পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ ye & রেবতী। নর্মীর আৎ বুঝি পোয়ালে, মোর সোনার পিত্তিমে জলে যায়, মোর উপায় হবে কি ! মোরে মা বল্যে ডাকবে কেড, ই কত্তি নিয়ে এইলে সাধুর গলা ধরিয়া ক্ৰন্দন সাধু। চুপ কর, এখন কঁাদিস নে, টাল যাবে। রাইচরণ এবং কবিরাজের প্রবেশ কবি । এক্ষণকার উপসর্গ কি ? সে ঔষধ খাওয়ান হইয়াছিল ? : সাধু । ঔষধ উদরস্থ হয় নাই—যাহা কিছু পেটের মধ্যে গিয়াছিল তাহাও তৎক্ষণাৎ বমন হইয়া গিয়াছে—এখন একবার হাতটা দেখুন দিকে, বোধ হইতেছে, চরম কালের পুর্বলক্ষণ । রেবতী। কাটা কাট। কত্তি নেগেচে, এত পুরু কর্যে বিছানা কর্যে দেলাম তবু মা মোর ছট্‌ফট্‌ কচ্চেন—আর একটু ভাল অযুদ্ধ দিয়ে পরাণ দান দিয়ে যাও—মোর বড় সাধের কুটুম্ব গো ! ( রোদন ) সাধু। নাড়ী পাওয়া যায় না। কবি । (হস্ত ধরিয়া ) এ অবস্থায় নাড়ী ক্ষীণ থাক। মঙ্গল লক্ষণ “ক্ষীণে বলবতী নাড়ী সা নাড়ী প্রাণঘাতিক৷ ” সাধু । ঔষধ এ সময় খাওয়ান না খাওয়ান সমান, পিতা মাতার শেষ পর্য্যন্ত আশ্বাস, দেখুন যদি কোন পন্থা থাকে। কবি। আতপ তণ্ডুলের জল আবশ্বক, পূর্ণমাত্রা সূচিকাভরণ সেবন করাই এক্ষণকার বিধি । সাধু। রাইচরণ, ও ঘরে স্বস্ত্যয়নের জন্যে বড় রাণী যে আতপ চাল দিয়াছেন, তাহাই লইয়া আয় । রাইচরণের প্রস্থান রেবতী । আহা ! অন্নপুন্নো কি চেতন আছেন, তা