পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

 বাহারবানু আনারের এ প্রস্তাবে মৃদু হাস্য করিল। সে হাসি ঘোর বিদ্রুপমাখা! সে হাসিতে যেন একটা কঠোর উপেক্ষার ভাব পরিস্ফুট।

 আনার বলিল—“হাসিলে কেন?”

 বাহার। তোমার প্রস্তাব অতি অসঙ্গত—অতি অসম্ভব!

 আনার। তাহা হইলে তুমি আগরা ছাড়িয়া দাক্ষিণাত্যে যাইতে সম্মত নও?

 বাহার। না—কোন মতেই না। দুনিয়ার ঐশ্বর্য্য যদি তুমি আমাকে প্রদান কর,তাহা হইলেও নয়! নবাব সুজা বেগ কোন মতেই আমার কবল মুক্ত হইতে পারেন না। আমি হিন্দুস্থানের অতি সুদূর প্রান্তে চলিয়া গেলেও, এমন একটী ভীষণ ব্যাপারে তিনি জড়িত, যে আমার সাহায্য না পাইলে তাঁহার উদ্ধারের কোন সম্ভাবনাই তাঁর নাই! তুমি সে দিন আমায় যথেষ্ট অপমান করিয়াছ। আর এ দর্পিত প্রস্তাব করিয়া আজও অপমান করিলে। ভাগ্যপরীক্ষার্থে আমি ইরান ছাড়িয়া হিন্দুস্থানে আসিয়াছি। তোমার উপকারের জন্য আমি আমার নিজের স্বার্থ ত্যাগ করিব কেন?”

 এই কথা বলিয়া, আনারের দিকে তীব্র ঘৃণাপূর্ণ দৃষ্টিক্ষেপ করিয়া বাহারবানু বলিল— “আমরা জাতিতে শিরিয়ান আরমানী। অপমানের প্রতিশোধ কি করিয়া লইতে হয়, তাহা আমরা জানি। তোমার কৃত এ অপমান এ উপেক্ষণ, ভাবিও না তুমি আমি বিনা প্রতিশোধে ভুলিয়া যাইব। তবে এই টুকু

১৫৫