পাতা:দশকুমার.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ) o দশকুমার লিকার কানে কানে সডেক্ষপে আপন উদ্ধারের উপায় বলিয়। দিলাম। সে আমার সমস্ত অভিপ্রায় বুঝিয়া লইল । এবং, বৎস! চিরজীবী হও, দেবতার তোমার প্রতি প্রসন্ন হউন, এইরূপ আশীৰ্ব্বাদ করিতে করিতে চলিয়া গেল। রক্ষী পুরুষেরা অামাকে কারাগারে অানিয়া বদ্ধ করিল। কান্তক নামে এক যুব পুরুষ ঐ কারাগারের কর্তৃত্ব পদে স্থতন নিযুক্ত হইয়াছিল। সে যৌবন মদে মত্ত হইয় আপনাকে সুন্দর পুরুষ বলিয়া অভিমান করিত। ফলতঃ তাহার কিঞ্চিৎ সৌন্দর্য ছিল বটে, কিন্তু তাদৃশ বুদ্ধিশুদ্ধি ছিল না । সে একদিন আমার নিকট আসিয়া বলিল, তুমি যদি ধনমিত্রের ভস্ত্ররত্ন প্রত্যপণ না কর, তাহা হইলে তৈামাকে নানা যতন ভোগ করিয়া পরিশেষে মৃত্যু-পথের পথিক হইতে হইবেক । আমি হাস্য করিয়া বলিলাম, যদিও চিরকালের চোরিত অর্থজাত প্রত্যপণ করিতে হয়, যদিও সহস্ৰ সহস্ৰ যাতনা ভোগ করিতে হয়, তথাপি আমার পরম শক্ৰ ধনমিত্রের ভক্সারত্ব কদাপি প্রদান করিব না, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করিয়াছি। কান্তক প্রত্যহই আমাকে এইরূপ ভয় প্রদর্শন, কখন বা তর্জন গর্জন, কখন বা সন্তুনা বাক্য প্রয়োগ করিতে লাগিল । অামি সেই কারাগারে কোন প্রকারে কাল হরণ করিতে লাগিলাম । কিছু কাল পরে এক দিন অপরাহ্নে শৃগালিকা একাকিনী নির্জনে আমার নিকট আসিয়া প্রফুল্ল বদনে বলিল সৌম্য ! তুমি অামার কানে কীনে যাহা বলিয়া দিয়াছিলে তাহ সম্পন্ন করিয়া তুলিয়াছি। আমি তোমার আদেশানুসারে ধনমিত্রকে গিয়া বলিলাম “ তোমার বন্ধু বেশ্যা সংসৰ্গসুলভ পান দোষ হেতুক এইরূপ বিপদে পড়িয়া কারাগারে বদ্ধ হইয়াছেন । তোমাকে বলিয়াছেন তুমি নিঃশঙ্ক চিত্তে রাজার নিকটে গিয়া জানাও মহারাজ ! আনার যে ভস্ত্রীরত্ব অর্থপতি অপহরণ করিয়াছিল, আপনকার অনুগ্রহে তাহা আমি পুনঃপ্রাপ্ত হইয়া সচ্ছন্দে কাল যাপন করিতেছিলাম। ইতিমধ্যে রাগমঞ্জরীর নায়ক একজন অক্ষমূৰ্ত্ত আমার সহিত বন্ধুত্ব