং অল্প পরিশ্রমে প্রচুর ফল নিম্পন্ন করিয়া থাকে । মনুষ্যদিগকে বিজ্ঞ কর, তাহা হইলেই তাহার অচিরে রচনা-শক্তি-সম্পন্ন হইবে। তাহারা সংক্ষিপ্ত প্রক্রিয়া সমস্ত উদ্ভাবন করিয়া লইবে । প্রকৃতির পরিজ্ঞান তাহাদিগকে উছার নিয়ম-সমস্ত কার্য্যোপযোগী করিয়া লইবার নিমিত্তে সাহায্য করবে। তাহারা যে সকল পদার্থ লইয়া কৰ্ম্ম করিবে, তৎ সমুদায়ের তত্ত্বও উত্তম ৰূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিবে এবং যে সমস্ত ব্যবহার্য্য , সংকেত অভিজ্ঞতা দ্বারা সড়ত উপস্থাপিত হয়, সে সকল সংকলন করিতেও সমর্থ হইবে । কৰ্ম্ম