পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ দীনবন্ধু-গ্রন্থাবলী কৌশল অমুমোদন করতেন না । স্ত্রীর কলঙ্ক হলে স্বামীর যত মানসিক যন্ত্রণা এত অার কাহারে নয়। অরবিন্দ ক্ষীরোদবাসিনীর স্বামী, উনি মুক্তকণ্ঠে বলতেছেন ক্ষীরোদবাসিনীর প্রতি র্তার কিঞ্চিম্মাত্র দ্বিধা হয় নাই, অরবিন্দের এতদ্বাক্য সত্ত্বেও আপনারা ক্ষীরোদবাসিনীকে বহিস্কৃত করতে চান অল্প আক্ষেপের বিষয় নয়। আপনার যদি অলীক লোকাপবাদ ভয়ে চিরতুঃখিনী পতিপ্রাণা সতীকে পতিপরায়ণ সীতার হ্যায় বনবাসে প্রেরণ করতে চান, অরবিন্দের মহাস্তঃকরণ জাত প্রস্তাবে সম্মতি দেন, তিনি তাহার পবিত্র প্রণয়িনীকে লয়ে কাশীতে বাস করুন । আর । ললিতবাবু তুমি সাধু ব্যক্তি, তোমার বক্তৃতায় আমার মন সম্যক দ্বিধাশূন্য হলো—আমি পরমেশ্বরকে সাক্ষী করে বলচি, আমার স্ত্রী পবিত্র । পিতার মনে দ্বিধা থাকে তিনি আমাকে পরিত্যাগ করুন, অামি আমার চিরন্থঃখিনী রমণীকে গ্রহণ করে যোগজীবনের অকৃত্রিম অলৌকিক স্নেহের পরিশোধ দিই—আমি মৃত্যুশয্যায় যখন পতিত ছিলেম, তখন কেবল যোগজীবনের মুখ অবলোকন কত্তেম অার ভাবতেম স্বয়ং প্রভু ভগবান আমায় ক্রোড়ে করে বসে আছেন— যোগজীবনের কি বিশুদ্ধ চিত্ত, কি মহদস্তঃকরণ তা আমি বিলক্ষণ জানি । হর । মেজোখুড়ে। সহপায় বলুন । প্র, প্র । মাথা মুণ্ডু কি বলবো—লোকাপবাদ অপেক্ষা বিড়ম্বন আর নাই—স্বয়ং ভগবান রামচন্দ্র লোকাপবাদ ভয়ে সতীত্বময়ী গর্ভবতী সীতাকে বনবাস দিয়েছিলেন-—অরবিন্দ আমাদের মতাবলম্বী না হন, উনি ওঁয়ার স্ত্রীকে লয়ে দেশান্তরে যান । হর । কাজে কাজেই—হা পরমেশ্বর ! তোমার মনে এই ছিল, আমার হৃদয়সৰ্ব্বস্ব অরবিন্দ দ্বাদশ বৎসর পরে ঘরে