পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলপ্রপতি উঠাইয়া পেয়ালাগুলি টেবিলে সাজাইয়া দিল-আগে গদাধরের সামনে, তারপরে নিৰ্ম্মলের ও সবশেষে শচীনের সামনে । গদাধরকে বলিল-চিনিটা দেখুন তো ? আমি দু’চামিচ। ক’রে দিতে বলি সব পেয়ালায়-যদি কেউ বেশি খান, আবার দেওয়া उछाgव्i । গদাধর মুখ তুলিয়া দেখিলেন, মেয়েটির ডাগর চোখের পূর্ণদৃষ্টি তাঁহার মুখের উপর। কি সুন্দর মুখশ্ৰী, অপূর্ব লাবণ্যভরা ভঙ্গি ঠোঁটের নীচের অংশে । গদাধরের সারা দেহ নিজের অজ্ঞাতে শিহরিয়া উঠিল। নামজাদা অভিনেত্রী শোভারাণী মিত্ৰ • • তাহাকে-গদাধর বসুকে সম্বোধন করিয়া কথা বলিতেছে! বিশ্বাস করা শক্ত ! গদাধর তখনই চোখ নামাইয়া লইলেন। বেশিক্ষণ মেয়েটির মুখের দিকে চাহিতে পারিলেন না। ছবিতে এইমাত্র যাহাকে দেখিয়া আসিলেন-সেই মিৰ্য্যাতিতা মহীয়সী বধু কমলা রক্ত-মাংসের জীবন্ত দেহ লইয়া, তাহার অপূর্ব মুখশ্ৰী লইয়া সম্মুখে দাড়াইয়া বলিতেছে- ‘তাঁহাকেই• • • গদাধর বসুকে ! , , বলিতেছেআপনার চায়ে কি চিনি কম হয়েচে ? এমন ঘটনা কিছুক্ষণ পূর্বেও তিনি কল্পনা করিতে পারিতেন माँ ! অথচ চিনি আদৌ ঠিক ছিল না। চিনির অভাবে চা তেতো বিস্বাদ । চায়ে চার চামচের কম চিনি তিনি কখনো Wr