চল, বলিয়া ইন্দু অলক্ষ্যে চোখের জল মুছিয়া ফেলিয়া তাহার কাছে আসিয়া দাড়াইল । চা খাওয়া শেষ হইলে, বিমলা কি জানি ইচ্ছা করিয়া আঘাত দিল কি না-কহিল, সে এক হাসির কথা বেী। এক বাড়িতে দুই রোগী, কিন্তু দুজনের কি আশ্চৰ্য ভিন্ন ব্যবস্থা । দাদা মাির মর হয়েও তোমাকে খবর দিতে দিলেন না ; পাছে ব্যস্ত হও-পাছে তোমার শরীর খারাপ হয় - আর অম্বিকাবাবু একদণ্ড ওর স্ত্রীকে সুমুখ থেকে নড়তে দিলেন না ! তঁর ভয়, সে চোখের সুমুখ থেকে গেলেই তার প্রাণটা বেরিয়ে যাবে !! এমন কি, সে ছাড়া তিনি কারও হাতে বিশ্বাস করে ওষুধ খেতেন না-এমন কখন শুনেচ বৌ ? আমাদের একে তোমরা সবাই তামাশা কর, কিন্তু অম্বিকাবাবু সকলকে ডিঙিয়ে গেছেন ; খেটে খেটেএই মেয়েটির ঠিক মড়ার মত আকৃতি হয়েচে । হু বলিয়া ইন্দু উঠিয়া দাড়াইল। কহিল, আর একদিন এসে তোমার সতী-সাধবী বৌটির সঙ্গে আলাপ করে যাব - আজ গাড়ি এসেচে, চললুম। তা হলে কাল একবার এস ; আলাপ করে বাস্তবিক সুখী হবে। দেখা যাবে। যদি কিছু শিখতে পারি, বলিয়া ইন্দু মুখ ভার করিয়া গাড়িতে গিয়া উঠিল। অম্বিকাবাবুর পাগলামি তাহার মনের মধ্যে আজ সমস্ত পথটা তাহার স্বামীর গভীর মঙ্গলেস্যার গায়ে ধূলা छिप्लाङ्ग्रेशा ब्लङ्ख्। gिठ 5व्लिक्ष्न । d দিন-দুই পরে কথায় কথায় ইন্দু অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া বলিয়া উঠিল, যদি সত্যি কথা শুনলে রাগ না কর, তা হলে বলি ঠাকুর ঝি, বিয়ে করা তোমার দাদার উচিত হয়নি, এই অম্বিকাবাবুরও হয়নি । २७
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩
অবয়ব