পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তপস্বিনী 8% আমাকে মারবের উদ্যোগ কল্যে—কেহ বলে, হাস দিলা ক্যান ; কেহ বলে, মাগীবারী আইচো নাহি ; কেহ বলে, হালা-পো হালারে অ্যাড্রড চরে বৈকুণ্টে পাডায়ে দেই । মহারাজ, সাবধানের বিনাশ নাই, সেখান হইতে পলায়ন কল্যেম । মাধ। বাঙ্গালরা কি মাত্তে জানে ? দ্বিতীয় ঘটক । তার পরে ধলেশ্বরীর তীরে একটি বাছের বাছ মেয়ে দেখতে পেলেম, বালিকাটির রূপলাবণ্যের তুলনা নাই ; লজ্জাশীল, নম্র, বিদ্যাবতী । র্তার নামটি শুনতে বড় ভালও নয়, বড় মন্দও নয়— মাধ। নামটি কি ? দ্বিতীয় ঘটক । ভাগ্যধরী—নামেতে আসে যায় কি, রূপ গুণ থাকলেই হলো—কমলিনীকে অন্য আখ্যায় ব্যাখ্যা করিলে কমলিনীর সৌন্দর্য্য সেীগন্ধের অন্যথা হয় না । বিবেচনা করেছিলেম, এই বালিকাটিই রাজসিংহাসনের উপযুক্ত, কিন্তু সভাপণ্ডিত মহাশয়ের দুহিতা দেখে, আর কাহাকেই সুবিহিত। বোধ হয় না । কামিনী, দেবী কি মানবী, তার নির্ণয় হয় না ; কামিনী মরাল-গতিতে গমন করেন, আর একবেণী পদচুম্বন করিতে থাকে । কামিনী যার সহধৰ্ম্মিণী হবেন, তাহারি জীবন সার্থক । তৃতীয় ঘটক। মহারাজ, আমি দক্ষিণ-পথাভিমুখে গমন করেছিলেম— মাধ। দোর পর্য্যস্ত না কি ? তৃতীয় ঘটক। আমি কিছু করে আসিতে পারি নাই । মহারাজ, দক্ষিণ দেশের মেয়ের গাত্রে হরিদ্রলেপন করিয়া থাকে, তাহাতে এমন দুর্গন্ধ জন্মায়, যে অন্নপ্রাশনের অন্ন উঠে পড়ে ।