পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীনবন্ধু-গ্রন্থাবলী عناعb আজো তার আশা করি কি না—আহ। প্রাণ থাকৃতে কি র্তার অাশা আমরা ছাড়তে পারবো—বাবাকে বলবো ? ক্ষীরে। না লীলা তা বলিস্ নে—শান্তিপুরের ব্রহ্মচারীর কথা মনে হলে আমার গায় জ্বর অাসে—আমার আর মড়ার উপর খাড়ার ঘা সইবে না । তোমরা যদি তার দাড়ি মিছে কোন রকমে জানতে পার তা হলে আমি এখনি ঠাকুরকে বলে পাঠাই । লীল। রঘুয়াকে দিয়ে সন্ধান নিচ্চি, তার আসল দাড়ি কি নকল দাড়ি তার পর মামাকে বলে তাকে বাড়ী নিয়ে । আসবে। ক্ষীরে। এ কথা মন্দ নয়—অামি ত পাগল হইfচ আমার আর ঢলাঢলি কি ? লীলা । বউ, তুমি ভেবে না, আমার মনে ঠিক নিচ্চে তিনি আমার দাদা, তা নইলে বাবার মত অবিকল নাক চক্‌ হবে কেন ? আমি গোপনে গোপনে আগে জানি । ক্ষীরে । আমার নাম করে না । শার । তোমার নাম করবে। কেন, আমরা মন্দিরে দেখিছি, আমরাই সব বলচি । ক্ষীরো । তিনি যদি আমার প্রাণকান্ত হন, তা হলে আমরা চেষ্টা করি আর না করি তিনি ত্বরায় বাড়ী আসবেন, বাড়ী আসবের জন্যেই এখানে এসেচেন । আহা ! এমন দিন কি হবে আমার প্রাণকান্তের চন্দ্রমুখ দেখতে পাব, আমার । রাজ্জিপাট বজায় থাকবে—আহা তিনি বাড়ী এলে কি আমন পোড়াকপালে বিয়ে হতে দেব, তা হলে কি ঠাকুর আর আমাদের ধমকে রাখতে পারবেন ? শার। নদেরচাদ কলকাতায় বাবুয়ানা কত্তে গিচ্‌লেন কোন বাবু তাকে এমনি চাবকে দেছে, রক্ত ফুটে বেরয়েচে, যেন অসুর খামাটি এটে রয়েচে–মাসাস ঠাকুরুণ নিমপাতার জলে