পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 to তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । ... " הי " . * If 喀 : I -

  • .w

ভুল। রোগী ব্যক্তি যেমন চিকিৎসকের বিশ্বাস পূর্বক যে পরিমাণে আমরা তাহাতে হস্তে আপনাকে শ্রদ্ধার সহিত সমর্পণ করে, ভক্তি সমর্পন করি, সেই পরিমাণেই আমার সেই ৰূপ আমরা যদি ঈশ্বরের উপরে সম্পূর্ণ ভরসা স্থাপন করত সাংসারিক দুঃখ বিপদে ধৈর্য্য অবলম্বন করিয়া থাকি এবং উহার আদিষ্ট সদুপায়ে তৎপর হই, তাহ হইলে তিনিই আমারদের আত্মার উন্নতি করিয়! দেন ; কিন্তু দুৰ্দ্দাস্ত রোগীর ন্যায় আমরা যদি অধৈর্য্য হইয়। ঈশ্বরের সাহাষ্য বিনা আপনার বুদ্ধির উপর নির্ভর করিতে যাই, তাহা হইলে আমরা পদে পদে আরো রোগ সঞ্চয় করিতে থাকি । সমানের সহবাসে আমাদের প্রীতি চরিতীর্থ হয়, এবং তাঙ্কাতে বৰ্ত্তমান অবস্থার মধ্যেই আমাদের সন্তোষ নিমগ্ন থাকে । ভক্তি উন্নতির দিকে চক্ষু নিবিষ্ট করিয়া থাকে, প্রীতি বৰ্ত্তমান অবস্থার মধ্যে দ্রব্যাদি গুছাইয়া সন্তোষ উপভোগে রত হয়; পরস্তু এই প্রীতির যদি ভক্তির সহিত সংস্রব না থাকে, তাহ হইলে সে সন্তোষ দেবতার বর্ষণ অভাবে ক্রমে ক্রমে শুষ্ক হইয়া যায় ; কেন ন! ঈশ্বরের কল্যাণ আশীৰ্ব্বাদ আমাদের শরীর মন আত্মাতে যথা পরিমাণে বর্ষিত না হইলে, আপন আত্মা ও অামাদের নিকটে অসার ও হেয় বোধ হয়, তবে আর কে আম দি গ ক প্রীতি দানে পরিতুষ্ট করিবে ? সম্পূর্ণ দাতার নিকটে সম্পূর্ণ গৃহীতার যে ৰূপ ভাব হওয়া উচিত, সেই ৰূপ ভক্তি শ্রদ্ধ; ও কুতজ্ঞতার ভাব অক্সিকে অভিভূত 函。哆 করিলে, তবেই ঈশ্বরের দান আমারদের নিকটে বিশেষ ৰূপে স্ফূৰ্ত্তি পাইতে পারে । ক্টন্দ্রিয়ের বলে আমরা বিষয় উপভোগ করি, সমুদায় আত্মার বলে আমরা আপনাকে প্রীতি করি, কিন্তু সমুদায় আত্মার বলেও আমরা পরমাত্মাকে ভক্তি করিয়া উঠিতে প্লারি না ; তবে কি ? না তাঙ্কার সাহায্যে } দের আত্মায় আত্মার বিশুদ্ধ প্রীতির সঞ্চার সৰ্বশেষে বক্তব্য এই যে, যদিচ মুখ্য ৰূপে ধরিতে গেলে মনুষ্যই কেবল আমাদের প্রীতির আম্পদ হইতে পারে, তথাপি বহিবিষয় সকলেতে যে হেতু মনুষ্যত্বের ভাব কৃত্ৰিম ৰূপে আরোপ করিতে পারা যায়, এই হেতু উহাদিগকেও আমরা এক প্রকার প্রীতি করিতে পারি। সুর্য্যকে আমরা বলি ৰু, আলোককে—আনন্দযুক্ত, রজনীকে—প্রশাস্ত; কিন্তু বাস্তবিক, সুৰ্য্যেতে চক্ষু নাই, আলোকে আনন্দ নাই, রজনীতে শান্তি নাই,—সকলই আমাদের মনে । অন্ধকরে আমাদের সম্মুখ হইতে বিষয় সকল কাড়িয় লয়, আলোক পুনৰ্বর তাঙ্গদিগকে আমাদের নিকট প্রত্যানয়ন করিয়া অামাদের মনে আনন্দ বিধান করে—এই পর্য্যস্ত , কিন্তু সে আনন্দ আমাদের মনেরই সম্পত্তি, আলোকের তাছাতে সত্ত্ব নাই । অতএব আলোককে কেবল আমরা কৃত্রিম ৰূপেই আনন্দনিধান বলিয়া সম্বোধন করিতে পারি –শিশুকে যেমন নানা ৰূপ উচ্চপদসেব্য উপাধি সম্বোধনে আদর করা যায়,— সেই ৰূপ । প্রকৃতিকে ঈশ্বরপদোচিত্ত উপাধি উল্লেখ সহকারে ব্যাখ্যা করাও এই ৰূপ অবাস্তবিক স্নেহ সম্ভাষণ ভিন্ন আর क्डूिहे ब्रट्झ् । অতএব আমরা আত্মাকে যে ভাবে প্রীতি করি,বিষয়কে কদাপি সে ভাবে প্রীতি করিতে পারি না । কেন না ইহা সুস্পষ্ট যে, যদি একটা কোন সামগ্রীতে রত হওয়া কৰ্ত্তব্য হয়, তবে তাহা বিষয় মহে, কিন্তু জাক্স ; এবং যদি হেলাক্রমে নানাবিধ বিচিত্র সামগ্রীতে বিচরণ করা কর্তব্য হয়, ক্ষৰে তাহ