পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

তাঁহার কন্যাকে বলিয়াছিলেন মীরলতিফ, এ ব্যাপারে একটুও দুঃখিত হয় নাই।

 দূর্ভাগ্য মীরলতিফ মনে মনে নানাদিক দিয়া বিচার করিয়া সিদ্ধান্ত করিল—যখন আনারকে পাইবার সকল আশাই অতল কালস্রোতে ভাসিয়া গেল, তখন আগরা ত্যাগ করিয়া, এই প্রলোভনের মুখ হইতে দূরে থাকাই ভাল।

 ইতিপূর্ব্বে সে আনারউন্নিসাকে যখন অ্ন্যস্থানে তাহার বদলী হইবার কথাটা বলে, তখন আনারউন্নিসা বড়ই বিষণ্ণ হইয়া পড়িয়াছিল। আর লতিফও আনারের মলিন মুখ দেখিয়া তাহাকে আশ্বাস দিয়াছিল, চেষ্টা করিলে এ স্থান পরিবর্ত্তনের আদেশ বন্ধ করান যাইতে পারে। কিন্তু ইহার দুই চারি দিন পরেই এই ব্যাপার ঘটায়, সে তাহা রদ্ করাইবার কোন চেষ্টাই করিল না। সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়াছে, যে প্রলোভনের পথ ত্যাগ করিবে।


দশম পরিচ্ছেদ।

 এ জগতে দুইজন লতিফের আপনার জন ছিলেন। এক আনারের পিতা, জামালখাঁ ও দ্বিতীয় ব্যক্তি জুম্মাশা ফকির।

 এই জুম্মাশা, তখন দিল্লী আগরার সর্ব্বজন জানিত ব্যক্তি। সম্রাট শাহজাহান, তাঁহাকে বড়ই ভক্তি শ্রদ্ধা করিতেন। সাধারণ লোকে, তাঁহাকে সিদ্ধ পুরুষ বলিয়া জানিত। পুর্ব্বোক্ত

৮০