পাতা:দশকুমার.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৩ দশকুমার আমাকে বলিতেছেন উপহারবর্শন ! এক বৃত্তান্ত বলিতেছি শ্রবণ কর । পাৰ্ব্বতীনন্দন গজানন একদিন গঙ্গীয় জলক্রীড়া করিতেছিলেন। গঙ্গা আমার এক পত্নী । তিনি সপত্নী-পুত্রের উপদ্ৰব সহ্য করিতে না পারিয়া “ তুমি মনুষ্য দেহ প্রাপ্ত হও, বলিয়া তাহাকে শাপ প্রদান করিলেন। গজাননও, অকারণে শাপপ্রদানে ক্রুদ্ধ হইয়া, গঙ্গাকে এই বলিয়া শাপ দিলেন “ তুমি জলময় শরীরে যেমন সাধারণ-ভোগ্য হইয়াছ, সেইরূপ, মানবী শরীর ধারণ করিয়া সাধারণ-ভোগ্য হও, । তথন গঙ্গা আমার নিকট আসিয়া ঐ বৃত্তান্ত কহিয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । আমি তাহাকে সান্থনা করিয়া বলিলাম প্রিয়ে ! গজননের মুখ হইতে যে কথা নির্গত হইয়ছে, মিথ্যা হইবার নহে। অবশ্যই তোমাকে মানবী হইয়া সাধারণ-ভোগ্য হইতে হইবেক । তবে যে, তুমি পাতিব্ৰতা ভঙ্গের আশঙ্কা করিতেছ, বরং আমি তাহার সদুপায় করিতেছি । তুমি কামরূপেশ্বর কলিন্দবৰ্ম্মার কন্যা হইয়। অবতীর্ণ হও, আমিও বিকটবৰ্ম্মা ও উপহারবর্ম এই উভয় শরীর পরিগ্রহ করিয়া মিথিলা নগরে অবতীর্ণ হই । তুমি প্রথমে কিছু দিন বিকটবৰ্ম্মার সহবাস করিয়া, অবশেষে উপহারবার সহিত সুখে বাস করিবে । তাহা হইলে তোমার পতিব্ৰত্য ভঙ্গ হইবার সম্ভাবনা নাই । দেব ! ভগবান ভূতনাথ এই বৃত্তান্ত কহিয়া আমাকে বলিলেন উপহারবর্শন ! তুমি ও বিকটবৰ্ম্ম, উভয়েই আমার অংশ, এবং কল্পসুন্দরী গঙ্গার অংশ। অতএব তুমি পরাঙ্গন সংসর্গ দোষের আশঙ্ক পরিত্যাগ করিয়া সচ্ছন্দে অভীষ্ট সাধনে প্রবৃত্ত হও, অধৰ্ম্ম সম্ভাবনা করিও না । এইরূপ স্বপ্ন দর্শনের পর নিদ্রাভঙ্গ হইল। তখন আমি পরমছলাদিত হইয় কেবল কল্পসুন্দরী চিন্তায় অল্পাবশিষ্ট যামিনী যাপন করিলাম। কামদেব অনন্যকৰ্ম্ম হইয়া আমার প্রতিই অনবরত বাণ বর্ষণ করিতে লাগিলেন । দিবাভাগ অতি কষ্টে অতিবাহিত হইল। দিবাকর আস্তাচলে গমন করিলেন । অন্ধকারে