পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দৃশ্য। স্ত্রৈণ পুরুষ ও শাশুড়ীদ্বেষিণী বধু। । বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় একজন স্ত্রৈণ পুরুষ। তাহাকে সাধারণ লোকে “বিশু পণ্ডিত” বলিয়া ডাকিত ; কারণ, লেখাপড়ায় তাহার সামান্য জ্ঞান থাকিলেও, তিনি পাণ্ডিত্যের ভাণ করিতেন ; গ্রাম্য গণ্ডীর ভিতর আবদ্ধ থাকিয়াও, দিল্লীলাহোরের গল্প বলিতেন ; এই গল্প শুনিবার জন্য, তাহার গৃহে বহু লোকের সমাগম হইত ; বহু লোকে তাহার বহুদৰ্শিতার প্রশংসা করিত। বিশু পণ্ডিতের কিছু জোত জমা ও কয়েক ঘর শিষ্য ছিল ; তদ্বারাই সংসার একরূপ চলিত। সংসারে র্তাহার একমাত্র সহধৰ্ম্মিণী ক্ষান্তমণি ও সপ্ততিবর্ষীয় মাতা ভিন্ন, অস্য লোক ছিল না । পণ্ডিতের স্ত্রী বলিয়া ক্ষান্তমণি মহিলাসমাজে বড়ই গৌরব করিত ; বিশ্বনাথও বিচক্ষণ লোক বলিয়া সমাজে আদরণীয় হইতেন । বিশ্বনাথের বয়স চল্লিশ ; ক্ষান্তমণির বয়স ত্রিশ বৎসর। নারায়ণ ভিক্ষুক ব্রাহ্মণবেশে, এ বাটীতে উপস্থিত হইলেন ; দেখিলেন, • ক্ষান্তমণি ভৈরবী-মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে ; তাহার মুখে ঝড় বহিতেছে ; নিকটে বিশ্বনাথের মাতা দণ্ডায়মান হইয়া, অশ্রুপাত করিতে করিতে, আস্তে আস্তে দু এক কথা বলিতেছেন । কি কারণে >