তােমার সঙ্গে ঝুটোপুটি বেধে যায়, চুলের কাঁটা তুলে নিয়ে খোঁপা এলিয়ে দেন, হাতে তােমার পড়বার বই দেখলে আলমারির মাথার উপর রাখেন তুলে। টেনিস খেলবার শখ হঠাৎ প্রবল হয়ে ওঠে, হাতে কাজ থাকলেও।”
ঊর্মিকে মনে মনে মানতেই হােলো যে শশাঙ্কদা এই রকম দৌরাত্ম্য করেন ব’লেই তাঁকে ওর এত ভালো লাগে। ওর নিজের ছেলেমানুষি তাঁর কাছে এসে ঢেউ খেলিয়ে ওঠে। সেও তাঁর ’পরে কম অত্যাচার করে না। দিদি ওদের দুজনের এই দুরন্তপনা দেখে তাঁর শান্ত স্নিগ্ধ হাসি হাসেন। কখনাে বা মৃদু তিরস্কারও করেন কিন্তু সেটা তিরস্কারের ভান।
নীরদ উপসংহারে বললে, “যেখানে তােমার নিজের স্বভাব প্রশ্রয় না পায় সেইখানেই তােমার থাকা চাই। আমি কাছে থাকলে ভাবনা থাকত না, কেননা আমার স্বভাব একেবারে তােমার বিপরীত। তােমার মন রক্ষে করতে গিয়ে তােমার মনকে মাটি করা এ আমার দ্বারা কখনােই হােতে পারত না।”
ঊর্মি মাথা নিচু করে বললে, “আপনার কথা আমি সর্বদাই স্মরণ রাখব।”