टांत्र ना ! আমরা কখনো দোতলা বাড়ি দেখিনি-গাঁয়ে ঘুরে ঘুরে দোতলা কোঠা বাড়ি দেখতে আমাদের ভাৱি ভালো লাগতো, বিশেষ ক’রে সীতার। সীতা আজ এসে হয়তো বলে-কাল যও আমার সঙ্গে দাদা, ও-পাড়ার বঁাডুষ্যে-বাড়ি কত বড় দেখে এসো-দোতলার ওপরে মাবার একটা ছােট ঘর, সত্যি দাদা! আমাদের গ্রামে খুব লোকের বাস-এক এক পাড়াতেই ষাট-সত্তর ঘর ব্ৰাহ্মণ। এত ঘন বসতি কখনো দেখিনি-কেমন নতুনতর মনে হয়, কিন্তু ভাল লাগে না। এতে যেন মন হাত পা ছাড়াবার জায়গা পায় না। সদাই কেমন অস্বস্তি বোধ হয়-রাস্তায় বেজায় ধুলো, পুরনো নানাধরা ইটের বাড়িই অধিকাংশ, বিশেষ কোনো শ্ৰীছাদ নেই-পথের ধারে মাঝে মাঝে গাছপালা, সে-সব গাছপালা আমি চিনি নে, নামও জানি নে, কেবল চিনি কচুগাছ ও লালবিছুটি। এদের হিমালয়ে দেখেছি ব’লে নয়, কচুর ডাঁটার তরকারি এখানে এসে খেয়েছি বলে। আর আমার খুড়তুতো ভাই বিশু একদিন সীতাকে বিছুটির পাতা দেখিয়ে বলেছিলএর পাতা তুলে গায়ে ঘষতে পারিস ?--বেচাৱী সীতা জানত না কিছু, সে বাহাদুরি দেখিয়ে একমুঠো পাতা তুলে বাঁ-হাতে আচ্ছা ক’রে ঘষেছিল-তারপর আর যায় কোথা! এ-সব জায়গা আমার চোখে অত্যন্ত কুশ্রী মনে হয়, মন ভরে ওঠে এমন একটা দৃশ্য এর কোনো দিকেই নেই-ৰূর্ণ নেই, বরফে-মোড়া পৰ্বত-পাহাড় নেই-আরো কত কি নেই। সীতারও তাই, একদিন সে চুপিচুপি বললে-এখানে থাকতে তোমার ইচ্ছে হয় দাদা ? যদি এখুনি কেউ বলে চা-বাগানে চল, আমি বেঁচে যাই। আর একটা কথা শোনে দা-জ্যাঠাইমা কি খুড়ীমার ঘরে অত ষেও না যেন । ওরা আমাদের দেখতে পারে না ; র বিছানায় গিয়ে বসেছিলে কেন দুপুৱাবেলা ? তুমি উঠে গেলে কাকীমা তোমায় বললে, সভ্য পাহাড়ী ভূত, আচার নেই বিচের নেই, যখন-তখন বিছানা ছোয়! ষেও না। ওদের যখন-তখন, বুঝলে ? ছোট বোনের পরামর্শ বা উপদেশ নিতে আমার অগ্ৰজগৰ্ব্ব সঙ্কুচিত হয়ে গেল, বললাম-ষা তোকে শেখাতে হবে না। কাকীমা মন্দ ভেবে কিছুই বলেননি, আমায় ডেকে তার পরে ত বুঝিয়ে দিলেন পাছে আমি রাগ করি। জানিস তা ? ৰলা বাহুল্য আমায় ডেকে কাকীমাৱ কৈফিয়ত দেওয়ার কথাটা আমার কল্পনাপ্রসূত । |াদের জীবনের যে অভিজ্ঞতা। এই চার মাসের মধ্যেই সঞ্চয় করেছি, তা বোধ হয়। সারা বনেও ভুলবো না। ; আমরা সত্যই জানতাম না যে, সংসারের মধ্যে এত সব খারাপ জিনিস , মানুষ মানুষের প্রতি এত নিষ্ঠুর হতে পারে, যাদের কাছে জেঠিম, কাৰকীমা, দিদি। ’লে হাসিমুখে দুটে গিয়েছি, তারা এতটা হৃদয়হীন ব্যবহার সত্যিই করতে পারে! কি ক’রে 象贸
