পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ।

 এখন নবাব সুজা বেগ কোথায়, তাহা একবার আমাদের দেখিতে হইবে।

 আগরা প্রাসাদের “হিরণমহলের” এক নিভৃত কক্ষমধ্যে বসিয়া চারিজন ওমরাহ গোপনে কি একটা জরুর ব্যাপারের আলোচনা করিতেছেন। এ কক্ষটী উপরের নয়, ভুগর্ভের মধ্যস্থ একটী গুপ্ত গৃহ। অবশ্য তাহার সাজসজ্জা ও উজ্জ্বল আলোকমালা দেখিলে, কেহ সহসা ধরিতে পারে না, যে সেটী “তয়খানা বা ভুগর্ভস্থ কক্ষ।”

 এক সুন্দর স্বর্ণখচিত মখমলমণ্ডিত আসনে বসিয়া, এক দিব্যকান্তি পুরুষ। তাঁহার দক্ষিণে ও বামে এক একটি সোফা অধিকার করিয়া, আরও তিনজন লোক সেই কক্ষমধ্যে, উপবিষ্ট। তাঁহাদের পোষাক পরিচ্ছদ দেখিলে, বোধ হয় তাঁহারা কোন উচ্চশ্রেণীর ওমরাহ।

 প্রথমোক্ত দিব্যকান্তি সম্পন্ন ব্যক্তিই সমাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহজাদা দারা। আর তাঁহার নিকটে উপবিষ্ট এই তিনজন ওমরাহ, তাঁহার নিতান্ত বিশ্বাসভাজন ও অন্তরঙ্গ।

 এই কয়জনের মধ্যে একজন হইতেছেন, নবাব সুজা বেগ। পূর্ব্বেই বলিয়াছি, এই সুজা বেগ বাদশাহী মুকিম বা রত্নবণিক। উত্তরাধিকারানুসারে পিতামহ ও পিতার পর, নবাব সুজা বেগই এখন এই গৌরবময় পদ পাইয়াছেন।

 

১২৭