প্ৰাণত্যাগ করে, তেমনি ছটফট করিয়া সুরমা প্ৰথমে আকাশ পানে চাহিয়া দেখিল, তারপর তেমনি করিয়া ভুলুষ্ঠিত হইয়া কঁাদিতে লাগিল, যজ্ঞদাদা, আমাকে ক্ষমা কর, আমি তোমার শত্ৰু, আমাকে আর কোথাও পাঠিয়ে দিয়ে, তুমি সুখী হও । তখনি হয়ত দাসী আসিয়া পড়িবে, যজ্ঞদত্ত হাত ধরিয়া তাহাকে তুলিয়া ধরিল। সস্নেহে অশ্রু মুছাইয়া কহিল, ছিঃ, ছেলেমানুষি করা না । অশ্রু মুছিতে মুছিতে সুরমা তাড়াতাড়ি ঘরে গিয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিল । অ্যাট তার পরে একদিন সুরমা বৌকে টানিয়া কাছে লইয়া কহিল, বেী দাদা। কি তোমাকে কখন কিছু বলেচেন ? বে সহজভাবে উত্তর দিল, কি আবার বলবেন ? তবে তুমি কখন তঁর কাছে যাও না কেন ? তোমার কি যেতে ইচ্ছা করে না ? বৌয়ের প্রথমটা লজ্জা করিতে লাগিল, পরে মুখ নত করিয়া কহিল, করে দিদি, কিন্তু যাবার ত জো নেই! কেন বেী ? তোমার কি মনে নেই ? কৈ না । ও:- তুমি বুঝি ভুলে গেছ ঠাকুরঝি, আমার যে রাক্ষস-গণ, ওঁর କଣ୍ଟ୍-ସ୍ଟିଙ୍ଗ । কে বলেচে ? উনিই পিসীমাকে বলেছিলেন, তাইতে সুরমা শিহরিয়া উঠিল -এ যে মিছে কথা বৌ । মিছে কথা ? ee
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০
অবয়ব