পাতা:দশকুমার.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8NᏬ দশকুমার পরিবেক “ অর্থ অচিরস্থায়ী পদার্থ, অনেক যত্ন করিলেও অর্থকে কেহ চিরকাল একত্র স্থির রাখিতে সমর্থ হয় না, অতএব সেই অর্থের নিমিত্ত দুষ্কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হওয়া অতি অকৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম ,, । দস্থাদিগের এইরূপ জ্ঞান জন্মিলে, তাহারা দুষ্কৰ্ম্মে বিরত ও সৎপথে প্রবৃত্ত হইবেক । আমি চৌর্যবৃত্তি অবলম্বন নিশ্চয় করিয়া, প্রথমতঃ এক দৃতি সভায় প্রবেশিয়া অক্ষপূৰ্ত্ত দিগের সহিত মিলিত হইলাম। দেখিলাম তাহার নানা প্রকার দুতিক্রীড়া করিতেছে। আমি তাহাদের ক্রীড়া বিষয়ে অনভিজ্ঞতা দেখিয়া ঈষৎ হাস্য করিলাম । তাহাতে এক ব্যক্তি আমার প্রতি কুপিত হইয় কহিল কে, হে, তুমি, আমাদের ক্রীড়া দর্শনে উপহাস করিতেছ, আইস তোমার সঙ্গেই অগ্রে ক্রীড়া হউক। এই বলিয়া বিমৰ্দ্দক নামক দ্যুতসভাধ্যক্ষের অনুমতি ক্রমে, আমার সহিত পণ করিয়া ক্রীড়ায় প্রবৃত্ত হইল । আমি ঐ ব্যক্তির নিকট একবারেই ষোড়শ সহস্র মুদ্র। জিতিলাম। পরে, দ্যুতসভার নিয়মাহসারে, অধ্যক্ষ ও সভ্যদিগকে অৰ্দ্ধাংশ প্রদান করিয়! আপনি অৰ্দ্ধাংশ লইয়া বহির্গত হইলাম । তত্ৰত্য তাবৎ লোকেই আমার ধন্য বাদ করিতে লাগিল। দ্যুতসভাধ্যক্ষ আমার সঙ্গে সঙ্গেই সভা হইতে বহির্গত হইলেন, এবং বিস্তর আগ্রহ করিয়া আমাকে আপন গৃহে লইয়া গেলেন। আমি তাহার অনুরোধে তাহার গৃহেই বাস। করিলাম। ক্রমশঃ তাহার সহিত আমার এমত অকৃত্রিম মিত্রত জন্মিল, যে, উভয়ে অভিন্ন-হৃদয় হইলাম । অামি নির্জনে বিমদকের নিকট চম্পানগরবাসী দস্থ্যদিগের বৃত্তান্ত বিশেষ রূপ অবগত হইলাম। একদিন নিশীথ সময়ে, যখন নিবিড় অন্ধকারে চতুদিক আচ্ছন্ন হইয়াছে, তখন আমি নীলবর্ণ বসনের কাচ পরিয়া কক্ষদেশে তীক্ষ অস্ত্র বন্ধন করিলাম। এবং চৌর্য্য কর্যের নানাবিধ উপকরণ লইয়া বহির্গত হইলাম । ইতি পুৰ্ব্বে বন্ধু বিমদকের নিকট সন্ধান পাইয়াছিলাম, তদস্থসারে এক দস্থ্যপতির গুহে সন্ধি খনন করিলাম। সন্ধির মুখ