পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিয়েপাগল বুড়ে৷ ৩১ রাম । আহা ! পরমেশ্বর অনাথিনী করেচেন কি করবে দিদি বলে । গেীর । দিদি ! বালিকা বিধবাদের কত যাতন— একাদশীর উপবাসে আমাদের অঙ্গ জ্বলে যায়, পেটের ভিতর পাজার আগুন জ্বলতে থাকে, জ্বর বিকারে এমন পিপাসা হয় না। একথান থাল নিয়ে পেটে দিই, তাতে কি জ্বালা নিবারণ হয় ! দ্বাদশীর দিন সকালে গলা কাটের মত শুকিয়ে থাকে, যেমন জল ঢেলে দিই তেমনি গল৷ চিরে যায়, তার জন্যে আবার কদিন ক্লেশ পেতে হয় । আমি যখন সধবা ছিলেম, তখন তিন বার ভাত খেতেম, এখন একবার বই খেতে নাই ; রেতে খিদেয় যদি মরি তবু আর খেতে পাব না। দেখ দিদি এ সব পরমেশ্বর করেন নি, মানষে করেচে, তিনি যদি কত্তেন তবে আমাদের ক্ষুধা, পিপাসা, আশা, বাসনা স্বামীর সঙ্গে ভস্ম হয়ে যেতো । রাম। গৌর ! তুই প্রথম প্রথম কোন কথা বলতিস্ নে, এখন তোর এত ক্লেশ বোধ হচ্যে কেন বল দেখি ? গেীর । দিদি, প্রথম প্রথম প্রাণপতির শোকে এমনি ব্যাকুল হয়েছিলেম আর কোন ক্লেশ ক্লেশ বোধ হ’ত না ; দিদি বিধবা হওয়ার মত সৰ্ব্বনাশ তো আর নাই, তাতেই তো আগে সমরণে যাওয়া পদ্ধতি ছিল, প্রত্যহ একটু একটু করে মরার চাইতে একেবারে মরা ভাল । রাম । আহা ! যিনি সমরণের পদ্ভি উঠিয়ে দিলেন, তিনি যদি বিধবা বিয়ে চালিয়ে যেতেন তা হ’লে বিধবাদের এত যন্ত্রণা হত না । - গৌর। যে দিন পতি মলেন সে দিন মনে করেছিলেম, আমি প্রাণকান্তবিরহে এক দিনও বাচুবো না, আর প্রতিজ্ঞ