পাতা:দশকুমার.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপহারবশ্ব চরিত । ማv® মুখ দেখিতেও অতিশয় কুরূপ । তাহার প্রতি কল্পসুন্দরীর অণুমত্রও অহরাগ নাই, বরং বিরক্তিই আছে। কিন্তু বিকটবৰ্ম্ম আর আর সুন্দরী সত্ত্বেও কল্পসুন্দরীকে প্রাণ তুল্য সুেহ করিয়া থাকে । বিকটবৰ্ম্মণর প্রতি কল্পসুন্দরীর বিরাগের কথা শুনিয়া আমি পুষ্করিককে বলিলাম ভগিনি ! তুমি কল্পস্কন্দরীর সমক্ষে বিকটবৰ্ম্মার মুখত দি দোষের উল্লেখ করিয়া তাহার প্রতি তাহার বিদ্বেষ বৃদ্ধির চেষ্টা কর, অহরূপ-ভৰ্ভূ-গামিণী বাসবদত্তাদির বর্ণনা করিয়া তাহার অন্তঃকরণে অমৃতাপ জন্মিয়া দাও, এবং বিকটবৰ্ম্মার অন্য নায়িক সহবাস অন্বেষণ পুৰ্ব্বক তাহার নিকট প্রকাশ করিয়া তাহার অভিমান বৃদ্ধি করিতে থাক । অনন্তর ধাত্রীকে বলিলাম মাত ! তুমিও অনন্যকাৰ্য্যা হইয়া কেবল কল্পসুন্দরীর পরিচর্য্য৷ আরম্ভ কর । তাহা হইলে আমি তথাকার প্রতিদিবসের বৃত্তান্ত তোমার মুখে অবগত হইতে পারিব । তাহারা দুজনে যত্ন পুৰ্ব্বক আমার বচনামুরূপ অনুষ্ঠান করিতে লাগিল । একদিন ধাত্ৰী আসিয়া আমাকে বলিলেন বৎস! তুমি যে ৰে উপায় বলিয়াছিলে, সমস্ত অনুষ্ঠান করিয়াছি । বিকটবৰ্ম্মার প্রতি কল্পসুন্দরীর নিতান্ত বিদ্বেষ জন্মিয়াছে । বিকটবৰ্ম্মার মহিষী হইয়াছে বলিয়া আপনাকে নিতান্ত দুর্ভাগ্য নিশ্চয় করিয়া সাতিশয় খিদ্যমান হইতেছে । এক্ষণে কি করিতে হইবেক বল । তখন আমি আপন আকৃতির একখানি প্রতিকৃতি চিত্রিত করিয়া ধাত্রীকে বলিলাম মাতঃ ! এই ছবি খানি লইয়া কল্পসুন্দরীর হস্তে অপর্ণ কর। সে দেখিয় যে কথা বলিবেক, তুমি আমাকে কহিও । ধাত্রী চিত্র হস্তে কল্পসুন্দরীর নিকট গমন কবিলেন। অনেকক্ষণ বিলম্বে প্রত্যাগত হইয়া নির্জনে আমাকে বলিলেন বৎস ! কল্পসুন্দরীর হস্তে চিত্ৰপট সমর্পণ করিলাম । সে দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হইয়া বলিল আহা ! কি অপরূপ রূপ । পৃথিবীতে কি এমন রূপবান পুরুষ আছেন ? বোধ হয়, কামদেবেরও এরূপ রূপ নহে । У о