পাতা:দশকুমার.djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিত্রগুপ্ত চরিত । ১২২ তার পাতিব্ৰত্য ভঙ্গের চেষ্টা করিবেক, কখনই সম্ভাবিত নহে , । তুমি প্রথমতঃ এইরূপ কপট নাটকের প্রস্তাবনা করিয়া তাহার মন আদ্র করিয়া আন । পশ্চাৎ তাহাকে বলিও “ সুন্দরি! তুমি যেরূপ রূপবতী ও গুণবতী, তোমাকে যেরূপ সচ্চরিত্র দেখিলাম, তোমার একট সুসন্তান ন হইলে বড় দুঃখের বিষয় হইবে। তোমার স্বামী একে বৃদ্ধ, তাহে আবার তাহার গ্রহ প্রতিকূল হইয়াছে। গহ শান্তি না করিলে সন্তান জন্মিবার সম্ভাবনা নাই। এক্ষণে আমি তোমাকে এক পরামর্শ বলি, তুমি তাই কর । এক সন্ন্যাসী দৈব ঔষধ জানেন । তিনি যদি নির্জনে তোমার দক্ষিণ চরণে সেই ঔষধের প্রলেপ দিয়া যান, তাহা হইলে তোমার স্বামীর গ্রহ শান্তি হইয়া সুসন্তান জন্মিতে পারে। যদি তোমার মত হয়, বল, আমি সেই সন্ন্যাসীকে সঙ্গে করিয়া তোমার অন্তঃপুরের উদ্যানে অনিয়ন করি, । সরলা নিতম্ববতী পুত্ৰলোভে তোমার এই প্রস্তাবে সম্মত হইবেক । তখন তুমি আমাকে তথায় লইয়া গিয়া তাহাকে অনিয়ন করিও । ইহা হইলেই তোমার নিকট যথেষ্ট উপকার স্বীকার করিব। এই কথা বলিয়া কলহকণ্টক ভিক্ষুকীকে প্রেরণ করিল। ভিক্ষুকী তাহার কথামৃরূপ সমস্ত অহষ্ঠান করিল। অনন্তর কলহকণ্টক রজনীযোগে ভিক্ষুকীর সহিত অনন্তকীৰ্ত্তির অন্তঃপুরের উপবনে উপস্থিত হইল। ভিক্ষুকীর বাক্যে নিতম্ববতী ও তথায় আগমন করিল। কলহকণ্টক ঔষধ লেপনচ্ছলে তাহার দক্ষিণ চরণ ধারণ করিয়া একগাছি সোণার সুপুর খুলিয়া লইল। এবং ছুরি দ্বারা সেই অবলার উরুদেশে ক্ষত করিয়া পলায়ন করিল। নিতম্ববতী তখন নিতান্ত ভীত হইয়া আপনার নির্বদ্ধিতার বারম্বার নিন্দ করিতে করিতে গৃহে প্রত্যাগমন করিল। অনন্তর বান চরণের সুপুর খুলিয়া তুলিয়া রাখিল। দুই চারি দিন পরে সেই ধূৰ্ত্ত সন্ন্যাসী সুপুর বিক্রয়ার্থ অনন্তকীৰ্ত্তি বণিকের নিকটেই উপস্থিত হইল। অনন্তকীৰ্ত্তি সন্ন্যাসীর হস্তে আপন গৃহিণীর স্বপুর দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি এ সুপুৰ > \)