পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଧକଚକିତ দিবরাত্রির কাব্য।” আনন্দ কথা বলল। “আমি কি ভাবছি জান ?” *कि छांबछ् छ्त्रांन्त ? “ভাবছি, আমারও যদি একদিন মা’র মত দশা হয় ?” হেরম্ব সািভয়ে বলল, “ওসব ভেব না। আনন্দ ।” আনন্দ তার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ল। রুদ্ধ উত্তেজনায় তার দু'চোখ জ্বল জ্বল করছে, তার পাণ্ডুর কপোলে অকস্মাৎ অতিরিক্ত রক্ত এসে সঙ্গে সঙ্গে বিবৰ্ণ হয়ে যাচ্ছে । “মানুষের ভাগ্যে আমার আর বিশ্বাস নেই। তোমার সঙ্গে আমার ক’দিনের পরিচয়, এর মধ্যে আমার শান্তি নষ্ট হয়ে গেছে । দু’দিন পরে কি হবে কে জানে ৷” “শান্তি ফিরে আসবে আনন্দ ।” আনন্দ বিশ্বাস করল না, ‘আসবে কিন্তু টিকবে কি ! হয়ত আমিও একদিন তোমার দু'চোখের বিষ হয়ে দাড়াব। প্ৰথম দিন তুমি আর আমি কত উচুতে উঠে গিয়েছিলাম, স্বর্গের কিনারায়। আজ কোথায় নেমে এসেছি !” “আমরা নামি নি আনন্দ, সবাই মিলে আমাদের টেনে নামিয়েছে। আমরা আবার উঠিব। লোকালয়ের বাইরে আমরা ঘর বঁাধব, কেউ আমাদের বিরক্ত করতে পারবে না ।” আনন্দ বলল, “বিরক্ত আমরা নিজেদের নিজেরাই করব। আমরা মানুষ যে !” আনন্দ কি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়েছে ? স্বপ্ন ক্ষুন্ন হবার অপরাধে মানুষকে কি সে ঘূণা করতে আরম্ভ করল ? জেনে নিল, বৃহত্তর জীবনে।