তৃণান্ধুর R তারপর মাঠ দিয়ে খানিকটা ছুটুতে ছুটুতে গেলাম। রাস্তার পরে কঁচিকাটার পুলে-এই কাৰ্ত্তিকমাসেও একটা গাছে একবার সোদালি ফুল দেখে বিস্মিত হলাম। সেইখানে ঝোপটা কি অন্ধকারই হয়েচে ! সুনীতি বাবু চেয়ে চেয়ে দেখলেন- সবাইকে ডেকে দেখালেন-আমার বেশ মনে হচ্চিল আমার পরিচিত। সলতেখালি তলায় যেখানে আমিই আজকাল কম যাই—সেখানে—আমাদের ভিটতে—সম্পূর্ণ কলকাতার মানুষ সুনীতিবাবু, অশোকবাবু, এ যেন কেমন অদ্ভুত লাগিছিল। আমাদের কুঠার মাঠে, আমাদের সাইমার বাড়ীর রোয়াকে । - R সন্ধ্যা হোলে তেঁতুলতলার পথটা দিয়ে সবাই মিলে আবার ফিরলামময়না-কঁাটার ডালগুলো ওখান থেকে আবার নিলাম উঠিয়ে-সইমার বাড়ী এসে দেখি হরেন এসে বসে আছে। সাইমার সঙ্গে সুনীতিবাবুর খানিকক্ষণ কথাবাৰ্ত্তা হোলি-পরে আমরা বার হয়ে গিরীশ-দার বাড়ী এসে চ খেলাম--তখনই ওদের রান্নাঘরের পৈঠাতে জ্যোৎস্না উঠে গিয়েচে । তারপরে গাজিতলার পথ দিয়ে হেঁটে মোটর ধরলুম-গোপালনগরের হাট-ফেৰ্ত্তা লোক বসে আছে মোটর দেখবার জন্যে। খানকতক স্যাণ্ডউইচ। ও ডালমুট। কিছু খেয়ে নেওয়া গেল-কুঁজোর জল খেয়েটেয়ে গাড়ী ষ্টার্ট c& ८छ्tब्ल । বন্ধুর বাসায় এসে দেখি তরু বেচারীর চৌদ্দ পােনর দিন জ্বর-বিছানায় শুয়ে আছে, বন্ধু ফোড়ায় শয্যাগত-বন্ধুর বৌ এসেচে, কিন্তু সে বেচারীর দুর্দশার সীমা নেই । সেখানে কিছু চা ও খাবার খাওয়ার পরে আমরা সুন্দর জ্যোৎস্নাভরা রাত্রে মাঠের ভিতর দিয়ে রাস্তায় সজোরে গাড়ী চালিয়ে রাত্রি সাড়ে ন’টাতে কলকাতার বাসায় এসে পৌঁছলাম। তখনও বাসায় খাওয়া আরম্ভ হয় নি-ঠাকুর তখনও রুটী গড় চে । আমি এসে টেবিল পেতে লিখতে বসে গেলাম, আর ভাবছিলাম। এই খানিক আগে যখন সন্ধ্যার অন্ধকার ঘন হোল তখন ছিলুম। আমাদের বাড়ীর পিছনকার গাব তলার পথে-এরই মধ্যে কলকাতার বাসায় ফিরে এত সকাল-রাত্রে বারান্দার আলো জেলে বসে লিখচি, এ কেমন হোল ?-- যদি মোটর না থাকতো তবে কখন পৌছাতাম ?--সন্ধ্যার পরে বেরিয়ে সন্ধ্যার গাড়ী ধরে, বা বনগ্রাম থেকে ট্রেন ধরে, রাত্ৰি বারোটাতে কলকাতা C°ችffEN5†ሻ | S8
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫
অবয়ব