পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণান্ধুর WOS) ঘূৰ্বচে, তার জগতে যেতে sift-4 (33 Globular cluster-C3 (Vo যেতে পারি-কে বলবে এ সব শুধুই কল্পনা-বিলাস ? এ যে হয়না তা কে জানে ? হয়তো নিছক কল্পনা নয়। এ সব-বৃহত্তর জীবন-চক্ৰ যুগে যুগে কোন অদৃশ্য দেবতার হাতে এ ভাবেই আবৰ্ত্তিত হচ্চে। শত শত জন্মমৃত্যুর মধ্য দিয়ে যার চলাচলের পথ-জয় হউক সে দেবতার, তার গতির তেজে সম্মুখের ও পশ্চাতের অমুক্তির অন্ধকার জ্যোতিৰ্ম্ময় হউক, নিত্যসৃষ্টি জায়মান হউক তঁরা প্ৰাণ-চক্রের নিত্য আবৰ্ত্তনশীল বিশাল পরিধিতে । গুন গুন করে বানিয়ে বানিয়ে গাইলুম, আপনিই মুখে এসে গেল :- ‘গভীর আনন্দরূপে দিলে দেখা এ জীবনে श् आख्त्रीन ड्नारुठ’- নিজেকে দিয়ে বুঝেচি তুমি কত বড় শিল্পী, নিজের দৃষ্টি দিয়ে বুঝেচি তুমি কত বড় দ্রষ্টা, নিজের সৃষ্টিকে দিয়ে বুঝেচি তুমি কত বড় স্রষ্টা। হঠাৎ সারা দেহ এক অপূর্ব আনন্দে ভরে উঠল-ওপারে মাধবপুরের বটগাছের সারি, বেলেডাঙার গ্রামের বেণুবনশীৰ্ষ সান্ধ্য বাতাসে দুলচেআউশ ধানের ক্ষেতের আইল-পথ বেয়ে কৃষক-বধু মাটীর কলসী নিয়ে জল ভৰুতে আসচে, বাইনদি মোড়লের বাড়ীর মাথায় শুক্রতার উঠেচে-মনে হোল আমি দীন নয়, দুঃখী নয়, ক্ষুদ্র নয়, মোহগ্ৰস্ত জড় মানব নয়, আমি জন্ম জন্মান্তরের পথিক-আত্মা। দূর থেকে কোন সুদূরে নিত্য নূতন পথহীন পথে আমার গতি—এই বিশাল বিশ্ব, এই বিপুল নীল আকাশ, অগণ্য জ্যোতিলোক, এই সহস্ৰ সহস্ৰ শতাব্দী-আমার পায়ে চলার পথ, নিঃসীম শূন্য বেয়ে সে গতি আমার ও সারা মানবের যুগে যুগে বাধাহীন হোক । মনে হোল আর এক আজন্ম পথিক-দেবতার কথা, তার কথা আমার এক খাতায় লিখেচি । আমার সে কল্পনা সত্য কি মিথ্যা সে বিচারের কোনো প্ৰয়োজন নেই, আমার দৃষ্টিতে আমি তা দেখোঁচি, আমার কাছে সেটা মহাসত্য-revealation, চিন্তা ও কল্পনার আলোকে যা দেখা যায়-তাকে আমি মিথ্যা বলে ভাবতে পারি না। বিদায়, বিদায়-আর কখনো অজয়ের সঙ্গে দেখা হোল না, গুরুজীর সঙ্গে দেখা হোল না, কথক ঠাকুরের সঙ্গে দেখা হোল না, দেবব্রতের সঙ্গে