পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

উঠিয়াছে। আনারউন্নিসা তাহার সঙ্গিনী ও সখী। এই জুমেলীকে ষোল ছাপাইয়া বোধ হয় আঠারো আনা বিশ্বাস এই আনারউন্নিসা করিত।

 আনার উন্নিসা জুমেলিয়ার এই রহস্যময় কথায় একটু কৃত্রিম বিরক্তির সহিত বলিল, —“আ মর্! ছুঁড়ি রঙ্গ রাখ্। কার— এ পত্র? কে তোকে এ পত্র দিল?”

 জুমেলি গালি খাইয়া হঠিল না। বলিল—“নসীব তোমাকে যে খানে একদিন টানিয়া লইয়া গিয়া, রাণীর সিংহাসনে বসাইবে,—এ পত্রখানি হয়ত সেখান হইতেই আসিয়াছে।”

 আনার উন্নিসা জুমেলির দিকে চাহিয়া কোমল স্বরে বলিল “হেঁয়ালি ছাড়িয়া দে। সোজা কথায় বল —কোথায় এ পত্র পাইলি?”

 জুমেলি এবার বলিল— “সুজাবেগের খাস বাঁদী এ পত্র আনিয়াছে। পড়িয়াই দেখনা কেন। সব জানিতে পারিবে।”

 একটু বিস্মিতভাবে আনার সেই পত্রখানি খুলিয়া পড়িল। তাহাতে লেখা ছিল,—“আনার উন্নিসা! এ জগতে মানুষের সকল কামনা তো পূর্ণ হয় না। বিধাতা আমায় প্রচুর ঐশ্বর্য্য দিয়াছেন —সমাজে যথেষ্ট সম্মান দিয়াছেন। বন্ধু বান্ধবেরও অংমার কোন অভাব নাই। রাজ-দরবারেও আমার খুব খাতির। এক অভাবে কিন্তু আমার সকল সুখ নষ্ট হইতেছে। আমি চাই তোমার মত এক রূপবতী, গুণবতী সহধর্ম্মিণী। আমার মাতাও তোমাকে তাঁহার পুত্র বধূ রূপে গ্রহণ করিতে খুবই উৎসুক।

১৪