পাতা:দশকুমার.djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহারবর্ণ চরিত। \Sసి কাম বিষয়ক কথা বাৰ্ত্তা, কখন বা অধ্যাত্মশাস্ত্রের প্রস্তাব ও আত্মতত্ত্বাস্থসন্ধান দ্বারা অাপন বুদ্ধি শক্তি প্রকাশ করিতে লাগিল । কখন বা মৃত্য গীতাদি দ্বারা মুনির আনন্দ বিধান ও মনোহরণ করিতে লাগিল। এই রূপে অল্পকাল মধ্যে গণিকা, জ্ঞানবান মরীচি মুনির মানস বশীভুত ও অস্থরক্ত করিয়া আনিল । মুনির মন একান্ত অনুরক্ত হইয়াছে বুঝিতে পারিয়া কামমঞ্চরী এক দিন মুনিসমক্ষে নিবেদন করিল মহর্ষে ! সংসারের লোকেরা অতিশয় মুখ, ইহার ধৰ্ম্মকে অর্থ কামের সহিত একত্র গণনা করে। এই বলিয়া ঈষৎ হাস্য করিল। মুনি তাহার সহাস্য বচন শ্রবণ করিয়া জিজ্ঞাসিলেন সুন্দরি ! তোমার মতে অর্থকাম অপেক্ষ কোন অংশে ধর্মের প্রাধান্য, তাহ আমাকে বল। মুনির এই রূপ জিজ্ঞাসায় সলজ্জ হইয় বারনারী বলিল ভগবন্‌! আমার নিকট হইতে আপনকার ধৰ্ম্ম অর্থ কামের তারতম্য জানিবার ইচ্ছা হইয়াছে, কি আশ্চৰ্য্য ! অথবা দাস জনের প্রতি ইহা এক প্রকার অনুগ্রহ বলিতে হইবেক, যাহা হউক, শ্রবণ করুন । ধৰ্ম্ম ব্যতিরেকে অর্থ কামের উৎপত্তিই অসম্ভব । আর যদি, অর্থ কামের কামনা পরিশুন্য হইয়া কেবল ধৰ্ম্মাচরণ ও ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মানুষ্ঠান করা যায়, তাহা হইলে, তাহা হইতে তত্ত্বার্থ বোধ উৎপন্ন হইয়া মুক্তি পদার্থ লাভ হইতে পারে। তত্ত্বজ্ঞানী ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছ ক্রমে অর্থ কামের উপভোগ করেন, তাহ হইলে সেই অর্থ কাম দ্বারা তাহার ধর্মের কোন ব্যাঘাত হয় না । ষৎকিঞ্চিং ব্যাঘাত জন্মিলেও তিনি অনায়াসে জ্ঞানাভ্যাস বলে তাহার প্রতিবিধান করিতে পারেন, এবং অনায়াসেই আপন শ্রেয়ঃ সাধনে পুনঃ সমর্থ হন। তাহার উদাহরণ দেখুন। পরাশর ব্যাসদেৰ অত্রি প্রভৃতি মুনিগণ , কৈবৰ্ত্তকন্যা গমন ভ্ৰাতৃ ভাৰ্য্যা লঙ্ঘন মৃগীসঙ্গম প্রভৃতি ব্যভিচার দোষে দূষিত হইয়াছিলেন। কিন্তু জ্ঞান প্রভাবে উহাদিগের ঐ সকল কাম-কৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম ব্যাঘাত করিতে পারে নাই। পৃথিবীর ধূলি যেমন গগন মণ্ডলে লিপ্ত হইতে পারে ম, সেইরূপ তত্ত্বজ্ঞানী দিগের ধৰ্ম্মপুত মানসে অর্থ কাম জনিত