পাতা:দশকুমার.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিত্রগুপ্ত চরিত। >>సా হইলেন। নিজ প্রণয়িনীর নিকট ঐ বৃত্তান্ত জানাইলেন। তখন রত্নবতী বলিলেন নাথ ! ইহাতে তুমি ভীত হইওনা, আমি এক সন্ত্রপায় বলি। যখন পুরবৃদ্ধের তোমার উপর পরনারী হরণের অভিযোগ করবেন, তখন তুমি এই কথা বলিও “ আমি গৃহগুপ্ত বণিকের কন্যা রত্নবর্তীকে যথা বিধি বিবাহ করিয়া আনিয়াছি, বরং আপনার সন্দেহ ভঞ্জনের নিমিত্ত গৃহগুপ্তের নিকট লোক পাঠাইয়া তত্ত্বাহুসন্ধান করুন, । অনন্তর পুরবুদ্ধের বলভদ্রের নামে অভিযোগ করিলে, বলভদ্র নিজ প্রণয়িনীর বচনাহুরূপ সমস্ত বলিলেন । তাহাতে পৌর বৃদ্ধের সন্দিহান হইয়া বলতী নগরে গৃহগুপ্ত বণিকের নিকট দূত প্রেরণ করিলেন। গৃহগুপ্ত সমাচার পাইবা মাত্র স্বয়ং খেটক নগরে অসিয়া উপস্থিত হইলেন । জামাতা ও দুহিতাকে পরস্পর অনুরক্ত দেখিয়া পরম সন্তোষে তাহাদিগকে স্বদেশে লইয়। গেলেন। যে বলভদ্র পুৰ্ব্বে রত্নবতীর প্রতি বিরক্ত ছিলেন, তিনিই তাহার প্রতি কনকবতী-ভ্রমে নিতান্ত অনুরক্ত হইলেন । অতএব, মনের সঙ্কল্পই কাম । - निङञ्चदउँौज्ञ इखांख् । শূরসেন রাজ্যে মথুরা নামে নগরী আছে। তথায় এক ব্রাহ্মণ যুবক বাস করিত। সে, বেশ্যাগণে ও দ্যুতাদি ব্যসনে অতিশয় আসক্ত ছিল । সৰ্ব্বদা সকলের সহিত কলহ করিত বলিয়া, কলহকণ্টক তাহার নাম হয়। সে একদা এক বিদেশীয় চিত্রকরের হস্তে একখানি চিত্ৰপট দেখিল। ঐ পটে এক অপুৰ্ব্ব রূপবতী যুবতী চিত্রিত ছিল। চিত্র দেখিয়াই কলহকণ্টকের চিত্ত মদন-মত্ত হইল । কলহকণ্টক চিত্রকরকে জিজ্ঞাসা করিল ভদ্র । এই চিত্রিত কামিনী কে ? চিত্রের ভাব দেখিয়া বোধ হইতেছে ইহা কোন কুলবধূর চিত্র হইবেক । সলজ্জত ও নমতা দ্বারা ইহার আতিজাতা প্রকাশ পাইতেছে। বিরহিণী রমণীর মুখশ্ৰী যেরূপ পাণ্ডুবর্ণ হয়, ইহারও সেইরূপ লক্ষিত হইতেছে। কিন্তু একবেণী ধারণ প্রভৃতি বিরহিণীর আর আর যে সকল চিন্ধ আছে, ইহার সেসকল