পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । সুতরাং তার পক্ষে জগৎসমস্যার মীমাংসা হয়ে গেছে, আর গৌণভাবে অপরের পক্ষেও ঐ মীমাংসা হয়ে গেছে ; কারণ, সে অপরকে ঐ অবস্থায় পৌছুবার পথ দেখিয়ে দিতে পারে। এইরূপে বোঝা যাচ্ছে, যেখানে দর্শনের শেষ, সেখানে ধম্মের আরম্ভ । আর এইরূপে উপলব্ধি দ্বারা জগতের কল্যাণ এই হবে যে, এখন যা জ্ঞানাতীত রয়েছে, কালে তা সর্বসাধারণের পক্ষে জ্ঞানগম্য হয়ে যাবে। সুতরাং জগতে ধৰ্ম্মই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য ; আর মানব অজ্ঞাতসারে এইটে অনুভব করেছে বলেই সে আবহমান কাল ধৰ্ম্মভাবকে আশ্রয় করে রয়েছে । ধৰ্ম্ম যেন বহুগুণশালিনী পয়স্বিনী গাভী ; সে অনেক লাথি মেরেছে, কিন্তু তাতে কি ? সে অনেক দুধ ও দেয় । যে গরুটা দুধ দেয়, গোয়ালা তার লাথি সহ করে যায় । প্ৰবোধচন্দ্ৰোদয় নাটকে আছে, মহামোহ ও বিবেক এই দুই রাজায় লড়াই বেধেছিল। বিবেক রাজার সম্পূর্ণ জিত আর হয় না। অবশেষে বিবেক রাজার সঙ্গে উপনিষৎ দেবীর পুনৰ্ম্মিলন হল, এবং তঁদের প্ৰবোধরুপ পুত্রের জন্ম হল । আর সেই পুত্রের প্রভাবে তার শক্ৰ বলে আর কেউ রইল না। তখন তঁরা পরমসুখে বাস করতে লাগলেন। আমাদের প্রবোধ বা ধৰ্ম্মসাক্ষাৎকার রূপ মহৈশ্বৰ্য্য , , . ১২৭ লাভ করতে হবে। ঐ প্ৰবোধরােপ পুত্ৰকে খাইয়ে দাইয়ে মানুষ করতে হবে, তা হলেই সে মস্ত একটা বীর হয়ে দাড়াবে । ভক্তি বা প্রেমের দ্বারা বিনা চেষ্টায় মানুষের সমুদয় ইচ্ছাশক্তি একমুখী হয়ে পড়ে-স্ত্রী-পুরুষের প্রেমই এর দৃষ্টান্ত । ভক্তিমাৰ্গ স্বাভাবিক পথ এবং তাতে যেতেও বেশ আরাম। জ্ঞানমার্গ কি রকম ? چه