(ሉ o তৃণাকুর আমি সত্যই আজ একটা আনন্দ পেলুম। একটা অদ্ভুত—ও সুন্দর ধরণের আনন্দ পেলুম। ওঁরা গিয়েছিলেন “পথের পাঁচালী’র দেশ দেখতে-আমি আমার পরিচিত ও প্রিয় স্থানগুলিতে কলকাতার এই প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে বেড়িয়ে আজ সত্যই একটা নতুন ধরণের আনন্দ পেলুম-যা আর কখনো (< f(a trip-s, if f ইচ্ছা আছে বৈশাখ মাসের দিকে একবার এদিকে এসে, ওঁদের নিয়ে ইছামতীতে নৌকা ভ্রমণ ও কোনো একটা বনের ধারে বনভোজন করা হবেসুনীতিবাবুও সে প্ৰস্তাব কল্পেন-সবাই তাতে রাজী। কাল দুপুরে সিদ্ধেশ্বর বাবুর ঠাকুর-বাড়ীতে ছিল নিমন্ত্রণ, সেখানে সকলের সঙ্গে গল্পগুজবে বেলা হোল তিনটা, সেখান থেকে গেলুম গৈরিক পতাকা’ দেখতে মনমোহনে। এ গোল কালকার কথা-কিন্তু আজ এমন অপূর্ব আনন্দ পেয়েচি বৈকালের দিকে যে, মনে হচ্চে জীবনে ক—ত দিন এ রকম অদ্ভুত ধরণের বিষাদের & ट0खछनांद्र आनन्ग श्वनि उाभाब्र । কিসে থেকে তা এল ? অতি সামান্য কারণ থেকে । ক্লাসে-দেবব্রত নাকি ছোট একটা খড়ি নিয়ে পকেটে রেখেছে, ক্লাসের মনিটার তার হাত মুচড়ে সেটা নিয়েচে কেড়ে। দেবব্রত এসে আমার চেয়ারের পাশে দাড়িয়ে কেঁদে ফেল্লে-বল্লে, দেখুন স্যার-ওরা এত বড় বড় খড়ি নিয়ে যায় বাড়ীতে—আর আমি এইটুকু নিলাম-আমার হাত মুচড়ে ও কেড়ে নিলে ?- হাতে এমন লেগেচে । ছোট ছেলের এ কান্না মনে বাজােল। তখনি অবিশ্যি মনিটারকে বকে খড়িটুকু দেবব্রতকে ফেরৎ দেওয়ালাম, কিন্তু দুঃখটা আমার মনে ब्राशझे 6१ल । সে কি অননুভূত দুঃখ ও বেদনা বোধ ! -- দুপুরের রোদে ছাদে বেড়াতে বেড়াতে মনে হোল ভগবান আমাকে এক অপূর্ব ভাব-জীবনের উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে চান বুঝি-তিনিই হাত ধরে আমাকে নিয়ে চলেছেন কোথায়,-তার কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য, তিনিই জানেনঅনন্ত জীবনের কতটুকু আমাদের সান্ত-দৃষ্টির নাগালে ধরা দেয় ? মনে হোল বহুকাল আগে শৈশবে হরি ঠাকুরদাদা সন্ধ্যাবেলা আমাদের বাড়ীর দরজা থেকে চাল চেয়ে না পেয়ে মলিন মুখে ফিরে গিয়েচেন-সেই দিনটীতেই
পাতা:তৃণাঙ্কুর - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬
অবয়ব